গান বানানোর প্রসেসে যেন আনন্দ থাকে: বিশাল-শেখর

বিশাল দাদলানি আর শেখর রবিজানি। দু'জনে একসঙ্গে হওয়া মানেই পর্দায় সুরের ম্যাজিক। দীর্ঘ কেরিয়ারের কিছু মণিমুক্তো নিয়ে কথা বললেন আসিফ সালামের সঙ্গে।

'পঠান'-এর গান এখনও লোকের মুখে মুখে ফিরছে। কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল ছবির টাইটল ট্র্যাক বানানো? বিশাল: ‘বেশরম রং’ আর ‘ঝুমে জো পঠান’ তৈরি হয়েছিল প্রথম আর দ্বিতীয় লকডাউনের মাঝের সময়ে। আমরা যে দেখা করতে পারছিলাম, সেসময়ে ওটাই সবচেয়ে আনন্দের ছিল। মনে হত, এখনও বেঁচে আছি। কফি থাকত টেবিলে, আর স্যানিটাইজ়ারের বড় বোতল।

শেখর: মাস্ক নিচু করে কফি খেতাম, হাত ধুতাম আবার মাস্ক পরতাম। ‘ঝুমে জো পঠান'-এর ক্ষেত্রে সিদ্ধার্থ (আনন্দ) প্রথম থেকে মডার্ন কাওয়ালি চেয়েছিল। আমি আর বিশাল বসে এমনিতেই জ্যামিং করছিলাম। পাশ থেকে সিদ্ধার্থ ইনপুট দিচ্ছিল। বিশাল: সিদ্ধার্থ কিন্তু গানে প্রচুর কন্ট্রিবিউট করে। অ্যারেঞ্জমেন্টের সময়ে ও ছিল। ও খুবই মিউজিক্যাল। কী রকম গান চাইছে, সে ব্যাপারে খুব স্পষ্ট ধারণা আছে ওর। শেখর: কী চায় না, সে ব্যাপারেও স্পষ্ট।

বিশাল, আপনি গাইলেন না কেন 'পঠান'-এর টাইটল ট্র্যাক? অনেকে ভাবছিলেন, আপনিই গাইবেন.....

বিশাল: মনে হয়নি আমার গাওয়ার মতো। না হলে গেয়ে দিতাম।

শেখর: আমার কাছে সব গানই ওর জন্য পারফেক্ট। বিশাল: আমি সাধারণত আমাদের তৈরি করা গান গাই না। চেষ্টা করি যতটা কম গাওয়া যায়। ‘বেশরম রং’ ও ‘ঝুমে জো পঠান'-এর মিউজ়িক প্রডিউসার ছিলেন যথাক্রমে অভিজিৎ নাদানি ও মেঘদীপ বসু। এঁদের দুজনের কথা অবশ্যই বলব।

'ওম শান্তি ওম' থেকে 'পঠান', শাহরুখ খানের সঙ্গে আপনাদের বন্ডিং বরাবরই স্ট্রং....