
কিন্নর -স্পিতি বেড়াতে যাওয়ার সেরা সময় সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহ। তবে, যাঁরা ঠাণ্ডা সহ্য করতে পারবেন না, তাঁরা জুলাই-অগস্ট মাসেও যেতে পারেন, তবে তখন জগদ্বিখ্যাত কিন্নর আপেলের পরিপূর্ণ রূপ অদেখা থেকে যাবে।
ভালো করে ঘোরার জন্য একটা আগাম পরিকল্পনা ছকে নেওয়া দরকার। এখানে একটা কথা— অনেকেই সফরসূচি বানানোর সময় রকছাম বা ছিটকুল দিনে দিনে ঘুরে আসার কথা ভাবেন। কল্পার জন্য বরাদ্দ করেন দু'রাত । সেক্ষেত্রে বরং কল্পাতে এক রাত থেকে ছিটকুলেও একটা রাত কাটালে ভ্রমণ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। হাতে সময় থাকলে আর রকছাম, বাৎসরি বা সাংলায় আরও একটা রাত থাকতে পারলে তো কথাই নেই! এমন জায়গায় যাত্রাপথটাই একটা বড় আকর্ষণ। তাই তাড়াহুড়ো না করে ধীরেসুস্থে পথের সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে চলুন। সেইসঙ্গে অবশ্য ভ্রমণ-সূচিকেও যথাসম্ভব অনুসরণ করে চলতে হবে। এখানে বারো দিনের কিন্নর-স্পিতি ভ্রমণ পরিকল্পনার একটা রূপরেখা দেওয়া হল ।
দিন-১ চণ্ডীগড় বা সিমলা থেকে সকাল সকাল বেরিয়ে দুপুরের মধ্যে পৌঁছে যান নারকান্ডা। মধ্যাহ্নভোজন করে অল্প বিশ্রাম নিয়ে ঘুরে আসুন হাটু পাহাড়চূড়া ও তৎসংলগ্ন হাটুমাতার মন্দির। হাটু থেকে সূর্যাস্ত দর্শন কোনও ভাবেই হাতছাড়া করবেন না। ফিরে এসে নারকান্ডায় রাত্রিবাস।
দিন-২ এদিন যান সারাহানে। পথে পড়বে রামপুর, জিওরি। সঙ্গী হবে শতদ্রু । সারাহানের ভীমাকালী মন্দিরের অপূর্ব হিমাচলী স্থাপত্য ও স্নিগ্ধ সন্ধ্যারতি মনে অদ্ভুত প্রশান্তি এনে দেবে। রামপুর থেকে একটি রাস্তা চলে গেছে নির্মান্ত হয়ে জউন, সেখান থেকে কষ্টসাধ্য শ্রীখণ্ড মহাদেব ট্রেক শুরু হয়।
দিন-৩ সারাহান থেকে পৌঁছে যান বাৎসরি বা রকছাম। কিন্নরের রাস্তা সুন্দর অথচ রোমহর্ষক ! হয়তো রোমাঞ্চ আছে বলেই এ পথের সৌন্দর্য আরও বেশি করে টের পাওয়া যায়। যাত্রাপথে পড়বে করছাম, শতদ্রু ও বসপা নদীর মিলনস্থল। দেখে নিন করছাম-ওয়াংটু বাঁধ ও জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। এরপর পথের সঙ্গী হবে সুন্দরী বসপা। এ রাস্তায় আরও দেখার জায়গা— সাংলা ও সেখানকার প্রাচীন কামরু দুর্গ। বাসেরি বা রকছাম পৌঁছে আশপাশের মনোরম বুগিয়ালগুলিতে ঘুরে নিতে ভুলবেন না !
Denne historien er fra March 2025-utgaven av Bhraman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra March 2025-utgaven av Bhraman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på

ইয়েলবং
গুহার মধ্যে রুমতি নদীর পাথুরে খাতে হাঁটুজলে বুকজলে হাঁটা, উপর থেকে ঝরে পড়া নদীর জলে ভিজে যাওয়াইয়েলবংয়ে নদীখাত পদযাত্রার সেরা সময় মার্চ-এপ্রিল।

