আমার এবং জিতের একসঙ্গে হতে হলেটা সেতু দরকার :দেব

ট্রোলড হয়েছেন বলেই ‘ব্যোমকেশ' -এর চরিত্রে অভিনয় করার জেদ চেপে গিয়েছিল তাঁর। এমনটাই মত দেব-এর। এখন তিনি নিজের খামতিগুলো অনেক বেশি করে বোঝেন। সেই সব কথাই বললেন সায়ক বসু- কে

ইন্ডাস্ট্রিতে দেখতে-দেখতে ১৭ বছর কাটিয়ে ফেললেন আপনি। আজ পিছন ফিরে দেখলে দেবকে কেমন অভিনেতা বলে মনে হয় আপনার? সত্যি বলব? আমি না সিরিয়াসলি সময় পাই না পুরনো কাজ দেখার। সামনে এখন এত কাজ করার আছে যে, যদি আমি পিছনে পড়ে থাকি, তা হলে মানসিক একটা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে। কত ভাল কাজ করেছি বা খারাপ কাজ করেছি, সেগুলো নিয়ে ভেবে আমি নিজের এগিয়ে চলাটাকে আটকাতে চাই না। তা হলে ভবিষ্যতে যে কাজগুলো করব, সেগুলোতে পুরনো দেবের চিন্তাভাবনার প্রভাব পড়তে পারে।

তা মানে কি পুরনো দেবের অভিনয় বা কার্যকলাপ আপনার ভাল লাগে না? আমি শুধু জানি দেব চেষ্টা করেছে ভাল কাজ করতে। আমি তো আমার কোনও সিনেমাকে ডিজ়ওন করতে পারব না, শুধু দেখি, অতীতে কোনও ভুল করেছি কিনা। কোনও ছবি যদি না চলে, তা হলে সেটা কেন চলেনি। এখন পৃথিবীজুড়ে খুব ভাল-ভাল কাজ হচ্ছে। আমার একটাই লক্ষ্য, সেই সব কাজের মান এই বাংলা ছবিতে এনে, বিশ্ব মানচিত্রে বাংলা সিনেমার জায়গা করে দেওয়া। তবে আপনি অভিনয়ের কথা বললেন বলে বলি, আমি আমার সীমাবদ্ধতা খুব ভাল করে জানি। আমার সব সময়ই মনে হয়, আর একটা সুযোগ পেলে আরও ভাল করতে পারতাম। তবে এটাও ঠিক, ভালর কোনও শেষ নেই। হ্যাঁ, আমার ইমোশনাল কোশেন্ট খুব বেশি, অনেক আগে থেকেই। কোনও আবেগপ্রবণ দৃশ্য দেখলেই কান্না পেয়ে যায়। আমি এখন যতবারই ‘বাঘাযতীন’ দেখছি, চোখে জল এসে যাচ্ছে। আমি নিজের এই বৈশিষ্ট্যটাকে একই রকম রাখতে চাই।