গুয়াহাটি ব্রহ্মপুত্র তীরবর্তী গুয়াহাটি সুপ্রাচীন জনপদ। অতীতে এর নাম ছিল প্রাগজ্যোতিষপুর আর রাজ্যের নাম ছিল কামরূপ। স্বাধীন ভারতে গুয়াহাটিকে বলা হয় উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার। সড়ক এবং রেলপথের এক গুরুত্বপূর্ণ জংশন গুয়াহাটি। গুয়াহাটি শহরে দর্শনীয় স্থানের সংখ্যা এতই বেশি যে, সব একবারে দেখতে গেলে পাঁচ-ছ'দিন সময় লাগবে। তাই আমরা ‘অবশ্য দ্রষ্টব্যে’ মন দেব।
গুয়াহাটিকে ‘মন্দিরের শহর’ বললে অতিশয়োক্তি হয় না। শহরের প্রতিটি পাড়াতেই রয়েছে একটি বা একাধিক মন্দির। এছাড়া নদী বা জলাশয়ের তীর, জঙ্গলাকীর্ণ স্থান বা টিলার শীর্ষেও রয়েছে দেবালয়ের উপস্থিতি। তবে, প্রথমেই উল্লেখ করতে হবে নীলাচল পাহাড়ের কোলে সতীপীঠ, কামাখ্যা মন্দিরের। রেলস্টেশন থেকে দূরত্ব প্রায় ৮ কিলোমিটার। যাতায়াতের জন্য রয়েছে বাস, ট্রেকার, অটোরিকশা এবং ভাড়ার গাড়ি। মন্দির খোলা থাকে সকাল ৮টা থেকে দুপুর একটা এবং বিকেল তিনটে থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। মন্দিরে প্রবেশ করা এবং পুজো দেওয়ার জন্য দু’টি লাইন পড়ে। একটি সাধারণ লাইন, অন্যটি পাঁচশো টাকার টিকিট কেটে বিশেষ লাইন। পুজো দিতে হয় পান্ডার সাহায্যে। অমায়িক ব্যবহার এবং কোনওরকম জোরজুলুম না করার জন্য বিশেষ সুখ্যাতি রয়েছে তাঁদের। মন্দিরে প্রবেশ করলেই তার প্রাচীনত্ব বেশ ভালো ভাবে অনুভব করা যায়। ঘোরানো সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামার পর সতীপীঠের দর্শন মেলে। নীলাচল পাহাড়ের উপর রয়েছে ভুবনেশ্বরী দেবীর মন্দিরও। হেঁটে বা গাড়িতে মন্দিরে যাওয়ার পথে চোখে পড়বে ব্রহ্মপুত্র নদ। উমানন্দ মন্দিরের অবস্থান এই ব্রহ্মপুত্রেরই একটি ছোট দ্বীপভূমিতে, নাম পিকক আইল্যান্ড। এটি বিশ্বের ক্ষুদ্রতম নদী-দ্বীপ, যেখানে স্থায়ী ভাবে মানুষের বসবাস আছে।
Denne historien er fra August 2023-utgaven av Bhraman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra August 2023-utgaven av Bhraman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
উমরুকুঠির অতিথি
শীতের মুখে শিকারি পাখি আমুর ফ্যালকন সাইবেরিয়া থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পাড়ি দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। দীর্ঘ উড়ালপথে তারা খানিক বিশ্রাম নেয় আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুরের নানা জায়গায়। আসাম-মেঘালয় সীমান্তের উমরুকুঠি গ্রাম গত পনেরো বছর ধরে তাদের বিশ্রামের এমনই এক আস্তানা। নভেম্বরের অভিজ্ঞতা।
পথের বাঁকে তিলওয়ারা
তিলওয়ারার মন্দাকিনী রিসর্টের চত্বরের গাছে গাছে ফুল, ফল আর তার টানে পাখিদের আনাগোনা। মন্দাকিনীর বয়ে চলার নিরন্তর কুলুকুলু ধ্বনিটিও মনে রয়ে যায়। রুদ্রপ্রয়াগ থেকে তিলওয়ারা যেতে আধঘণ্টা লাগে। উখিমঠ থেকে তিলওয়ারা ৩৭ কিলোমিটার।
