শীতের সময়টা কেমন যেন অন্য রকম হয়। সকালগুলো হয় শিশিরমাখা। দুপুর পেরোতে না-পেরোতেই রোদ ফিকে হয়ে আসে। আকাশ জুড়ে ছড়ায় হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো গোলাপি আলো।
বুড়ি-ছোঁয়ার মতো করে হাজির হয় বিকেল, তার পরই ঝুপ করে সন্ধে নামে। দিনে যে হাওয়ার ঝাপটারা এসে গালে-কপালে আদর বুলিয়ে দেয়, রাতে তারাই শরীরে এই কাঁপন ধরায়। সর্বক্ষণ মনে হতে থাকে, বুঝি অদ্ভুত কিছু ঘটল! ঘটেও যায় কখনও কখনও, কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই।
স্কুলে বড়দিনের ছুটি চলছে। সপ্তাহ খানেক বন্ধ থাকবে। তবে পড়াশোনায় ঢিল দেওয়ার উপায় নেই। ক্লাস শুরু হলেই ইউনিট টেস্ট। তাই বড়দিনের বিকেলেও বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে না গিয়ে আমি এক তলার ছোট ঘরে বই-খাতা নিয়ে বসেছি। উঠোনমুখী এই ঘরটা আমার বেশ পছন্দের। জানলা দিয়ে অনেক কিছু দেখা যায়। যেমন এখন। সামনে বই খোলা। এক গাদা কঠিন অঙ্ক আমার দিকে চোখ লাল করে তাকিয়ে আছে। অথচ আমার মন বার বার চলে যাচ্ছে গ্রিল দেওয়া জানলার বাইরে, কাঁঠাল গাছে বসা পাখিগুলোর কাছে। কী মিষ্টি সুরে ডাকছে ওরা! শুনলেই মন ভাল হয়ে যায়।
আমাদের উঠোনটা বেশ বড়। নানা রকমের গাছপালায় সাজানো। ফুলের বাগান থেকে শুরু করে নারকেল, নিম, কাঁঠাল সবই আছে। এমনকি একটা সুপুরি গাছও। আকাশ-পাতাল ভাবতে ভাবতে আর এক বার বাইরে তাকিয়েছি। অমনি আমার বুকের ভিতরটা ছ্যাঁত করে উঠল। বাঁ দিকে পাঁচিলের কোণ ঘেঁষে, তুলসী মঞ্চের পাশটায় এক জন লোক দাঁড়িয়ে। অচেনা কেউ। আগে কোনও দিন দেখিনি। ভিতরে এল কী করে! গেট খোলার শব্দ তো কানে আসেনি। তা হলে নিশ্চয়ই পাঁচিল টপকেছে! চোর-ডাকাত নয় তো? ভাবলাম চিৎকার করে বাড়ির লোকদের ডাকি। শুধু বাবা বাড়ি নেই। পিসিমণিদের ওখানে গেছে। মা দোতলায় টিভি দেখছে। ছোটকা নিজের ঘরে বই পড়ছে। ঠাকুরমা ঘুমোচ্ছে। এক বার হাঁক পাড়লেই সকলে চলে আসবে। কিন্তু চেঁচালাম না। কারণ, দেখলাম লোকটা হাত নাড়ছে। আমারই দিকে ইশারা করে।
Denne historien er fra 20 Aug, 2024-utgaven av ANANDAMELA.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra 20 Aug, 2024-utgaven av ANANDAMELA.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
মায়াবী মরু
মরুভূমির বালির গভীরে কত যে রহস্য! বিশ্বের প্রথম মাকড়সার ভাস্কর্য থেকে প্রাচীনতম ধারালো অস্ত্র! লিখেছেন সুদেষ্ণা ঘোষ
টাকার গাছ
সে প্রথমে ভাবল, মাকে ডেকে দেখাবে। কিন্তু মা বড্ড সরল। কথা চেপে রাখতে পারে না। বাবা অনেক গোপন কথা মাকে বলতে বারণ করার পরেও মা মনের ভুলে সবাইকে বলে দিয়েছে। তাই এই খবরটা মাকে না বলাই শ্রেয়।
ঠোঙ্গা
প্রায় জমে যাওয়া ঠান্ডায়, ভিজে যাওয়া জামার তলায় হাপরের মতো ওঠা-নামা করছিল বুক। অনেকের জীবন এখানেই শেষ হয়েছে। আমরা ভাগ্যবান ছিলাম।
এক শালিক
বিল্টু বুঝে গেছে, শালুক খুব সাধারণ শালিক নয়৷ সে মাথা নাড়িয়ে বলল, “শালুক, তোমার যখন এত জ্ঞান, তখন আমাকে একটা বুদ্ধি দাও। যাতে বিকেলের এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাই । তিন মাস বাদে, বাৎসরিক অতুলকৃষ্ণ স্মৃতি চ্যালেঞ্জ শিল্ডের ফুটবল ফাইনাল খেলা। ব্যাঁটরা বয়েজ স্কুলের সঙ্গে আমাদের চন্দনপুর বয়েজ স্কুলের খেলা।”
তাইল্যান্ডের তাকলাগানো দ্বীপ
দ্বীপ নয়, দ্বীপপুঞ্জ। ফুকেট ও ক্রাবির মনোরম, নির্জন সব দ্বীপ ঘুরে এসে লিখেছেন রামেশ্বর দত্ত
এক বল তিন ছক্কা
গোবিন্দবাবু যে ঘরে খুন হয়েছেন, ঘনশ্যাম সেখানে তাদের নিয়ে গেল। বিছানার চাদরে তখনও চাপ চাপ জমাট বাধা রক্ত। কর্নেল বলল, “গোবিন্দবাবুর দেহ যখন পাওয়া যায়নি, তখন তিনি খুন না-ও হতে পারেন।” সত্যরঞ্জন বলল, “কিন্তু বিছানায় যে জমাট বাধা রক্ত!”
ছায়াগ্রামে পুষ্পবৃষ্টি
আমাদের ভাগ্য ভাল, ব্রজবাবু আজও পাগল হননি। যদিও রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে উনি... যাক সে সব কথা।”
আশ্চর্য লাঠি
মস্তানদের পিটিয়ে সিধে করে পচা বাজারে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। সে আমাদের গর্ব। আমরা তাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেব।”
সাধনবাবুর সাধের বাস
মা বেঁচে থাকতে অনেক সাহায্য করেছেন। তখন ঘন ঘন আসতেন। এখন উৎসব-অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করলে আসেন। মালতীজেঠি এলে সুষুনি শাক নিয়ে আসতেন।
সায়েন্স সঙ্গী
বিশ্ব জুড়ে বিজ্ঞানের নানা শাখায় নিরন্তর ঘটে চলেছে নানা ঘটনা। তারই কিছু খবর রইল এই পাতায়।