পচা, মানে পঞ্চাননের চেহারার কোনও ছিরিছাঁদ নেই। দেখতে ঢ্যাঙা, সিড়িঙ্গেপানা। গা-গতরে একদম গত্তি নেই। রং কালো, মুখে বসন্তের দাগ। তার ভাবভঙ্গি গোবেচারা ধরনের হলেও মনের দিক থেকে সে খুব মারকুটে। মানুষের উপর জুলুম হতে দেখলেই তার রক্ত গরম হয়ে যায়। নাকের পাটা ফুলে ওঠে। মাথার মধ্যে দপদপ করতে থাকে। হাত নিশপিশ করে। কিন্তু গায়ের জোরে পেরে উঠবে না ভেবে, শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসে সে।
গঞ্জের বাসস্ট্যান্ডের কাছে পচার একটা ঝুপড়ি চায়ের দোকান। গোটা কয়েক তেল-চিটচিটে কাপ-প্লেট, একটা কয়লার উনুন, লেড়ো বিস্কুটের দু'-তিনটে বয়াম, সসপ্যান আর খানদুয়েক সস্তা কাঠের বেঞ্চ নিয়ে তার কাজ-কারবার। দোকান থেকে যা আয় হয়, তাতে তার মোটামুটি চলে যায়। কিন্তু তাতে ছাই দিতেই যেন উঠেপড়ে লেগেছে কালু আর তার দলবল। চার দিকে তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। দোকানে দোকানে এসে টাকা তুলছে। না দিলে মারধর করছে। ভাঙচুর চালাচ্ছে। একটুও ট্যাঁ ফোঁ করার উপায় নেই। নিয়মমাফিক পুলিশের ভ্যান দু'-এক বার টহল দিয়ে গেলেও আসল সময়ে তাদের নো-পাত্তা।
রোজকার মতো সাতসকালে দোকান খুলে বসলেও পচার কিছুই ভাল্লাগছে না। আজ। খদ্দের একদম নেই। তাই চুপ করে বসে মাছি তাড়ানো ছাড়া তার আর কী-ই বা করার আছে!
পচা বসে বসে সাত-পাঁচ ভাবছে। ভাবছে আর রাগছে। বেলা যত বাড়ছে, রাগও তত বাড়ছে। রাগের চোটে পচা মনে মনে কালু মস্তানকে আচ্ছা করে পেটাচ্ছে। পিটিয়ে একেবারে নাক-মুখ ফাটিয়ে দিচ্ছে। এমন সময় রংবাজ টাইপের দু'জন লোক এসে বসল পচার দোকানে। তাদের এক জন হুকুম করল, “পচা, জলদি দুটো আদা চা দে তো। সঙ্গে ভাল বিস্কুট দিস।”
অনেক ক্ষণ দোকান আগলে বসে থাকার পর দুটো চায়ের অর্ডার পেয়ে পচা বেশ চনমনে হয়ে উঠল। আগডুম-বাগডুম ভাবনা ফেলে সে খদ্দেরদের দিকে নজর দিল। হাত কচলাতে কচলাতে সে বলল, “এজ্ঞে, দিচ্ছি বাবু। তবে আদা তো নেই।” “নেই? আচ্ছা ঠিক আছে। যা আছে তা-ই দে।”
পচা চটপট দুটো চা তৈরি করে ফেলল। তার পর কাপ দুটো ঠকাস করে বেঞ্চের উপর নামিয়ে রেখে বলল, “এই নিন বাবুরা, এক্কেবারে ইস্পিশাল চা করে দিচি।” শীতের সকালে আয়েশ করে গরম চায়ে চুমুক দিতে দিতে দ্বিতীয় জন প্রথম জনকে বলল “ এই পল্টন, পচাকে এ বার গুরুর কথাটা বল না।” বার দুয়েক চায়ে চুমুক দিয়ে পল্টন বলল, “পচা, তোকে একটা কথা বলব বলে আমরা এসেছি।” “কী কথা?”
Denne historien er fra 5 Sep, 2024-utgaven av ANANDAMELA.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra 5 Sep, 2024-utgaven av ANANDAMELA.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
মায়াবী মরু
মরুভূমির বালির গভীরে কত যে রহস্য! বিশ্বের প্রথম মাকড়সার ভাস্কর্য থেকে প্রাচীনতম ধারালো অস্ত্র! লিখেছেন সুদেষ্ণা ঘোষ
টাকার গাছ
সে প্রথমে ভাবল, মাকে ডেকে দেখাবে। কিন্তু মা বড্ড সরল। কথা চেপে রাখতে পারে না। বাবা অনেক গোপন কথা মাকে বলতে বারণ করার পরেও মা মনের ভুলে সবাইকে বলে দিয়েছে। তাই এই খবরটা মাকে না বলাই শ্রেয়।
ঠোঙ্গা
প্রায় জমে যাওয়া ঠান্ডায়, ভিজে যাওয়া জামার তলায় হাপরের মতো ওঠা-নামা করছিল বুক। অনেকের জীবন এখানেই শেষ হয়েছে। আমরা ভাগ্যবান ছিলাম।
এক শালিক
বিল্টু বুঝে গেছে, শালুক খুব সাধারণ শালিক নয়৷ সে মাথা নাড়িয়ে বলল, “শালুক, তোমার যখন এত জ্ঞান, তখন আমাকে একটা বুদ্ধি দাও। যাতে বিকেলের এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাই । তিন মাস বাদে, বাৎসরিক অতুলকৃষ্ণ স্মৃতি চ্যালেঞ্জ শিল্ডের ফুটবল ফাইনাল খেলা। ব্যাঁটরা বয়েজ স্কুলের সঙ্গে আমাদের চন্দনপুর বয়েজ স্কুলের খেলা।”
তাইল্যান্ডের তাকলাগানো দ্বীপ
দ্বীপ নয়, দ্বীপপুঞ্জ। ফুকেট ও ক্রাবির মনোরম, নির্জন সব দ্বীপ ঘুরে এসে লিখেছেন রামেশ্বর দত্ত
এক বল তিন ছক্কা
গোবিন্দবাবু যে ঘরে খুন হয়েছেন, ঘনশ্যাম সেখানে তাদের নিয়ে গেল। বিছানার চাদরে তখনও চাপ চাপ জমাট বাধা রক্ত। কর্নেল বলল, “গোবিন্দবাবুর দেহ যখন পাওয়া যায়নি, তখন তিনি খুন না-ও হতে পারেন।” সত্যরঞ্জন বলল, “কিন্তু বিছানায় যে জমাট বাধা রক্ত!”
ছায়াগ্রামে পুষ্পবৃষ্টি
আমাদের ভাগ্য ভাল, ব্রজবাবু আজও পাগল হননি। যদিও রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে উনি... যাক সে সব কথা।”
আশ্চর্য লাঠি
মস্তানদের পিটিয়ে সিধে করে পচা বাজারে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। সে আমাদের গর্ব। আমরা তাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেব।”
সাধনবাবুর সাধের বাস
মা বেঁচে থাকতে অনেক সাহায্য করেছেন। তখন ঘন ঘন আসতেন। এখন উৎসব-অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করলে আসেন। মালতীজেঠি এলে সুষুনি শাক নিয়ে আসতেন।
সায়েন্স সঙ্গী
বিশ্ব জুড়ে বিজ্ঞানের নানা শাখায় নিরন্তর ঘটে চলেছে নানা ঘটনা। তারই কিছু খবর রইল এই পাতায়।