উ জার্সির জায়েন্ট স্টেডিয়ামে সেদিন উপচে পড়া ভিড়। ১৯৭৭ সালের পয়লা অক্টোবর। প্রায় ৭৫,০০০ দর্শক হাজির ফুটবল সম্রাট পেলের বিদায়ী ম্যাচ দেখতে। পেলে প্রথমার্ধ খেলেছিলেন নিউ ইয়র্ক কসমস ক্লাবের হয়ে। দ্বিতীয়ার্ধে খেলেন সাও পাওলোর স্যান্টোস ক্লাবের জার্সি গায়ে দিয়ে। বিষাদ-মধুর সেই ম্যাচের শেষে পেলে হঠাৎ এমন কয়েকটা কথা বলেন, যা খুব অবাক করেছিল সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের। ‘জীবন থেকে একটাই শিক্ষা পেয়েছি, ভালবাসা হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। কারণ বাকি সবকিছু জীবন থেকে হারিয়ে যায়। আপনারাও সবাই আমার সঙ্গে বলুন, ভালবাসা, ভালবাসা এবং ভালবাসা।'
জায়েন্ট স্টেডিয়ামের দর্শকরাও আপ্লুত হয়ে সেদিন পেলের সঙ্গে গলা মিলিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে হাজির ছিলেন পেলের বাবা ডনডিনহো, প্রথম কোচ ওয়ালডেমার ব্রিটো, বক্সিং কিংবদন্তি মহম্মদ আলি এবং পেলের প্রথম স্ত্রী রোজমেরি। কসমসের হয়ে পেলে যে দশ নম্বর জার্সিটা পরতেন, সেদিন সেটি তিনি উপহার দেন বাবাকে। ১৮ বছর ধরে যে নম্বরের জার্সি পরে ১২০০-র বেশি গোল করেছিলেন, সেই নম্বরের জার্সিটা পেলে দেন ব্রিটোকে। ম্যাচ শেষে পেলের গলা জড়িয়ে ধরে মহম্মদ আলি বলেন, ‘ভুলে যাবেন না, আপনি এবং আমি... আমরা দু'জন বিশ্বের সেরার সেরা।' মহম্মদ আলি সত্যি কথাটাই বলে ফেলেছিলেন। গত শতাব্দীর সাতের দশকে এই দু'জনই ছিলেন এমন চরিত্র, যাঁরা সারা বিশ্বে পরিচিত। আলি যে কথাটা স্পষ্ট করে বলেননি, সেটা হল, ‘আমরা দুই কালো মানুষ, বিশ্বের সেরার সেরা।' নিউ জার্সির ওই ম্যাচের চারদিন আগে, কসমস ক্লাবের হয়ে কলকাতায় একটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলে গিয়েছিলেন পেলে। মোহনবাগান ক্লাবের বিরুদ্ধে ম্যাচটা যে তিনি খুব মন দিয়ে খেলেছিলেন, প্রত্যক্ষদর্শী ছিলাম বলে, জোর দিয়ে বলতে পারছি না। বৃষ্টির কারণে ইডেনের মাঠ আঠালো রয়ে গিয়েছিল। খেলতে নেমে পেলে সম্ভবত আশঙ্কায় ছিলেন, নিউ জার্সির বিদায়ী ম্যাচের আগে যেন চোট না লেগে যায়। স্ত্রী রোজমেরিকে নিয়ে তিনি সেই রাতেই তড়িঘড়ি করে কলকাতা ছাড়েন নিউ জার্সি যাওয়ার জন্য।
Denne historien er fra January 12, 2023-utgaven av ANANDALOK.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra January 12, 2023-utgaven av ANANDALOK.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
বাবার স্মৃতি, আমার ছেলেবেলা
বাবার হাত ধরে স্কুলে যাওয়ার দিন থেকে শুরু করে বাবার কাছে করা ছোট ছোট আবদার... স্মৃতিচারণায় কন্যা
আনপ্রেডিক্টেবল মনোজদা
মনোজদা বারবার ফসকে গেছেন। ভেবেছি, এটাই বোধহয় তিনি। ছুঁতে পেরেছি। কিন্তু হঠাৎই কেমন উল্টোপথে হেঁটে মনোজদা আমাদের দিকে চেয়ে মিটিমিটি করে হেসেছেন।
নাটকেই বেশি সাবলীল
মনোজ মিত্রর সঙ্গে সিনেমা এবং নাটকে অভিনয় করার পর শিল্পীর অভিনয় ক্ষমতার বিশ্লেষণ
মনোজদার গল্প নিয়ে ছবিটা করা হল না
আমাদের মধ্যে বয়সের কী ফারাক ছিল জানি না, কিন্তু মনোজ মিত্র আমার কাছে দাদা আর আমি ওঁর কাছে দিদি! যেরকম গুণী অভিনেতা, ততটাই ভাল মানুষ ছিলেন।
অশ্বত্থামা কাহিনি
মাত্র কয়েকটি অভিনয়ের পরই বন্ধ করে দিতে হল ‘অশ্বত্থামা'র অভিনয়। কারণ দর্শকরা প্রযোজনাটি সেভাবে গ্রহণ করেননি।
কলেজে সহপাঠী, থিয়েটারে সহকর্মী
মনোজ মিত্রর নাটক দেখে বিস্মিত হন তিনি। কেন মনোজ রেগে গিয়েছিলেন তাঁর উপর?
বাঙালিদের জয়জয়কার
এবার ২০ বছরে পা দিল এবিপি আনন্দ সেরা বাঙালি। প্রত্যেকবারের মতোই বর্ণাঢ্য এই সন্ধ্যায় অবাক করে দেয় সেরার সেরা পুরস্কার। অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকলেন আসিফ সালাম
শ্রীচরণেষু
শ্রদ্ধেয় দাদাকে নিয়ে কলম ধরলেন ছোটভাই। স্মৃতির গহীন থেকে উঠে এল, এক আশ্চর্য সম্পর্কের গল্প
গ্র্যান্ড কামব্যাক
একটা সময় বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বড় প্রযোজনা সংস্থা বলতে ছিল দু'টি, এসভিএফ এবং এসকে মুভিজ়। যদিও মাঝে বেশ কিছু বছর আড়ালে চলে যায় এসকে। তবে এবার একসঙ্গে ১৮টা ছবি নিয়ে স্বমহিমায় ফিরছে তারা। লিখছেন আসিফ সালাম
OTTগ্রাফ
বিজয় ৬৯: জীবনের শেষ অধ্যায়ে এক নতুন শুরু। অনুপম খেরের অভিনয়ে অনুপ্রেরণামূলক গল্প। তালমার রোমিও জুলিয়েট: প্রেম, দ্বন্দ্ব, এবং সুরে মাখানো এক চেনা গল্পের নতুন প্রকাশ। ফ্রিডম অ্যাট মিডনাইট: স্বাধীনতার টানাপোড়েন আর ঐতিহাসিক দ্বন্দ্বের অনবদ্য চিত্রায়ণ। সিটাডেল: হানি বানি: অ্যাকশন, রোমাঞ্চ, আর জানা গল্পে ভারতীয়করণের ছোঁয়া।