কাঠমান্ডুতে পাঁচ দিন
কাঠমান্ডুর প্রাসাদ, মন্দির, স্তূপ, জলপ্রপাত, পাটনের অপরূপ প্রাচীন সব স্থাপত্য আর নাগরকোটের আকাশজোড়া হিমালয় তুষারশৃঙ্গ— পাঁচদিনের এক জমজমাট ভ্রমণকথা । বর্ষার দিনগুলি বাদে যাওয়া চলে সারাবছর।
নিস্তরঙ্গ ম্যাকলাস্কিগঞ্জ
পথের ধারে বিস্তীর্ণ শালবন, জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তিরতিরে নদী চাট্টি আর ডুগাডুগি, স্থানীয় মানুষের সরল জীবনযাত্রা, অ্যাংলো সাহেবদের ছেড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি, সব মিলিয়ে শীতের ম্যাকলাস্কিগঞ্জে এক নিস্তরঙ্গ অবসর যাপন করতে ভালো লাগে।
সন ট্রা পাহাড় ঘুরে পুরনো শহর হোই আন
বিপন্ন প্রজাতির বানর রেড-শ্যাংকড ডুকের বাসস্থান সন ট্রা পাহাড় ভিয়েতনামের দানাং শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার। প্রাচীন বর্ণময় শহর হোই আন যেতে দানাং থেকে লাগে ৪০ মিনিট। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল। তবে, এপ্রিলে গেলে সদ্যোজাত ডুকছানাদের দেখা মিলবে।
ওমানের মরুতে মরূদ্যানে
ডেজার্ট ক্যামেল সাফারি, জিপ সাফারি, ডেজার্ট ট্রেকিং, স্যান্ড বাইকিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।
ওড়িশার জলে জঙ্গলে
নৌকো নিয়ে মংলাজোড়ির জংলাজলায় পাখি দেখে ভিতরকণিকার খোলা থেকে নৌবিহারে একের পর এক কুমিরদর্শন করে সিমলিপাল অরণ্যসফর। ওড়িশার জলে-জঙ্গলে বেড়ানোর সেরা সময় নভেম্বর থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত।
গাঢ় সবুজ ওয়েনাদ
দিগন্তবিস্তৃত সমভূমি, পাহাড়ের গায়ে একদিকে চা-বাগান, অন্যদিকে জঙ্গল, অরণ্যে ঘেরা হ্রদ— সব কিছু নিয়ে সজল সবুজ ওয়েনাদ। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল।
কানাকাটা পাস
কুমায়ুন হিমালয়ের সুন্দরডুঙ্গা উপত্যকার দক্ষিণে কানাকাটা পাস। পথের শুরুতেই পেরতে হয় পিণ্ডার আর সুন্দরডুঙ্গা নদী। হাঁটাপথের সাক্ষী থাকে ভানোটি, থারকোট, মৃগথুনি, মাইকতোলি শৃঙ্গেরা। পথে পড়ে পাহাড় ঘেরা দেবীকুণ্ড, নাগকুণ্ড সরোবর। পথের ধারে ফুটে থাকে ব্রহ্মকমল, ফেনকমল ফুল। সাতদিনের এই হিমালয় পদযাত্রা ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরের।
ইন্ডিয়ান স্পট-বিলড ডাক
আপনিও লেখা-ছবি পাঠাতে পারেন 'বনের পাখি' বিভাগে। পাখিটি কোথায় দেখলেন, পাখিটির বৈশিষ্ট্য ২০০ শব্দের মধ্যে লিখে ছবি-সহ আমাদের দপ্তরে পাঠান। লেখা হতে হবে ওয়ার্ড ফাইলে, ইউনিকোড ফন্টে। পাখির ছবির রেজলিউশন হতে হবে ৩০০ ডিপিআই। মাপ হতে হবে ৮\"x১২\"। সাবজেক্ট লাইনে 'বনের পাখি' (পাখির নাম) লিখে ই-মেল করুন এই ঠিকানায়: bhraman.pix@gmail.com একসঙ্গে দু'টির বেশি ই-মেল পাঠাবেন না।