স্টারদের ছবি মুক্তি পেলে আমাদের ছবি হল থেকে উঠে যায় : বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানে

‘উড়ান’, ‘লুটেরা’, ‘একে ভার্সেস একে’... বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানে মানেই অন্যরকমের একটা গল্প। তবে তিনি অবগত নিজের সীমাবদ্ধতার ব্যাপারে। আনন্দলোকের পক্ষ থেকে তাঁর মুখোমুখি অংশুমিত্রা দত্ত

চারের দশক এবং বর্তমান সময়ের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে কী-কী ফারাক চোখে পড়ে? টেকনোলজি ছাড়া বিশেষ কিছু চেঞ্জ হয়নি। মানুষের জন্য ছবি তৈরি হয়, প্রযোজক পয়সা ঢালে ইত্যাদি। তবে ‘জুবিলি’ সিরিজ়ে একটা সংলাপ আছে, ‘খান কভি হিরো নহি বনতে, এই ব্যাপারটা পালটে গিয়েছে। আগে গল্প বলার একটা তাগিদ ছিল। দেশ, জাতিকে অনুপ্রেরণা জোগানোর মতো গল্প। এখন স্টোরিটেলিং অনেক ব্যক্তিগত হয়ে গিয়েছে। এখনও তো সেই স্টারদের দেখতেই লোকে হলে যায়। কিন্তু এটিটি প্যাটফর্মে চেতা স্টারদের

কিন্তু ওটিটি প্ল্যাটফর্মে তো স্টারদের দেখে না মানুষ। ভাল গল্প এবং অভিনেতাদের পিছনে সময় ব্যয় করে। ফলে সেটাও তো পালটেছে, তাই না? দেখুন, আমার জীবনের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক সাফল্য কী জানেন? ‘সেক্রেড গেমস’ সিরিজটি। আমাদের মতো পরিচালকদের তৈরি ছবি কোনওদিন এত রিচ পায়নি, যেটা ‘সেক্রেড গেমস’-এর ক্ষেত্রে পেয়েছিল। এর একটা কারণও আছে। আমাদের ছবি মূলত শিক্ষিত দর্শক দেখত, যাদের কাছে অন্য কাজও প্রচুর। একটা সিনেমা রিলিজ় করল শুক্রবার। উইকেন্ডে ভাল ব্যবসা করতে না পারলেই যদি হল থেকে সিনেমা তুলে দেওয়া হয়, তা হলে তারা দেখবে কখন? ওটিটি আসায় তাদের সেই সমস্যা দূর হল। দর্শক জানে ওই প্ল্যাটফর্মে কনটেন্টটা থাকবে। ফলে ভিউয়ারশিপ বাড়তে থাকে। এটা আমাদের মতো ফিল্মমেকারদের কাছে আশীর্বাদ তো বটেই। অনুরাগের ‘গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর’ যখন ব্যবসা পিক-আপ করছে, তখন অনেক হল থেকে ছবিটি তুলে নেওয়া হয়, কারণ সলমনের ‘এক থা টাইগার’ রিলিজ় করছিল।