সিওপিডি এবং এআরডিএস

সিওপিডি-এর আগে ক্রনিক লেখার অর্থ হল, সিওপিডি হওয়ার পিছনে যে কারণগুলি দায়ী থাকে তা বন্ধ না করলে অসুখটির শুধু অগ্রগতি হয়।

সিওপিডি সিওপিডি-এর পুরো কথা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ। আধুনিক সময়ে অতিপরিচিত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে সিওপিডি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুসারে, বিশ্বে যে সমস্ত কারণে বেশি প্রাণহানি ঘটে তার মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিওপিডি। সিওপিডি আক্রান্তর সংখ্যাও যথেষ্ট উদ্বেগের। বিশ্বের সব দেশেই অসুখটির দেখা মেলে। তবে দরিদ্র দেশগুলিতে সিওপিডি-এর প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। কেন এমন হয় তা আলোচনা গড়ালেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।

সিওপিডি হওয়ার কারণ সিওপিডি হওয়ার পিছনে প্রধান কারণ হল তামাক সেবন। দ্বিতীয় কারণ হল বায়ুদূষণ। তৃতীয় কারণ হল শিল্পজাত দূষণ। অর্থাৎ বিভিন্ন কলকারখানায় দূষণের মধ্যেই যাঁদের কাজ করতে হচ্ছে, তাঁদের সিওপিডি হওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি (বিশেষ করে পাথর ভাঙার কাজ, বয়লার প্ল্যান্ট-এ কর্মী, ওয়েল্ডিং-এ কাজ করছেন এমন ব্যক্তির ফুসফুস কলকারখানার দূষণ থেকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়)। চতুর্থ কারণ হল বায়ু চলাচলের সুব্যবস্থাহীন রান্নাঘরে ফসিল ফুয়েলের ব্যবহার। বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলিতে উপরিউক্ত সকল সমস্যাই বিদ্যমান। এই কারণে সিওপিডি-এর প্রাদুর্ভাবও বেশি। বিশেষ করে বদ্ধ রান্নাঘরে ফসিল ফুয়েল বা

কয়লা জ্বালিয়ে রান্না করার কারণে দরিদ্র দেশগুলির মহিলাদের মধ্যে সিওপিডিএর সমস্যা বেশি দেখা যায়। শহরের মতো গাড়ির ধোঁয়াজনিত দূষণ না থাকলেও, জৈব জ্বালানি এবং ফসিল ফুয়েলের সাহায্যে বদ্ধ ঘরে রান্নার অভ্যেসে গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যেও সিওপিডির প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। কারণ সেখানে গাছের ডালপালা, পাতা, কয়লা পুড়িয়ে রান্না করার চল রয়েছে। কাঠ, পাতা, কয়লা পুড়িয়ে