আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে

তিনি ওটিটি মাধ্যমের প্রিয় ‘গুড্ডু পণ্ডিত'। আবার ‘কান্দাহার’-এ জেরার্ড বাটলারকে নাজেহাল করে দেওয়া খলনায়ক। আলি ফজল আনন্দলোকের মুখোমুখি নিজের সমস্ত জানা-অজানা কথা নিয়ে। শুনলেন অংশুমিত্রা দত্ত

‘কান্দাহার' ছবিতে আপনি নায়ক জেরার্ড বাটলারের মতোই স্ক্রিন স্পেস পেয়েছেন। এরকম বড় স্কেলের অ্যাকশন মেনস্ট্রিম ছবিতে নিজেকে কখনও কল্পনা করতে পেরেছিলেন? কোনওদিনই নিজেকে এরকম বড় স্কেলের ছবিতে ভাবতে পারিনি। ছোটবেলা থেকেই আমি অ্যাকশন ছবি গোগ্রাসে গিলি। ছোটবেলায় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে প্রচুর অ্যাকশন করতাম। কিন্তু পরে যখন আভিনেতা হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা শুরু করি, বাস্তবটা সামনে আসে। তাছাড়া আমি যেভাবে নিজের কেরিয়ারের পথটা তৈরি করেছি, সেখানে ‘কান্দাহার’-এর মতো ছবি ঠিক খাপ খায় না। আমাকে যে পরিচালক রিক রোমান ওয়া এরকম অ্যাকশন-প্রধান ছবিতে অ্যান্টিহিরো হিসেবে ভেবেছেন, এটাই অবাক কাণ্ড। জেরার্ড বাটলারের সঙ্গে লড়াইয়ে নেমেছি আমি, এটাই তো ভাবতে অবাক লাগে! ওঁর ছবি দেখে বড় হয়েছি!

‘ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড আব্দুল’, ‘ডেথ অন দ্য নাইল'-এর মতো হলিউড ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। নিজেকে ক্রসওভার অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করলেন কী করে? আমিও ঠিক বলতে পারব না, এটা কীভাবে সম্ভব হল। তবে আমি যে এটা প্রথম করছি, তা নয়। আমার আগে ইরফান ভাই করেছেন। তারও অনেক আগে শশী কপূর ক্রসওভার এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ছবিতে কাজ করেছেন। আমি নিজের ঢাক পেটাতে একদম পছন্দ করি না, কিন্তু খুব গর্ব বোধ করি যে এই আন্তর্জাতিক ইন্ডাস্ট্রিতে আমি কাজ করছি। ‘কান্দাহার’ ছবিটার জন্য ফ্রান্স, ইংল্যান্ডের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম, ফেস্টিভ্যাল থেকে আমার ডাক আসছে, লোকে আমার কাজ দেখছে, এটা অভিনেতা হিসেবে খুব তৃপ্তি দেয়।