সেপারেশন অ্যাংজ়াইটি

বাবা-মাকে ছেড়ে থাকার ভয়, ডিভোর্সের পরে সন্তানকে কাছে না পাওয়ার উৎকণ্ঠা, দাম্পত্যে লং ডিসট্যান্স সম্পর্কে টেনশন...প্রিয়জনদের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আতঙ্ক দূর করা জরুরি। লিখছেন মধুরিমা সিংহ রায়।

“সন্তানকে একা স্কুলে পাঠানোর সময় বুকে একরাশ ভয়? কাছের মানুষ শহর ছেড়ে অন্য শহরে চলে যাওয়ার আগে চিন্তিত হয়ে পড়েন? বয়স্ক বাবা-মাকে একা রেখে এলে টেনশন হয়? বা ডিভোর্সের পরে সন্তানকে কাছে না পাওয়ার উৎকণ্ঠা? এরকম আরও অনেক ছোটবড় উদাহরণ আছে যেখানে প্রিয় মানুষের থেকে দূরত্ব বড্ড ভাবিয়ে তোলে আপনাকে! আরও বেঁধে বেঁধে থাকতে চান আপনি, যা হয়তো অনেকসময় বাস্তবে সম্ভব হয়ে ওঠে না। নিকটজনের থেকে দূরে থাকার ভয় বা দুশ্চিন্তার পোশাকি নাম সেপারেশন অ্যাংজ়াইটি। হয়তো সকলের ক্ষেত্রে বিষয়টি গভীর সমস্যার নয়, একটু আধটু দুশ্চিন্তাই তাঁদের মনের মধ্যে চলতে থাকে...তবে কারওর ক্ষেত্রে যদি এই উৎকণ্ঠা মাত্রাতিরিক্ত হয় তখনই সমস্যা।

দূরত্ব যখন দুশ্চিন্তার অনেকে ভাবেন, সেপারেশন অ্যাংজ়াইটি শুধুমাত্র ছোটদেরই হয়। না, তা ঠিক নয় কিন্তু! ছোটদের ক্ষেত্রে প্রথম প্রথম স্কুলে যাওয়া বা একা একা টিউশন ক্লাসে যাওয়ার আগে মনের মধ্যে উৎকণ্ঠা কাজ করে অনেকক্ষেত্রেই। এর সঙ্গত কারণও আছে বই কী! ছোটরা বাবা-মায়ের উপরে সবকিছুর জন্যই নির্ভরশীল। তাদের সামাজিক জগতের প্রথম সদস্য তাদের বাবা-মা-ই। যৌথ পরিবার হলে আত্মীয়স্বজনেরা। কিন্তু পরিবারের নিরাপদ আশ্রয়ের বাইরেও যে সামাজিক জগৎ আছে, সেই জগতে তাকে মানিয়ে-গুছিয়ে চলতে হবে, এমন বোধ ছোটদের ক্ষেত্রে তৈরি হয় ধীরে ধীরে। তাই প্রথমদিন স্কুলের গেট টপকে উল্টোদিকে যাওয়ার সময়ে তার মনে হতেই পারে, যে সে নিরাপদ আশ্রয় ছেড়ে অচেনা এক জগতে পা রাখতে চলেছে। আবার সন্তানকে বোর্ডিং স্কুলে পাঠানোর সময়েও তাদের মনের মধ্যে এরকম দুশ্চিন্তা