
শীতের মুখে সপ্তাহান্তে ভোর ভোর দুই সঙ্গীকে নিয়ে গাড়িতে কলকাতা ছাড়লাম। হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদী পেরিয়ে দুপুরের আগেই পৌঁছে গেলাম দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জে। ফিশিং হারবারের কাছে, গাছে ভরা নিরিবিলি রাস্তা ধরে কিছুটা এগোলেই, অনেকটা জায়গা জুড়ে বেনফিশের অতিথি নিবাস ‘সাগরকন্যা' ও 'সাগরি’। এখানে একটি কটেজে আমরা দু'দিন থাকব। কটেজের সামনে বড় জলাশয়। এমন জলাশয় অতিথি নিবাসের ভিতরে আরও একটা আছে। তাতে শাপলা ফুটে থাকে। চারপাশে নানা রকমের ফল ও ফুলের গাছ। অতিথি নিবাসের ফুলের বাগানটি বিশেষ করে নজর কাড়ে। সকাল-সন্ধে দেখা মেলে নানান পাখি ও প্রজাপ্রতির ।
আগে থেকেই অতিথি নিবাসের ক্যান্টিনে বলা ছিল, তাই তাড়াতাড়ি মধ্যাহ্নভোজ সেরেই আমরা গেলাম বন্দরে। সার দিয়ে মাছ ধরা ট্রলার দাঁড়িয়ে। কোনওটা মাছ ধরে ফিরছে, কোনওটা আবার মাছ ধরতে যাওয়ার তোড়জোড় করছে। হাসিঠাট্টা গালগল্প চলেছে মাঝি-মাল্লাদের মধ্যে। আমি ফ্রেমবন্দি করছি সেই সব মুহূর্ত। এরই মধ্যে একজন এসে প্রস্তাব দিলেন, তাঁর লঞ্চে করে জম্বুদ্বীপ যাওয়ার। ভাড়া নিয়ে দরাদরি চলল। রফা হতে লঞ্চে উঠলাম। এই ধরনের বজরার মতো লঞ্চগুলি পর্যটকদের ঘুরিয়ে আনে। ফাঁকা লঞ্চের ডেকে গিয়ে বসলাম। লঞ্চ মাঝ-সমুদ্রে ভেসে চলল।
সমুদ্রপথে এই যাতায়াতটাই শহুরে পর্যটকদের আনন্দ দেয়। নাহলে, বঙ্গোপসাগরের জম্বুদ্বীপে এখন আর নামা যায় না, সরকারি নিষেধ। এক সময় কয়েক ঘর ধীবর বসবাস করতেন। পরিবেশের ক্ষতি হওয়ায় সরকার তাঁদের পুনর্বাসন দিয়েছে ফ্রেজারগঞ্জ ও অন্যান্য দ্বীপে। আমাদের লঞ্চ জনমানবহীন জম্বুদ্বীপের কাছাকাছি এসে নোঙর ফেলে দাঁড়াল। দূর থেকে দেখছি জন্তু সৈকতের রুপোলি বালি রোদে চকচক করছে। সৈকতের পিছনে ঝাউবন। নিশ্চিন্তে উড়ে বেড়াচ্ছে সিগালের দল। নির্মল বাতাস আর চারপাশের শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ চুম্বকের মতো টেনে রাখল। মন চাইছিল, আরও কিছুক্ষণ বজরা এখানে থেমে থাকুক। কিন্তু থাকা গেল না। জলপুলিশের স্পিডবোট আসতে দেখে নোঙর তুলে নিল মাঝি। ফিরে এলাম বন্দরে। দিনের আলো কমে আসছে। অতিথি নিবাসে ফিরে আবার গাড়ি নিয়ে বেরলাম কার্গিল বিচে, সূর্যাস্ত দেখতে।
Denne historien er fra February 2025-utgaven av Bhraman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra February 2025-utgaven av Bhraman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på

ইয়েলবং
গুহার মধ্যে রুমতি নদীর পাথুরে খাতে হাঁটুজলে বুকজলে হাঁটা, উপর থেকে ঝরে পড়া নদীর জলে ভিজে যাওয়াইয়েলবংয়ে নদীখাত পদযাত্রার সেরা সময় মার্চ-এপ্রিল।

