
অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তার ধারে একটা হাওয়াই মিঠাইয়ের দোকান দেখে অটো থেকে নেমে পড়ল অরিজিতা। দিন কয়েক আগে নিজের গ্রামের মেলার গল্প করতে গিয়ে এই হাওয়াই মিঠাই খাওয়ার জন্য ছোটবেলায় কত বায়না করতেন, সেকথা বলছিলেন সুরমা। চোখটা চিকচিক করছিল যেন! অরিজিতা অটো থেকে নেমে চারটে বড় দেখে প্যাকেটবন্দি হাওয়াই মিঠাই কিনল। বাড়ির সকলের জন্য একটা করে। সদর দরজায় বউমার হাতে হাওয়াই মিঠাই দেখে সুরমা তো অবাক! শাশুড়ির কোন সে ছোটবেলার গল্প শুনে বউমা সাধ করে হাওয়াই মিঠাই কিনে এনেছে। মেয়ে নেই বলে একসময় আক্ষেপ ছিল সুরমার। আজ যেন সেই ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিল কেউ। ভারতীয় নিয়মে একটি বিয়ে মানে শুধু দু'টি মন নয়, বরং দুই পরিবারের মিলমিশ। পরের ঘর থেকে আসা বউমাকে ‘নিজের মেয়ে' করে নেওয়ার দায়িত্ব যেমন শাশুড়ির, তেমনই অন্য একজনকে ‘নিজের মা'-এর চোখে দেখার কর্তব্যটিও বউমার। এই দুই দেখার চোখ যখনই খানিকটা মিলে যায়, তখনই সংসারের মঞ্চে জলতরঙ্গ বেজে ওঠে। সম্পর্ক, ভালবাসা, দায়দায়িত্বের হাত ধরেই আসে মেনে নেওয়া, মানিয়ে চলার গভীর পাঠ। একটি মেয়ে যখন অন্য বাড়িতে যায়, তখন তাঁর সব আচার-আচরণ, স্বভাব সবকিছু নিয়েই সে কিছুটা চিন্তায় থাকে। শাশুড়ি ও বউমার সমীকরণ কেমন হবে, তা নিয়েও অনেকেই ভয়ে থাকে। এই দুই সম্পর্ক কিছু পরিবারে এতটাই বিষিয়ে যায় যে তৃতীয় কোনও ব্যক্তিই তাকে সুস্থ করে তুলতে পারেন না। অথচ এই দুই ব্যক্তির মধ্যে বোঝাপড়া সুন্দর হলে সংসারও সুখের হয়। সমস্যা কোথায়?
ভারতীয় পরিবার নিয়ে হওয়া নানা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যত পরিবার ছোট হয়ে নিউক্লিয়ার হয়েছে, ততই সমস্যা বেড়েছে। একটা সময় ভাবা হতো, সংসারে লোকসংখ্যা কম হলে হয়তো ঠোকাঠুকি কম লাগবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছে, ঠিক তার বিপরীত ঘটনা ঘটছে। নিউক্লিয়ার পরিবারেই সমস্যা ও অশান্তির মাত্রা বাড়ছে। মনের কথা ভাগ করার মতো মানুষের অভাব ও নানা সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার ‘মাধ্যম' হয়ে ওঠা মানুষজনের সংখ্যা কমে যাওয়া এর অন্যতম কারণ বলে মত সমাজতত্ত্ববিদদের।
Denne historien er fra December 2024-utgaven av Sarir O Sasthya.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra December 2024-utgaven av Sarir O Sasthya.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på

মাইগ্রেনের সমাধান
মাথা যন্ত্রণার এই রোগ একপ্রকার দুর্বিষহ। লক্ষণ ও প্রতিকার কী? পরামর্শে বিশিষ্ট নিউরোলজিস্ট ডাঃ তৃষিতানন্দ রায়।

কীভাবে জব্দ কোলেস্টেরল?
পরামর্শে মণিপাল হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ সৌম্যকান্তি দত্ত।

অনিদ্রা থেকে মুক্তির উপায় কী?
পরামর্শে রুবি জেনারেল হাসপাতালের সাইকিয়াট্রিস্ট ডাঃ শিলাদিত্য মুখোপাধ্যায়।

আয়ুর্বেদিক দাওয়াই
পরামর্শে ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েট আয়ুর্বেদিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের প্রাক্তন অধ্যাপক ডাঃ প্রদ্যোৎবিকাশ কর মহাপাত্র।

বাঙালির ১০ রোগে হোমিওপ্যাথি
পরামর্শে বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ রথীন চক্রবর্তী।

হাত কাঁপছে কেন?
কেবল প্রবীণদের নয়। তরুণরাও জর্জরিত হাত কাঁপার সমস্যায়। কেন কাঁপে হাত? আলোচনা করলেন বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সের চিকিৎসক ডাঃ অর্পণ দত্ত।

পা ফোলা থেকে মুক্তি
পরামর্শে বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায়।

আয়রন
আয়রন আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য, কারণ এটি হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে এবং রক্তে অক্সিজেন পরিবহণ নিশ্চিত করে। আয়রনের ঘাটতি ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, চুল পড়া, হাত-পা ঠান্ডা হওয়া এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আয়রনসমৃদ্ধ খাবার রাখা জরুরি, যেমন পালং শাক, মসুর ডাল, ডিম, গুড়, বাদাম, মাছ ও মাংস। গর্ভবতী নারীদের পর্যাপ্ত আয়রন গ্রহণ করা আরও গুরুত্বপূর্ণ, যাতে শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে আয়রনের অভাব দেখা দিতে পারে, তাই খাদ্যাভ্যাসে সচেতনতা আবশ্যক।

টেনশন
টেনশন কি খারাপ? নাকি একটু আধটু টেনশন থাকা ভালো? কী করলে মিলবে অ্যাংজাইটি থেকে মুক্তি? পরামর্শে সাইকোলজিস্ট ডঃ রূপ কল্যাণ। F

ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে করবেন কী?
হাঁটু ফুলতে শুরু করেছে এমন অবস্থায় দরকার পড়লে হাঁটু থেকে ফ্লুইড বের করে পরীক্ষা করেও দেখা যেতে পারে যে ওই ফ্লুইডে ইউরিক অ্যাসিডের ক্রিস্টাল আছে কি না।