দাম্পত্য সন্তান, সমীকরণ

দাম্পত্য আসলে কী? ‘বিবাহ' নামক সামাজিক ও আইনানুগ স্বীকৃতির পর, একছাতার তলায় যাপননামা। দুটো আলাদা ব্যক্তিত্বের একসঙ্গে পথচলার অঙ্গীকার। তবে যুগের হাওয়া বদলেছে। নতুন ভাবে সংজ্ঞায়িত হচ্ছে 'রিলেশনশিপ স্টেটাস' বা ‘গট এনগেজড’-এর প্রতিরূপ। দাম্পত্য জীবনেও পড়েছে তার প্রত্যক্ষ আঁচ। ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালান্সে কার্যত দড়ি টানাটানি চলছে দিনে-রাতে। কতটা সময় আমার? কতটা সময় আমাদের? প্রশ্নের ব্যূহে ঘুরপাক খাচ্ছে দাম্পত্যের ‘চাণক্যনীতি'। এর ঠিক পরেই আসে নাটকের পরবর্তী অঙ্ক। ‘স্বামী-স্ত্রী' থেকে প্রোমোটেড টু ‘বাবা-মা’। দাম্পত্য থেকে পেরেন্টহুড— জার্নির বিবর্তনটা ঠিক কেমন? সম্পর্কের সমীকরণগুলো কি সত্যিই পাল্টে যায় সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর? নাকি অন্তঃসলিলা নদীর মতো সমান্তরালে প্রবাহিত হয় ‘পুরাতন প্রেম’?
সম্পর্কের ‘দাম্পত্য', দাম্পত্যের 'সম্পর্ক' সম্পর্কে থাকা আর সম্পর্কের দায়ভার নেওয়া – এর মধ্যে থাকে বিস্তর ফারাক। দাম্পত্যে সেই দায়ভার থাকে। থাকে একে অপরের প্রতি দায়িত্বশীল মনোভাব। অনেকের কাছে এই সময়টা নেক্সট টু অ্যাডভেঞ্চার। এত দিন যে ভাবে তাঁরা থেকে অভ্যস্ত, একে অপরকে দেখে অভ্যস্ত— সেই দৃষ্টিভঙ্গির রূপান্তর ঘটে। ‘লাভ' হোক বা ‘অ্যারেঞ্জড’– বিয়ের স্বীকৃতিতে পুঞ্জীভূত হয় সম্পর্কের অমোঘ আকর্ষণ, যা স্বামী, স্ত্রী-কে দায়বদ্ধ করে তোলে, একে অপরের প্রতি দায়িত্বশীল করে তোলে এবং সেই সঙ্গে শুরু হয় কনজুগ্যাল লাইফের পত্রপাঠ। বিশিষ্ট কনসালট্যান্ট সাইকোলজিস্ট অঙ্কিতা বিশ্বাস মিত্র মনে করেন দাম্পত্যের কোনও থামরুল হয় না, চেনা ছকের বাইরেও দেখা যায় সম্পর্কের অচেনা রূপ, “সম্পর্ক খুব কনশাস ভাবে গড়ে ওঠে না। ওঠার কথাও নয়। অনুভূতি দৃঢ় হয়। যা তৈরি করে বিশ্বাসের বাতাবরণ। সেই জায়গা থেকে দু'জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ একত্রবাসের সিদ্ধান্তে আসেন। সামাজিক বা আইনি ভাবে 'কাপল' না হয়েও কিন্তু তাঁরা দাম্পত্য যাপন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে লব্ধপ্রতিষ্ঠ স্বীকৃতির চেয়েও বেশি প্রাধান্য পায় উভয়ের বোঝাপড়া। সামাজিক রিকগনিশনের চেয়েও দাম্পত্য অনেক বেশি মানসিক ও ব্যক্তিগত।”
この記事は SANANDA の February 15, 2025 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です ? サインイン
この記事は SANANDA の February 15, 2025 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です? サインイン

নো ডে উইদআউট আ লাইন
পরেশ মাইতি ও জয়শ্রী বর্মণের জীবন জুড়ে রয়েছে রং আর তুলি। যদিও তুলির টানে, রঙের রেখায় তাঁদের দুই মেরুতে অবস্থান। কিন্তু মিলে যান অন্তরের আহ্বানে। তাঁদের সঙ্গে কথোপকথনে পারমিতা সাহা।

দাম্পত্যের মন
একে দাম্পত্য, তার উপর আবার মন— - জটিলতা তো থাকবেই! মনস্তত্ত্বের সেই বহুবিধ ও বহুস্তরীয় জটিলতা ও পরিবর্তনের ঢেউ নিয়ে আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা। লিখছেন পৃথা বসু ও উপমা মুখোপাধ্যায়।

প্রাসাদে ন্যুব্জ নগরী!
কলকাতা শহরে বহুতল হেলে পড়ার নেপথ্যের কারণ কী? আগামী দিনে সত্যিই কি বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে এই শহর? আলোচনায় ভূবিজ্ঞানী ও গবেষক ড. সুজীব কর। লিখছেন পৃথা বসু।

গিয়ে বারে সিনড্রোম
দেশ জুড়ে আতঙ্কের নয়া নাম ‘গিয়ে বারে’ বা জিবি সিনড্রোম। চিকিৎসার সম্পূর্ণ গাইডলাইন দিচ্ছেন বিশিষ্ট কনসালট্যান্ট ফিজ়িশিয়ান ডা. নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। লিখছেন অনিকেত গুহ।

রুমমেটের সঙ্গে সমকামী সম্পর্ক
সম্পর্কে জড়ানো হোক বা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা, প্রতিটা সিদ্ধান্তই ভেবেচিন্তে নিন।

রূপ রুটিনের নয়া ট্রেন্ড ‘স্লাগিং’
বর্তমানে সমাজ মাধ্যমের এক অতি পরিচিত ট্রেন্ড, স্লাগিং । বিশদে আলোচনা করলেন রূপ বিশেষজ্ঞ মৌসুমী মিত্র। লিখছেন পৃথা বসু।

নিশিগন্ধা-অরণ্য কাহিনি
অরণ্যের ঘরে ঢুকে নিশিগন্ধা থ মেরে যায়। ও যেন এক রঙিন স্বপ্নের মায়া জগতে প্রবেশ করেছে। ঘরের মধ্যে রাখা উল্টো দিকের ইজেল থেকে হরেক রঙের বাহারে আর এক নিশিগন্ধা ওর দিকে তাকিয়ে হাসছে। ওর গজ দাঁতটাও কী জীবন্ত! কী অপূর্ব রঙের কাজ! অনেক আদরে সোহাগে নিখুঁত ভাবে বোলানো হয়েছে প্রতিটা তুলির টান।

আমার কাছে ঢাকিদের বঞ্চনার প্রতিবাদ একটা আন্দোলনের মতো
পুজো মণ্ডপ থেকে ঢাককে তিনি পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্বের দরবারে। রবিশঙ্কর থেকে জাকির হুসেন, আমজাদ আলি খান... বিশ্বমঞ্চে পারফর্ম করেছেন নামী শিল্পীদের সঙ্গে। এ বারের পদ্মশ্রী প্রাপক গোকুল চন্দ্র দাসের সঙ্গে কথা বললেন মধুরিমা সিংহ রায়।

জঙ্গল, পাহাড় এবং নদীর সঙ্গম
এমনই এক জায়গা চিতওয়ান ন্যাশনাল ফরেস্ট। নেপালের বুকে যেন এক টুকরো সবুজ স্বর্গ। সেখানে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করলেন পারমিতা সাহা।