ভোরের কুয়াশামাখা ঘন সবুজ পথ পেরিয়ে একটা গাড়ি আস্তে আস্তে এগিয়ে চলেছে। নির্ধারিত গন্তব্য আছে, কিন্তু তাড়া নেই আরোহীদের। আরোহীরা পঞ্চাশ পেরনো যুবক-যুবতী। ফিরতে চাইছে তিরিশ বছর আগের কোনও এক দিনে। ইউনিভার্সিটি চত্বরে। সেইজন্যই রাহুল কলকাতা এসেছে এবার। আসলে দীর্ঘ তিরিশ বছর পরে সুদীপ্তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়ে যাওয়ায় অনেক কথা উঠে এসেছে দু'জনের আলাপচারিতায়। ফেসবুকে রাহুল খুঁজে পেয়েছে সুদীপ্তাকে। প্রাথমিক আলাপচারিতায় রাহুল জেনে নিয়েছে সুদীপ্তা দুই ছেলের মা, সুখী ঘরণী, ব্যাঙ্কে কাজ করে। সুদীপ্তার বর কলেজে পড়ায়, যথেষ্ট কেয়ারিং। সুদীপ্তাও রাহুলের হাল-হকিকত জানতে চেয়েছে। রাহুলও দুই সন্তানের পিতা কিন্তু গৃহকোণে সুখের উঁকিঝুঁকি কিঞ্চিৎ কম। এসব কথা জানা মাত্রই সুদীপ্তা কিশোরকে না বলে পারেনি। কিশোর সুদীপ্তার বর। আর কিশোর রাহুলকে চেনেও। একই ইউনিভার্সিটি হলে ব্যাচের তফাত থাকলেও লতায় পাতায় চেনা হয়ে যায়। বিশেষত মফস্সলের ইউনিভার্সিটিতে। সেখানে মোটামুটি সবাই হস্টেলে থেকে পড়ে, তাই সবাই সকলের খবরও বেশ বেশি রাখে। আর কখন যেন মনে মনে আত্মীয়তা হয়ে যায়। তারপর সারাজীবন যেখানেই যার সঙ্গে দেখা হোক, অমুক ইউনিভার্সিটির বললেই যেন আত্মীয় কথা বলছে বলে মনে হয়। কিশোর শুনে বলল, 'বলছে, ওরকম ছেলেরা বলে। তুমি সত্যি ভেবে বোসো না!' সত্যি বলে ভাবেনি সুদীপ্তা, কিন্তু মনের কোণে কী এক দুর্বোধ্য ভাব খেলতে থাকে বুঝতে পারে না সুদীপ্তা।
Denne historien er fra 30 November 2024-utgaven av Saptahik Bartaman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra 30 November 2024-utgaven av Saptahik Bartaman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
কৃপণ যখন দাতা
কৃপণতার গল্পটি তথাগত বুদ্ধ একদিন ভিক্ষুদের বলেছিলেন। এতে বারাণসীর এক ধনী পরিবারে জন্ম নেওয়া মৎসরী নামক এক কৃপণের কথা উঠে আসে, যিনি সম্পদ থাকা সত্ত্বেও দান বা ভোগে কৃপণ ছিলেন। নিজের জন্য পায়েস রান্না করতে বনে চলে যান, যেন কেউ গন্ধ পেয়ে অংশ চাইতে না পারে। দেবরাজ ইন্দ্র তাঁকে শিক্ষা দিতে এসে দানের গুরুত্ব বোঝান, যা তাঁর জীবন বদলে দেয়। গল্পটি কৃপণতা ত্যাগ করে দানশীলতার শিক্ষা দেয়।
গোপনীয় তথ্যের হদিশ
ডিটেকটিভ তারিণীচরণ ৷ কৌশিক মজুমদার ৷ বুক ফার্ম বাঙালি ৷৷ ৩৯৯ টাকা। কাজল মণ্ডল
কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামের ইতিহাস
ভারতীয় সংস্কৃতির সন্ধানে (ইন্দো-চীন পর্ব) ৷৷ তিলক পুরকায়স্থ ৷৷ অমর ভারতী (৮সি, টেমার লেন, কল-৯) • অনির্বাণ রক্ষিত
রহস্যে মোড়া বাড়ি
শ্রীকান্ত মঞ্জিলের রহস্য । ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় ৷ দীপ প্রকাশন (২০৯এ, বিধান সরণি, কল-৬) ৷৷ ২৫০ টাকা। • অরুণ মুখোপাধ্যায়
এআইয়ের অ-আ-ক-খ
কৃত্রিম বুদ্ধির চ্যালেঞ্জ ও স্কুল কলেজের ছেলেমেয়েরা ৷ ডঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷৷ দে'জ পাবলিশিং ৷৷ ২২৫ টাকা। • নিজস্ব প্রতিনিধি
সাদা বিষ থেকে দূরে থাকুন
