বসন্তে পুরুলিয়া

লাল মাটির পুরুলিয়া জুড়ে দেখার জায়গা অনেক। তার কোনওটির | নেপথ্যে কিংবদন্তি, কোনওটির গুরুত্ব ঐতিহাসিক, কোনওটি বাংলার কৃষ্টির সঙ্গে জড়িয়ে। এছাড়া রুক্ষ মাটি, ছোট টিলা, নিরালা লেক, অভ্র খনি আর সহজ আদিবাসী লোকজন পুরুলিয়ার নিজস্ব সম্পদ। বসন্তে পুরুলিয়ায় এলে বাড়তি প্রাপ্তি শিমুল-পলাশে রাঙা সৌন্দর্যময় প্রকৃতি। আগামী বসন্তে এসব চাক্ষুষ করতে চলুন পুরুলিয়া।
চেলিয়ামা চেলিয়ামা জুড়ে বসন্তে পলাশের প্রাচুর্য! আদ্রা থেকে এই গ্রামের দূরত্ব ২৩ কিলোমিটার, রঘুনাথপুর থেকে ১৭ কিলোমিটার। এখানে আছে রাধামাধবের মন্দির। পঞ্চকোটরাজ বলভদ্রের আমলে সন্তোষ নামের এক শিল্পী, ইট দিয়ে মন্দিরটি নির্মাণ করেন। মন্দিরের সামনের দিকে টেরাকোটা ফলকে স্থান পেয়েছে রাম-রাবণের যুদ্ধ, শ্রীকৃষ্ণ কর্তৃক গোপিনীদের বস্ত্রহরণের দৃশ্য, রাসলীলা, শুম্ভ-নিশুম্ভের যুদ্ধ ও সমসাময়িক সমাজজীবনের দৃশ্যাবলি। দক্ষিণ ভারতের চেল বা চোল গোষ্ঠীর কাছে ‘মহাম্মায়া’ দেবী রূপে পূজিত হন। শোনা যায়, চোল গোষ্ঠীর মানুষজন এ অঞ্চলে কিছু কাল বসবাস করেছিল। তাদের আরাধ্য দেবীর নাম থেকেই গ্রামের নাম প্রথমে চেলিয়াম্মা, সেখান থেকে চেলিয়ামা হয়েছে।
বান্দার দেউল রঘুনাথপুর-চেলিয়ামা সড়কে, বান্দা বাসস্টপে নেমে, এক কিলোমিটার হাঁটাপথে পৌঁছনো যায় বান্দার দেউল। দিগন্তবিস্তৃত পলাশপ্রান্তরে, হাজার বছর ধরে দাঁড়িয়ে আছে ৭০ ফুট উচ্চ রেখদেউলটি। পাথরের তৈরি দেউলে প্রবেশপথের উচ্চতা ছয় ফুট, প্রস্থ তিন ফুট। প্রবেশপথে নানারকম বাদ্যযন্ত্র বাজানোর দৃশ্য, লতাগুল্ম প্রভৃতি পাথরে খোদাই করা। অনন্য শৈলীর কারুকাজ! আনুমানিক নবম-দশম শতাব্দীতে, জৈন ধর্মাবলম্বীদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল এই মন্দির। বর্তমানে অবশ্য বান্দা গ্রামে জৈনরা নেই। অনতিদূরে বইছে একটি ছোট নদী। স্থানীয় ভাষায় নাম বান্দার জোড়।
Denne historien er fra February 2025-utgaven av Bhraman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra February 2025-utgaven av Bhraman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på

ইয়েলবং
গুহার মধ্যে রুমতি নদীর পাথুরে খাতে হাঁটুজলে বুকজলে হাঁটা, উপর থেকে ঝরে পড়া নদীর জলে ভিজে যাওয়াইয়েলবংয়ে নদীখাত পদযাত্রার সেরা সময় মার্চ-এপ্রিল।

