রূ পচর্চা আর প্রসাধনের উৎসস্থল যে প্রাচ্যদেশই, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের পণ্ডিতেরা তা স্বীকার করেছেন। রূপচর্চার অর্থ অঙ্গরাগ অর্থাৎ অঙ্গে বা দেহে, রাগ বা রঞ্জন (উৎস রