হায়দরাবাদ বলতেই প্রথম যে-চারটি বিষয় মনে আসে, তা হল, চারমিনার, গোলকোন্ডা কেল্লা, বিরিয়ানি ও হা তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প। যদিও এই গুটিকতক বস্তু ছাড়াও অনেক কিছু দেখার আছে হায়দরাবাদে। প্রাচীন ইতিহাস এবং আধুনিকতার এক মনোরম মিশেল দেখতে পাবেন তেলঙ্গানা রাজ্যের রাজধানীতে।
চারমিনার পুরনো হায়দরাবাদ শহরের জনবহুল প্রাণকেন্দ্রে এই বিরাট কাঠামো নির্মিত হয়েছিল ১৫৯১ খ্রিস্টাব্দে, সম্ভবত হায়দরাবাদ থেকে প্লেগ নির্মূল হওয়ার ঘটনার স্মারক হিসেবে। নির্মাণ করেন কুতুব শাহী বংশের পঞ্চম সুলতান মহম্মদ কুলি কুতুব শাহ। কাঠামোটির চার কোনায় চারটি মিনার। ঘোরানো সিঁড়ি দিয়ে চারমিনারের প্রথম তলায় ওঠা যায়, তবে মিনারের উপর ওঠার অনুমতি নেই। প্রথম তল থেকে হায়দরাবাদের গোটা এলাকাটাই চোখে পড়ে। চারমিনার অঞ্চলে গাড়ির প্রবেশ নিষিদ্ধ। দেখতে হবে হেঁটে। এই অঞ্চলটি হায়দরাবাদের খাওয়াদাওয়ার সেরা জায়গা। স্ট্রিট ফুড দেদার, আবার নামী রেস্তোরাঁও রয়েছে। হায়দরাবাদি বিরিয়ানির জন্য সুখ্যাত প্যারাডাইস ও পিস্তা হাউস। আর আছে করাচি বেকারি, এদের ফ্রুট বিস্কুট অবশ্যই খাবেন।
মেক্কা মসজিদ চারমিনারের দক্ষিণ-পশ্চিমে হায়দরাবাদের প্রধান ও সর্ববৃহৎ মসজিদ। নির্মাণকাল ১৬৯৩ খ্রিস্টাব্দ। মেক্কা মসজিদে একসঙ্গে দশ হাজার মানুষ নামাজ পড়তে পারেন। মসজিদ প্রাঙ্গণেই আছে নিজামদের সমাধিক্ষেত্র।
চৌমহল্লা প্রাসাদ মেক্কা মসজিদের সামান্য দক্ষিণ-পশ্চিমে, এই প্রাসাদটি এক সময় ছিল নিজামদের বাসস্থান ও দরবার। বর্তমানে মিউজিয়াম। চারটি মহল বিশিষ্ট প্রাসাদের চারপাশে সুসজ্জিত উদ্যান। হায়দরাবাদ ও নিজামদের ইতিহাস ও বিভিন্ন ঐতিহাসিক সামগ্রী সংরক্ষিত হচ্ছে এই মিউজিয়ামে।
লাধ বা চুড়িবাজার চারমিনারের পাশেই আছে লাধ বা চুড়িবাজার। লাধ শব্দের বাংলা অর্থ গালা। গালার তৈরি চুড়ির জন্য এই বাজারের খুব নাম। এছাড়াও এখানে পাবেন আমেরিকান ডায়মন্ড ও হায়দরাবাদি মুক্তোর নানা ইমিটেশন গয়না।
Denne historien er fra July 2024-utgaven av Bhraman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra July 2024-utgaven av Bhraman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
বাঁকুড়ার অষ্টসখী দুর্গার গ্রামে
এবছর যাঁরা আমরাল গ্রামের অষ্টসখী দুর্গাপুজো দেখতে যেতে চান, তাঁরা যোগাযোগ করতে পারেন সঞ্জয় গোস্বামীর সঙ্গে: -৮৯১৮১-৩৬০৫৬
ইতিহাসের দিল্লি
