• বাঙালি মানেই গ্যাস-অম্বলের সমস্যা? নাকি ব্যাপারটা অনেকটাই মনস্তাত্ত্বিক? •• আসলে চিকিৎসার দু’টি দিক থাকে। একটি প্রকৃত অসুস্থতা। অন্যটি অসুস্থতার অনুভূতির সংস্কৃতি। কতটা অসুস্থ হলে কেউ ডাক্তারের কাছে যাবেন, সেটা তাঁর নিজস্ব ব্যাপার। এই ভাবনা গড়ে ওঠে ছোটবেলা থেকে। দেখা যাবে হয়তো ছোট বয়স থেকে বাড়িতে ‘গ্যাস-অম্বলের রোগী’ দেখে আসছেন। ব্যস, কোনও সমস্যা বোঝাতে না পারলে, সবই ‘গ্যাস’-এ গিয়ে ঠেকছে! একবার এক রোগী এলেন। গ্যাস হচ্ছে। । দরদর করে ঘামছেন। বলছেনও বুকে ব্যথা হচ্ছে। আমি বললাম, গ্যাস নয়, আপনার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এখনই কার্ডিওলজি ইমার্জেন্সিতে যান। যাবেন না। এক গোঁ! ডাক্তারবাবু এটা হার্ট অ্যাটাক নয়। গ্যাসের ব্যথা। কে বোঝাবে! সব সমস্যার মূলে গ্যাস, এ যেন বাঙালি সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে!
• অনেকে যেমন আপনাকে দেখাতে চান, অনেকে দেখিয়ে এও বলেন, আর যাব না। বলেন, ডাক্তারবাবু বললেন, আপনার কিছুই হয়নি। বাড়ি যান। একটা ওষুধও দিলেন না। তাই আর যাচ্ছি না। •• আমার অভিজ্ঞতা বলছে, অসুস্থতা আর অসুস্থতার ভাবের মধ্যে বিরাট ফারাক। যত মানুষ ডাক্তার দেখাতে আসেন, তার মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশের প্রকৃত অসুস্থতা রয়েছে।
• বলেন কী? ●● হ্যাঁ। এই নিয়ে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের বিশ্বখ্যাত লেখা রয়েছে। ১৯৬৮ সালে লেখা। যার সার কথা হল, ‘হেলথকেয়ার সিকিং বিহেভিয়ার’ অনেকটাই নির্ভর করে অসুস্থতার উপর নয়। তার সংস্কৃতি ও পরিমণ্ডলের উপর। অসুখের বিজ্ঞাপন, অসুখ নিয়ে মার্কেটিং, অতি লেখালিখি দেখেও এই পরিমণ্ডল তৈরি হতে পারে। মানুষের মনে হয়, এই সমস্যা তাঁরও আছে। অনেকক্ষেত্রে আসলে কোনও সমস্যাই নেই। সমস্যা হল, এর মধ্যে সত্যিই ডাক্তার দেখানো দরকার এমন মানুষজনও মিশে আছেন। তাঁদের আলাদা করাটা ভীষণ জরুরি। সোজা কথা হল, অসুস্থতা জীবনের অঙ্গ নয় যে মনে হল আর ডাক্তার দেখিয়ে এলাম। প্রকৃত অসুস্থতা একটা অ্যাক্সিডেন্ট।
• এই অসুস্থতা বিলাস আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের বিপুল জনসংখ্যার দেশে স্বাস্থ্য পরিষেবায় অহেতুক চাপ তৈরি করছে? •• একেবারে তাই।
Denne historien er fra August 2022-utgaven av Sarir O Sasthya.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra August 2022-utgaven av Sarir O Sasthya.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
ছানি পড়েছে বুঝবেন কীভাবে?
পরামর্শে রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অপথ্যালমোলজির অধিকর্তা ডাঃ অসীমকুমার ঘোষ
দিনরাত এসিতে? ডেকে আনছেন ড্রাই আই
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ হিমাদ্রি দত্ত
সমস্যা যখন ক্ষীণদৃষ্টি
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও দিশা আই হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ দেবাশিস ভট্টাচার্য
গ্লকোমা থেকে মুক্তির উপায়
পরামর্শে সুশ্রুত আই ফাউন্ডেশন এবং রিসার্চ সেন্টারের অপথ্যালমোলজিস্ট ডাঃ রতীশচন্দ্র পাল
বিপদ যখন রেটিনোপ্যাথি
পরামর্শে শঙ্করজ্যোতি হাসপাতালের বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ শিবাশিস দাস
ট্যারা চোখ কেন হয় ? প্রতিকারই বা কী?
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ ইপ্সিতা বসু
নজর থাক শিশুর চোখে
সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে স্কুলের ডিজিটাল ক্লাসও। তার জেরে মায়োপিয়া হওয়ায় চোখে পাওয়ার আসছে।
নিখরচায় নকল চোখ!
বিদ্যালয়ে প্রবেশের পর তাদের স্কুলে অন্য শিশু দ্বারা হেনস্থা হওয়ার ভয় থাকে। এমন ক্ষেত্রে এই বাচ্চাদের রক্ষা করতে পারে ডেঞ্চার। তাও তৈরি হয় আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে।
কৃত্রিম চোখ গবেষণা কতদূর?
বা ক্ষীণ, তাঁরা আলো-অন্ধকারের প্রভেদ করতে পারেন। আবছা দেখতেও পারেন। তবে বায়োনিক চোখেরও আরও অগ্রগতি প্রয়োজন রয়েছে।
কখন করা হয় কর্নিয়া প্রতিস্থাপন?
জানালেন রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজির চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়