যাঁরা আমার সমলোচনা করেন, তাঁদের চেয়ে বেশি মানুষ আমাকে ভালবাসেন: শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়

প্রথমবার নেগেটিভ চরিত্রে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়৷ কমার্শিয়াল ছবি থেকে পরিচিতি পেলেও, বরাবরই ইচ্ছে ছিল অন্য কিছু করার। সমালোচনা এড়িয়ে মন দিয়েছেন কাজে। অভিনেত্রীর ব্যস্ত জীবনের খুঁটিনাটি নিয়ে তাঁর সঙ্গে আড্ডায় সাগরিকা চক্রবর্ত্তী

‘সাদা রঙের পৃথিবী’ ছবিতে আপনার চরিত্রটি একেবারে অন্যরকম। শ্রাবন্তী মানেই ‘মিষ্টি চরিত্র'... এই ধারণাটা বদলাচ্ছে! আপনার অভিজ্ঞতা কেমন? হ্যাঁ, এতদিন আমি পজ়িটিভ চরিত্রেই অভিনয় করেছি। ওই মিষ্টি, শান্ত... তবে এবারে একেবারেই আলাদা। একজন অভিনেত্রী হিসেবে আমারও কখনও মনে হয়েছে, কেন নিজেকে অন্য ভাবে দেখব না? সেই কারণে প্রথমবার যখন এই ছবিটার সুযোগ পাই, রাজর্ষিদা আমাকে সব কিছু বোঝান, একটু দ্বিধাবোধ করছিলাম। ভেবেছিলাম পারব না! কারণ আমি কখনও নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করিনি। তবে জানেন, এই ধরনের নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করার জন্য ভিতরে কোথাও একটা খিদে ছিল। আত্মসন্তুষ্টির ব্যাপার আর কী! শেষে ঠিক করলাম দেখা যাক তাহলে অন্যরকম চরিত্রে অভিনয় করে।‘সাদা রঙের পৃথিবী’-তে আমার দ্বৈত চরিত্র, ‘শিবানী’ আর ‘ভবানী’। শিবানী পজ়িটিভ চরিত্র আর ‘ভবানী’ সম্পূর্ণ বিপরীত। সত্যি বলতে, ট্রেলার প্রকাশ্যে আসতে দর্শকদের ভালবাসাও পেয়েছি অনেক। ট্রেলারের ভিউজ বেড়েই চলেছে।

দু'ধরনের চরিত্রেই অভিনয় করলেন। আপনার নিজের কোন চরিত্রে অভিনয় করে বেশি ভাল লাগছে? আমি কিন্তু ‘সাদা রঙের পৃথিবী’-তে ভবানীকেই এগিয়ে রাখছি (হেসে)। যেহেতু আমি যেরকম চরিত্রে অভিনয় করি, তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।