প্রায় দু'হাজার পাঠক-পাঠিকা এক সঙ্গে বসে পড়াশোনা করার মতো একটি সুবিশাল হলঘরও আছে এখানে।
স্মৃতির নগরী আগ্রা
আছে আরও নানা স্থাপত্য। তবে কেল্লা-প্রাঙ্গণের মূল আকর্ষণ সেলিম চিস্তির দরগা। শ্বেতপাথরের এই দরগাটি কেল্লার জামি মসজিদ প্রাঙ্গণে অবস্থিত।
বারাণসীর পথ-ঘাট অলিগলি
বারাণসীর খাওয়াদাওয়া বারাণসীর গলি, তস্য গলির মধ্যে পথ হারানোর সম্ভাবনা প্রবল। তবে গলিতে মানুষের কোনও অভাব নেই, তাঁরাই বাতলে দেবেন পথ। এই সব গলির দেওয়ালে আঁকা আছে রংবেরঙের চিত্র। ছবির বিষয় কেবল ধর্মীয় বা পৌরাণিক কাহিনিই নয়, সমসাময়িক সমাজও। এই অলিগলি থেকে শুরু করে রাজপথ, সর্বত্রই খাবারের দোকান পাবেন। বারাণসীতে এসে রসনাকে তৃপ্তি না দিলে নিজেই ঠকবেন! বেনারসের সকাল শুরু হয় গরম কচুরি দিয়ে, সঙ্গে নিতে পারেন মালাই টোস্ট আর চা। বেনারসের আর-এক জনপ্রিয় খাবার চাট। ফুচকা থেকে বড়া আর টম্যাটো থেকে কচুরি, সব কিছুরই চাট মেলে বেনারসে। চাটের সঙ্গে আছে ঠান্ডা কুলফি ও ফালুদা। শীতে বেনারস গেলে অবশ্যই চেখে দেখবেন মালায়িও— মালাই ও মাখনের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। অনেকের মতে মালায়িও হল মিষ্টির রাজা। এছাড়া রাবড়ি, লস্যি আর শেষ পাতে নানা স্বাদগন্ধের বেনারসি পান তো আছেই !
চেনা কাশ্মীর দেখে অল্প চেনা পথে
আরও আনন্দের হয় যদি শ্রীনগর থেকে চলে যেতে পারেন কাশ্মীরের অচেনা স্বর্গ তোসা ময়দান । তুষারে মাখা পিরপাঞ্জাল পর্বতশ্রেণি ঘিরে আছে বিস্তীর্ণ তৃণভূমিকে। ঢেউখেলানো ময়দানের বুক চিরে খরস্রোতে বয়ে চলেছে সুখনাগ নদী। ছাগল, ভেড়া, ঘোড়া মনের সুখে চরে বেড়ায় সেই সবুজ প্রান্তরে। শ্রীনগর থেকে তোসা ময়দানের দূরত্ব ৫২ কিলোমিটার। গাড়িতে যাতায়াতের খরচ পড়বে ৬,০০০-৭,০০০ টাকা। শ্রীনগরের কোনও হোটেলে রাত্রিবাস করেই সারাদিনের সফরে দেখে নেওয়া যায় তোসা ময়দান। তবে কেউ যদি তোসা ময়দানে তাঁবুতে রাত্রিবাস করতে চান, কিংবা সীতাহরণ গ্রামের হোমস্টেতে থাকতে চান তাঁরা যোগাযোগ করতে পারেন সীতাহরণ গ্রামের ফৈয়াজ আহমেদ শেখ (৯৯০৬৮-৫৪২৮৬) ও মনজুর আহমেদ শেখের (৯৯০৬৬-৫৬৫৯১) সঙ্গে। তোসা ময়দান থেকে বিভিন্ন ট্রেকিং প্রোগ্রামের ব্যবস্থার জন্যও কথা বলা যেতে পারে ওঁদের সঙ্গে।
গাড়োয়ালের পথে পথে