চোপতা তুঙ্গনাথ আউলি গরসন বুগিয়াল
হরিদ্বার থেকে দেবপ্রয়াগ, রুদ্রপ্রয়াগ, কুণ্ড হয়ে চোপতা। চোপতা থেকে তুঙ্গনাথ, চন্দ্রশিলা। তারপর যোশিমঠ থেকে বদ্রীনাথ, আউলি হয়ে গরসন বুগিয়াল। গাড়োয়ালের নিসর্গপথে বেড়ানোর সেরা সময় গ্রীষ্মকাল।

ভাগামনের চা-বাগানে
চা-বাগান, বুগিয়াল আর পাইনবনে ছাওয়া গাঢ় সবুজ ভাগামনে সারাবছর যাওয়া চলে। গ্রীষ্মে তাপমাত্রা ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করে। ভাগামনের বাড়তি পাওনা প্যারাগ্লাইডিং।

নতুন পথে গোকিও হ্রদ অভিযান
থোনাক লা (৫,৪১৬ মিটার) আর রেঞ্জো লা (৫,৪৩৫ মিটার)-য় দাঁড়িয়ে সোজা তাকালে আকাশের গায়ে ঝকঝক করে এভারেস্ট শৃঙ্গ, আর চোখ নামালে হিমালয়ের নীলকান্তমণি গোকিও হ্রদ। এভারেস্টের পাড়ায় দু'দিক থেকে গোকিও হ্রদ অভিযানের সেরা সময় গ্রীষ্মকাল।

একুশে ফেব্রুয়ারি
১৯৯৮ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির রাতে, গাজী সাহাবুদ্দিনের বাড়িতে আনিসুজ্জামানের সঙ্গে গভীর আলোচনার পর, ঢাকা শহরের রাস্তায় বাঙালির একুশের মিছিলের অংশ হিসেবে মাতৃভাষার জন্য রক্তদান করা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারে ফুলের পাহাড়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিলাম।

রণথম্ভোরের রাজকাহিনি
রণথম্ভোর অরণ্যে যাওয়া চলে ১ অক্টোবর থেকে ৩০ জুন। তবে, গ্রীষ্মে প্রখর দাবদাহ সহ্য করে জলের ধারে অপেক্ষা করলে বাঘের দেখা পাওয়ারই কথা।

মেঘালয় ভ্রমণ
একের পর এক জলপ্রপাত, হ্রদ, নদী, রুট ব্রিজ, প্রাকৃতিক গুহা— সব কিছু নিয়ে মেঘালয় প্রাকৃতিক সম্পদের এক অফুরন্ত ভাণ্ডার। বেড়ানোর সেরা সময় মার্চ থেকে জুন। তাপমাত্রা এ-সময় ১৬ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করে।

হাব্বা খাতুনের দেশে
কাশ্মীরের চেনাপথ ছেড়ে এক অচেনা কাশ্মীর ভ্রমণ। মারশেরি, বাঙ্গাস, লোলাব, মচ্ছল ও গুরেজ উপত্যকা। গুরেজ উপত্যকায় যেতে হলে যে গিরিবা পেরতে হয়, সেই রাজদান পাস শীতের মাসগুলোয় বরফে ঢাকা থাকে।

লিপুলেখ থেকে কৈলাস পর্বত দর্শন
কুমায়ুন হিমালয়ের লিপুলেখ গিরিবর্তে দাঁড়ালে দেখা যায় সুদূর তিব্বতের কৈলাস পর্বত। গাড়ি চলে যায় লিপুলেখ পাস পর্যন্ত। তবে, লিপুলেখ পাসে যেতে সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক অনুমতি লাগে। নাবি থেকে নাভিধাং হয়ে লিপুলেখ পাস ৩০ কিলোমিটার । নাবি থেকে আরেক পথে জলিংকং হয়ে আদি কৈলাসও ৩০ কিলোমিটার। পার্বতী সরোবরের ধারে আকাশ আলো করে দাঁড়িয়ে আছে আদি কৈলাস।

আয়ারল্যান্ডের পথে-প্রান্তরে
সাগর, নদী, হ্রদ, আদিগন্ত ঢেউখেলানো সবুজ উপত্যকা, প্রাচীন সব দুর্গ, প্রাসাদ, আড্ডাখানা নিয়ে আয়ারল্যান্ড গ্রীষ্মে ভারি মনোরম।