240 বাঙালি বাড়ি মানেই ঘুম ভাঙলেই চিনি দেওয়া চা! টিফিনে ময়দার আইটেম। দুপুরে পাতের পাশে কাঁচা নুন আর সন্ধেয় নোনতার সঙ্গে মুড়ি। রাতের পাতে মিষ্টি মাস্ট! খেয়াল করে দেখুন— চিনি, নুন, ময়দার রং সাদা। বাড়ির খুদে থেকে বয়স্ক, সকলের পাতে থাকে এই মেনু। চিকিৎসক, ডায়েটিশিয়ান, বৈদ্য— সকলেই স্বীকার করছেন, তিনটি উপাদানই আসলে সাদা বিষ। কেউ কেউ একধাপ এগিয়ে বলছেন, খাবার মুখরোচক বানাতে আজিনামোটোও মেশানো হয়। | ধীরে ধীরে এই উপাদানগুলি শরীরে ঢুকে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, হার্ট অ্যাটাকের মতো গুরুতর অসুখের সূত্রপাত ঘটায়। কীভাবে বাঁচবেন এই সাদা বিষ থেকে? বিকল্প ব্যবস্থাই বা কী? জানাচ্ছেন ডাঃ আশিস মিত্র, ডায়েটিশিয়ান মীনাক্ষী মজুমদার, আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডাঃ বিশ্বজিৎ ঘোষ, ডাঃ তীর্থপ্রতিম পুরকাইত।
নুন, চিনি, ময়দা, আজিনামোটো কতটা খাবেন?
চিনি ও সরল শর্করা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মিষ্টি স্বাদ এনে দিলেও অতিরিক্ত সেবন শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সরল শর্করা দ্রুত রক্তে সুগার বাড়িয়ে ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা এবং ফ্যাটি লিভারের কারণ হতে পারে। রসগোল্লা, ক্যান্ডি, কেকের মতো খাবারে সরল শর্করা বেশি থাকে, যা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি করে। মিষ্টিজাতীয় খাবার কমিয়ে, জটিল শর্করা যেমন শাকসবজি, আটার রুটি খাওয়া ভালো। নুন ও ময়দার অতিরিক্ত সেবনও স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। সুতরাং, সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রেখে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন।
আয়ুর্বেদে সাদা বিষ ঝরিয়ে ফেলুন
আয়ুর্বেদ শুধু চিকিৎসা নয়, এটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিজ্ঞান। এটি স্বাস্থ্যের সুরক্ষা, রোগ প্রতিরোধ, খাদ্যাভ্যাস, এবং অনাক্রমতা বৃদ্ধির উপায় নির্দেশ করে। গমের আটা স্বাস্থ্যকর হলেও ময়দা তুলনামূলকভাবে ক্ষতিকারক। অতিরিক্ত ময়দা, নুন, চিনি বা আজিনামোটো জাতীয় খাদ্যদ্রব্য শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে, যেমন ডায়াবেটিস, স্থূলতা, হজমের সমস্যা, ও ফ্যাটি লিভার। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় উপাদান গ্রহণ স্বাস্থ্য রক্ষায় জরুরি।
একনজরে সাদা বিষ খাওয়ার বিপদ
নুন, চিনি, ও ময়দার অতিরিক্ত সেবন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। নুন প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হলেও লুকানো নুনের কারণে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে। চিনি ডায়াবেটিস, পিসিওডি, ও ফ্যাটি লিভারসহ নানা সমস্যার কারণ। ময়দা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর, যা স্থূলত্ব, ডিপ্রেশন, এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। প্যাকেটজাত খাবার ও রিফাইন্ড ময়দার খাদ্য পরিহার করা উচিত। সচেতন ডায়েট স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ।
কুয়াশা
সুদীপ্তার জীবনে চল্লিশোর্ধ্ব বয়সে এক অপ্রত্যাশিত অধ্যায় শুরু হয়। ত্রিশ বছর আগের একটি বন্ধুত্ব এবং তার স্মৃতি, যা ফেসবুকে রাহুলের মাধ্যমে পুনর্জীবিত হয়, তার মনে আবেগের ঢেউ তোলে। কিশোরের প্রতি গভীর ভালোবাসা থাকা সত্ত্বেও, সুদীপ্তার মনে রাহুলের চিঠি এবং গানগুলি অজানা এক টান সৃষ্টি করে। নিজের নীতি, সম্পর্কের জটিলতা, এবং জীবনের বাস্তবতার মাঝে সুদীপ্তা বারবার দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এই গল্প আত্ম-পর্যালোচনা এবং জীবনের প্রতি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি খুঁজে পাওয়ার এক অনবদ্য যাত্রা।