অনলাইন রেজিস্ট্রেশন গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ, বদ্রীনাথ এবং হেমকুণ্ড-র যাত্রীদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করা এখন বাধ্যতামূলক। অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য দেখুন এই ওয়েবসাইট: https:// registrationandtouristcare.uk.gov.in কেদারে ডুলি ও ঘোড়ার খরচ বয়স্ক যাত্রীদের পদব্রজে কেদারনাথ যেতে অসুবিধা হলে ঘোড়া বা ডুলিরও ব্যবস্থা আছে এপথে। গৌরীকুণ্ড থেকে ১ কিলোমিটার এগিয়ে কেদার যাওয়ার ডুলি ও ঘোড়া পাওয়া যায়। গৌরীকুণ্ড থেকে ডুলিতে যাওয়া-আসা মিলিয়ে আনুমানিক খরচ ১৪,০০০-১৬,০০০ টাকা। শরীরের ওজন অনুযায়ীও ভাড়ার তারতম হয়। গৌরীকুণ্ড থেকে কেদার যাওয়ার ঘোড়ার সরকারি খরচ ৩,২০০ টাকা। তবে চাহিদা অনুযায়ী আরও অনেক আনুষঙ্গিক খরচ যুক্ত হয়। ফেরার পথে কেদার থেকে গৌরীকুণ্ড ঘোড়ার খরচ ২,০০০ টাকা। জেনে রাখুন সাধারণত মদমহেশ্বরের মন্দির অক্ষয় তৃতীয়ার দিন খোলে আবার দীপাবলির পর বন্ধ হয়। মন্দির বন্ধ হওয়ার সময় মদমহেশ্বরের প্রতিমূর্তি ডোলিতে নামিয়ে আনা হয় উখিমঠের ওঙ্কারেশ্বর মন্দিরে।
কুমায়ুন ভ্রমণ
লালকুঁয়া থেকে করবেট অরণ্য লালকুঁয়া থেকে করবেটের দূরত্ব মোটামুটি ৭০ কিলোমিটার। ১,২৮৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই অরণ্য আটটি 'জোন'-এ বিভক্ত। জনপ্রিয় জোনগুলি হল ধিকালা, বিজরানি, ঝিরনা ও ঢেলা। এর মধ্যে আবার ধিকালা জোনেই সরকারি থাকার ব্যবস্থা ও বিভিন্ন ধরনের সাফারির ব্যবস্থা সব চেয়ে ভালো। উপরোক্ত সবক'টি জোনেই বনবিভাগের লজ, গেস্টহাউস আছে। বাফার এলাকায় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকার ব্যবস্থাও আছে। আগে থেকে বুকিং করলে অবশ্যই ধিকালা বা বিজরানি জোনের জন্যই চেষ্টা করা উচিত। তবে, জঙ্গলে বন্যপ্রাণীর দেখা পাওয়া সবসময়ই ভাগ্যের ব্যাপার! ধিকালা জোনে থাকলে ধানগঢ়ী গেট দিয়ে প্রবেশ করার পথে কোশী নদীর বুকে গর্জিয়া দেবীর মন্দির দেখে নেওয়া যেতে পারে। করবেট থেকে ফেরার পথে কালাধুঙ্গিতে জিম করবেটের বাসস্থান ও মিউজিয়াম দেখে নেওয়া যায়। পথের ধারে একটি অত্যন্ত অনাড়ম্বর দুই কামরার বাড়িতে জিম করবেট থাকতেন। বর্তমানে এটিকে একটি সুন্দর মিউজিয়ামে পরিণত করা হয়েছে। করবেট অরণ্য সম্বন্ধে বিশদে জানতে ৫৫ পৃষ্ঠা দেখুন।
উত্তরের অরণ্য
দুধওয়া জঙ্গলের প্রবেশপথেই রয়েছে অনেকগুলো কটেজ নিয়ে সরকারি বনবাংলো। পালিয়া কালানে বেসরকারি হোটেলও আছে।
বুদ্ধ-জীবনের আট মহাস্থান
সেই থেকে এর নাম মর্কট হ্রদ। এটি বুদ্ধের জীবনের আট মহত্তম ঘটনার অন্যতম ।
এক যাত্রায় গুজরাত দিউ
ফোর্টটি বেশ বিস্তৃত এবং সজ্জিত। এছাড়া দেখে নিন আই এন এস খকরি