চোপতা তুঙ্গনাথ আউলি গরসন বুগিয়াল
হরিদ্বার থেকে দেবপ্রয়াগ, রুদ্রপ্রয়াগ, কুণ্ড হয়ে চোপতা। চোপতা থেকে তুঙ্গনাথ, চন্দ্রশিলা। তারপর যোশিমঠ থেকে বদ্রীনাথ, আউলি হয়ে গরসন বুগিয়াল। গাড়োয়ালের নিসর্গপথে বেড়ানোর সেরা সময় গ্রীষ্মকাল।

ভাগামনের চা-বাগানে
চা-বাগান, বুগিয়াল আর পাইনবনে ছাওয়া গাঢ় সবুজ ভাগামনে সারাবছর যাওয়া চলে। গ্রীষ্মে তাপমাত্রা ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করে। ভাগামনের বাড়তি পাওনা প্যারাগ্লাইডিং।

নতুন পথে গোকিও হ্রদ অভিযান
থোনাক লা (৫,৪১৬ মিটার) আর রেঞ্জো লা (৫,৪৩৫ মিটার)-য় দাঁড়িয়ে সোজা তাকালে আকাশের গায়ে ঝকঝক করে এভারেস্ট শৃঙ্গ, আর চোখ নামালে হিমালয়ের নীলকান্তমণি গোকিও হ্রদ। এভারেস্টের পাড়ায় দু'দিক থেকে গোকিও হ্রদ অভিযানের সেরা সময় গ্রীষ্মকাল।

একুশে ফেব্রুয়ারি
১৯৯৮ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির রাতে, গাজী সাহাবুদ্দিনের বাড়িতে আনিসুজ্জামানের সঙ্গে গভীর আলোচনার পর, ঢাকা শহরের রাস্তায় বাঙালির একুশের মিছিলের অংশ হিসেবে মাতৃভাষার জন্য রক্তদান করা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারে ফুলের পাহাড়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিলাম।

রণথম্ভোরের রাজকাহিনি
রণথম্ভোর অরণ্যে যাওয়া চলে ১ অক্টোবর থেকে ৩০ জুন। তবে, গ্রীষ্মে প্রখর দাবদাহ সহ্য করে জলের ধারে অপেক্ষা করলে বাঘের দেখা পাওয়ারই কথা।

মেঘালয় ভ্রমণ
একের পর এক জলপ্রপাত, হ্রদ, নদী, রুট ব্রিজ, প্রাকৃতিক গুহা— সব কিছু নিয়ে মেঘালয় প্রাকৃতিক সম্পদের এক অফুরন্ত ভাণ্ডার। বেড়ানোর সেরা সময় মার্চ থেকে জুন। তাপমাত্রা এ-সময় ১৬ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করে।

হাব্বা খাতুনের দেশে
কাশ্মীরের চেনাপথ ছেড়ে এক অচেনা কাশ্মীর ভ্রমণ। মারশেরি, বাঙ্গাস, লোলাব, মচ্ছল ও গুরেজ উপত্যকা। গুরেজ উপত্যকায় যেতে হলে যে গিরিবা পেরতে হয়, সেই রাজদান পাস শীতের মাসগুলোয় বরফে ঢাকা থাকে।

লিপুলেখ থেকে কৈলাস পর্বত দর্শন
কুমায়ুন হিমালয়ের লিপুলেখ গিরিবর্তে দাঁড়ালে দেখা যায় সুদূর তিব্বতের কৈলাস পর্বত। গাড়ি চলে যায় লিপুলেখ পাস পর্যন্ত। তবে, লিপুলেখ পাসে যেতে সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক অনুমতি লাগে। নাবি থেকে নাভিধাং হয়ে লিপুলেখ পাস ৩০ কিলোমিটার । নাবি থেকে আরেক পথে জলিংকং হয়ে আদি কৈলাসও ৩০ কিলোমিটার। পার্বতী সরোবরের ধারে আকাশ আলো করে দাঁড়িয়ে আছে আদি কৈলাস।

আয়ারল্যান্ডের পথে-প্রান্তরে
সাগর, নদী, হ্রদ, আদিগন্ত ঢেউখেলানো সবুজ উপত্যকা, প্রাচীন সব দুর্গ, প্রাসাদ, আড্ডাখানা নিয়ে আয়ারল্যান্ড গ্রীষ্মে ভারি মনোরম।