পয়লা বৈশাখে মহানন্দা অভয়ারণ্য পেরিয়ে, আমাদের গাড়ি ছুটল তিস্তার | পাড় ধরে। তিস্তা বাজার, মেল্লি, রংপো, সিংটাম, দিকচুকে পিছনে ফেলে মঙ্গনে এসে পৌঁছলাম প্রায় সন্ধেয় ।
উত্তর সিকিম জেলার বর্তমান নাম মঙ্গন। সদর শহরও মঙ্গন। হাতে গোনা কিছু বাইক-আরোহী ছাড়া এখানে সেভাবে পর্যটকের পা পড়ে না বললেই চলে। আর তাই, এই ছোট্ট পাহাড়ি শহরটায় এখনও শান্তি বিরাজ করে। মঙ্গন থেকে অনেকটা নীচে সরু সুতোর মতো দেখা যায় তিস্তাকে। আরও উত্তরে, চুংথামে, দুই নদী— লাচুং চু আর লাচেন চু-র সঙ্গমে তার জন্ম হয়েছে। উচ্ছল কিশোরীর মতো মঙ্গনের কোল ঘেঁষে সবুজ তিস্তা ছুটে চলে নীচে, তার সঙ্গী রঙ্গিতের সঙ্গে মিশে যেতে।
রাতে থাকার জন্য দুটো ঘর পাওয়া গেল বাসস্ট্যান্ডের কাছেই একটা হোটেলে। স্নান সেরে একটু বিশ্রাম নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম খাবারের সন্ধানে। শহরের একদম নীচের দিকে একটা চিনা রেস্তোরাঁয় সন্ধের মধ্যেই রাতের খাওয়াদাওয়া সেরে নিলাম। বাকি সন্ধেটা কাটল আড্ডা দিয়ে। পরদিন মঙ্গন থেকে গাড়ি নিয়ে এলাম লাচেন। পথে পড়ল নাগা, মিয়াংচু-র মতো ছোট-বড় বেশ কিছু জলপ্রপাত, কিছু জংলা উপত্যকা, আর চুমথাং। এখান থেকেই দুটো রাস্তা দু'দিকে বেঁকে গেছে। ডান দিকের রাস্তা চলে গেছে লাচুংয়ের পথে, আর অন্যটা লাচেনের দিকে। লাচেন, অর্থাৎ বড় পাহাড়, আর লাচুং শব্দের অর্থ ছোট পাহাড়। এই গ্রামদুটোর বাসিন্দারা সকলেই ভোটিয়া। এবার আমাদের এখানে আসা মূলত রডোডেনড্রনের মরশুমে উত্তর সিকিমের শোভা দেখতে। বিকেলে হাঁটতে হাঁটতে লাচেন ছাড়িয়ে কিছু দূর গেলাম। খাদের মধ্যে ফুটে থাকা লাল রডোডেনড্রন আর্বোরিয়াম সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে। স্থানীয়রা বলেন লালি গুরাস। এই ফুলের পাপড়ি সংগ্রহ করে গ্রামবাসীরা তা থেকে জুস বা ওয়াইন তৈরি করেন।
Denne historien er fra March 2024-utgaven av Bhraman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra March 2024-utgaven av Bhraman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
আদি কৈলাসের পথে
একটা হোমস্টে। অনন্ত আকাশে কেবল দুটো চিল উড়ছে। প্রায় পনেরো হাজার ফুটে হাতে চায়ের কাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। আমায় ঘিরে রেখেছে অসীম, উদার প্রকৃতি।
ত্রিপুরার ডম্বুর দীর্ঘ জলপথ পেরিয়ে এক আশ্চর্য দ্বীপে
আকাশের চাঁদ আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। অন্ধকার সর্বব্যাপী নয়, আলো আছে। আলোর কথা ভেবে আনন্দ হয়।
মারাটুয়ার জলে-জঙ্গলে
বোটচালক একবার মেঘের দিকে দেখছে, একবার জেটির দিকে! আগে আমরা জেটি ছোঁব? না, আগে বৃষ্টি আমাদের ছোঁবে ? রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনায় দেখতে থাকি, বোটটা যেন জলের উপর দিয়ে উড়ছে!
তপোভূমি তপোবন
দেখলে মনে হবে, গিরিশিরা ধরে হাঁটতে হাঁটতে শিবলিংয়ের মাথায় চড়া বুঝি সম্ভব। তবে, বাস্তবে শিবলিংয়ের শীর্ষারোহণ অন্যতম কঠিন অভিযান।
পালাসের বিড়ালের খোঁজে মোঙ্গোলিয়া
শহরে এসেও বার বার মনে পড়ে যাচ্ছে উদার, অসীম প্রান্তরে পেয়েছিলাম এক অপার স্বাধীনতার অনুভূতি আর প্রকৃতির সঙ্গে এক প্রত্যক্ষ সংযোগের বোধ।
আন্টার্কটিকা পৃথিবীর শেষ প্রান্তে অভিযান
মাদ্রিদের হোটেলে রাত কাটিয়ে পরদিন আমস্টারডাম ঘুরে নামলাম ব্রিস্টলে।
ড্যানিশ রিভিয়েরা
আর আছে ড্যানিশ ঐতিহ্যের ছোঁয়া। আশেপাশে জেলেদের গ্রাম। জেলেডিঙি ছড়িয়েছিটিয়ে রাখা থাকে সমুদ্রতটেই। সোজা সোজা রাস্তা একেবারে নিরালা !
পাহাড়ি গরিলা আর শিম্পাঞ্জির খোঁজে
গাইডের আশ্বাস পেলাম, একটা না একটা নিশ্চয়ই নীচে নামবে। তাঁর কথা কিছুক্ষণ পরই সত্যি হল।
মুঘল রোডে পীর কি গলি
আমরা দেখলাম বহু স্থানীয় মানুষ বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই দরগার চাতালে বসে প্রার্থনা করছেন।
কানাডার জলে জঙ্গলে
লিসা কখন নিজের হাতে এনে দিয়ে গেছেন জলের বোতল, আপেলের রস আর ওয়েফার। লাঞ্চ প্যাকেট খোলাই হয়নি। পড়েই রইল সেসব।