চোপতা তুঙ্গনাথ আউলি গরসন বুগিয়াল
হরিদ্বার থেকে দেবপ্রয়াগ, রুদ্রপ্রয়াগ, কুণ্ড হয়ে চোপতা। চোপতা থেকে তুঙ্গনাথ, চন্দ্রশিলা। তারপর যোশিমঠ থেকে বদ্রীনাথ, আউলি হয়ে গরসন বুগিয়াল। গাড়োয়ালের নিসর্গপথে বেড়ানোর সেরা সময় গ্রীষ্মকাল।

ভাগামনের চা-বাগানে
চা-বাগান, বুগিয়াল আর পাইনবনে ছাওয়া গাঢ় সবুজ ভাগামনে সারাবছর যাওয়া চলে। গ্রীষ্মে তাপমাত্রা ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করে। ভাগামনের বাড়তি পাওনা প্যারাগ্লাইডিং।

নতুন পথে গোকিও হ্রদ অভিযান
থোনাক লা (৫,৪১৬ মিটার) আর রেঞ্জো লা (৫,৪৩৫ মিটার)-য় দাঁড়িয়ে সোজা তাকালে আকাশের গায়ে ঝকঝক করে এভারেস্ট শৃঙ্গ, আর চোখ নামালে হিমালয়ের নীলকান্তমণি গোকিও হ্রদ। এভারেস্টের পাড়ায় দু'দিক থেকে গোকিও হ্রদ অভিযানের সেরা সময় গ্রীষ্মকাল।

একুশে ফেব্রুয়ারি
১৯৯৮ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির রাতে, গাজী সাহাবুদ্দিনের বাড়িতে আনিসুজ্জামানের সঙ্গে গভীর আলোচনার পর, ঢাকা শহরের রাস্তায় বাঙালির একুশের মিছিলের অংশ হিসেবে মাতৃভাষার জন্য রক্তদান করা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারে ফুলের পাহাড়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিলাম।

রণথম্ভোরের রাজকাহিনি
রণথম্ভোর অরণ্যে যাওয়া চলে ১ অক্টোবর থেকে ৩০ জুন। তবে, গ্রীষ্মে প্রখর দাবদাহ সহ্য করে জলের ধারে অপেক্ষা করলে বাঘের দেখা পাওয়ারই কথা।

মেঘালয় ভ্রমণ
একের পর এক জলপ্রপাত, হ্রদ, নদী, রুট ব্রিজ, প্রাকৃতিক গুহা— সব কিছু নিয়ে মেঘালয় প্রাকৃতিক সম্পদের এক অফুরন্ত ভাণ্ডার। বেড়ানোর সেরা সময় মার্চ থেকে জুন। তাপমাত্রা এ-সময় ১৬ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করে।

হাব্বা খাতুনের দেশে
কাশ্মীরের চেনাপথ ছেড়ে এক অচেনা কাশ্মীর ভ্রমণ। মারশেরি, বাঙ্গাস, লোলাব, মচ্ছল ও গুরেজ উপত্যকা। গুরেজ উপত্যকায় যেতে হলে যে গিরিবা পেরতে হয়, সেই রাজদান পাস শীতের মাসগুলোয় বরফে ঢাকা থাকে।

লিপুলেখ থেকে কৈলাস পর্বত দর্শন
কুমায়ুন হিমালয়ের লিপুলেখ গিরিবর্তে দাঁড়ালে দেখা যায় সুদূর তিব্বতের কৈলাস পর্বত। গাড়ি চলে যায় লিপুলেখ পাস পর্যন্ত। তবে, লিপুলেখ পাসে যেতে সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক অনুমতি লাগে। নাবি থেকে নাভিধাং হয়ে লিপুলেখ পাস ৩০ কিলোমিটার । নাবি থেকে আরেক পথে জলিংকং হয়ে আদি কৈলাসও ৩০ কিলোমিটার। পার্বতী সরোবরের ধারে আকাশ আলো করে দাঁড়িয়ে আছে আদি কৈলাস।

আয়ারল্যান্ডের পথে-প্রান্তরে
সাগর, নদী, হ্রদ, আদিগন্ত ঢেউখেলানো সবুজ উপত্যকা, প্রাচীন সব দুর্গ, প্রাসাদ, আড্ডাখানা নিয়ে আয়ারল্যান্ড গ্রীষ্মে ভারি মনোরম।