• হেমন্ত এসে হাজির হলেই বাঙালির চিন্তা বাড়ে অ্যাজমা নিয়ে। অ্যাজমা অসুখটি কী? •• শ্বাসনালির বিশেষ একপ্রকার অসুখ এই অ্যাজমা। শ্বসনতন্ত্রের দুই প্রধান অংশ ফুসফুস ও শ্বাসনালি। শ্বাসনালিতে বিশেষ প্রদাহ তৈরি হলে এই শ্বাসনালি সংকুচিত হয়ে পড়ে। এই সংকোচনের ফলে রোগী স্বাভাবিকভাবে শ্বাসকার্য চালাতে পারেন না। তাই শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। এই অসুখ মূলত দুই কারণে হয়। ১. জিনঘটিত ২. পরিবেশগত। কারও দেহে অসুখবহনকারী জিন থাকলে, তার এই রোগ হওয়ার শঙ্কা বাড়ে। তাই অ্যাজমাকে বংশগত অসুখ বলা হয়। তবে এই জিন পরিবেশগত কারণে সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় হয়। তবে কারও জিনে এই অসুখ আছে মানেই তাঁর এই রোগ হবেই— এমন কোনও কথা নেই।
শীত সামনে এলেই বয়স্ক ও শিশুদের এই রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে কেন ? •• ঠান্ডা ও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া এই অসুখকে উসকে দেয়। শীতে এমনিতেই শ্বাসযন্ত্রে নানা ভাইরাসের সংক্রমণ হয়। শিশু ও বয়স্কদের শরীরের যেহেতু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাই শীতে তাঁরা সহজেই অ্যাজমার শিকার হন। শীতের হাত ধরে আমাদের শহরে দূষণও বাড়তে থাকে। পিএম ২.৫ ও পিএম ১০এর পরিমাণ এই সময় বাতাসে বৃদ্ধি পায়। শীতের সময় ঠান্ডা হাওয়া নীচের দিকে নামে। গরম হাওয়া থাকে বায়ুমণ্ডলের উপরিভাগে। তাই এই সময় নানা দূষিত কণাসমৃদ্ধ হাওয়া ভূমির কাছাকাছি থাকে। সেই দূষিত হাওয়া রোগের অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। এর জন্য অ্যালার্জেন দায়ী। ফলে শিশু ও বয়স্কদের অ্যাজমা, সিওপিডি, ফুসফুসের অসুখ, হাঁচি-কাশি সব ধরনের রোগ বাড়ে।
• অ্যালার্জেন কী? •• ‘ফরেন বডি' বা শরীরের বাইরের বস্তুই হল অ্যালার্জেন। অ্যালার্জেন শরীরের ঢুকলে কারও কারও ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। অ্যাজমার রোগী হলে তাঁর ক্ষেত্রে অ্যালার্জেনের প্রভাবে শ্বাসনালিতে প্রদাহ তৈরি হয়। অ্যাজমার রোগীর ক্ষেত্রে ধুলো, কোনও কড়া গন্ধ, ফুলের রেণু, সিজন চেঞ্জ সবই অ্যালার্জেন হিসেবে গণ্য হয়। এগুলিই অ্যাজমার পরিবেশগত ‘ট্রিগার ফ্যাক্টর'। তবে এই ট্রিগার ফ্যাক্টরগুলি সরে গেলে অ্যাজমার রোগীর শ্বাসনালির সংকোচন কমে তা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
Denne historien er fra November 2024-utgaven av Sarir O Sasthya.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra November 2024-utgaven av Sarir O Sasthya.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
মাটিতে পা মানেই উন্নত জীবন
পরামর্শে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যোগা ও ন্যাচেরোপ্যাথি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও যোগ বিশারদ তুষার শীল
শুধু হেটেই কি সারবে সুগার?
হাঁটা জরুরি, কিন্তু ওষুধ বন্ধ করে হাঁটা কতটা যুক্তিযুক্ত? পরামর্শে বি পি পোদ্দার হাসপাতালের কনসালটেন্ট এন্ডোক্রিনোলজিস্ট ডাঃ পার্থসারথি চৌধুরী
উচ্চ রক্তচাপে হাঁটার দাওয়াই
পরামর্শে বি এম বিড়লা হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ ধীমান কাহালি
মিষ্টি ও জাঙ্ক ফুড এমনিই পছন্দ করি না
মন ও শরীরের যত্ন নিয়ে কী ভাবে এখনকার প্রজন্ম ? ওবেসিটির ভয় কি তাড়া করে বেড়ায় তাদের? বাঙালির ড্রয়িংরুমের ‘রানিমা’, এই প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায় শোনালেন ফিটনেস নিয়ে নিজের ভাবনার কথা। শুনলেন মনীষা মুখোপাধ্যায়।
কতটা পথ চললে তবে কমতে পারে ওজন?
হাঁটার সময় সামনের পায়ের গোড়ালি থাকবে মাটিতে, পায়ের পাতা থাকবে উপরের দিকে। হাঁটু থাকবে সোজা। পরামর্শে যোগ বিশেষজ্ঞ আশিস সেন
ইনিয়েস্তার কাছে বয়স নিছকই সংখ্যা
বয়স? ফ্যাক্টরই নয় তাঁদের কাছে। স্ট্রেস, টেনশনে দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়ার সময়ে কীভাবে পারেন ফিট অ্যান্ড ফাইন থাকতে? টিপস দিচ্ছেন তারকারা। এবারের ব্যক্তিত্ব ইনিয়েস্তা। লিখেছেন শিবাজী চক্রবর্তী।
হাঁটলে কি স্ট্রেস কমে?
পরামর্শে সল্টলেক মাইন্ডসেট ক্লিনিকের সাইকিয়াট্রিস্ট ডাঃ দেবাঞ্জন পান
সুগার কমাতে হাঁটাহাঁটি
পরামর্শে বিশিষ্ট মেডিসিন এবং ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডাঃ আশিস মিত্র
হাঁটলে কি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে?
নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে ঠিক রাখে। তবে, মানুষভেদে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলিও ভিন্ন। জানাচ্ছেন মুকুন্দপুরের আর এন টেগোর হাসপাতালের ক্যাথল্যাবের ডিরেক্টর ডাঃ দেবদত্ত ভট্টাচার্য
কীভাবে হাঁটবেন কতক্ষণ হাঁটবেন?
শীতকালে একটু বেলায় হাঁটা উচিত। দুপুরে যদি কেউ হাঁটতে চান তাহলে খাওয়া-দাওয়ার দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর হাঁটতে পারেন। পরামর্শে বিশিষ্ট যোগ বিশারদ অমরেন্দ্রনাথ দাস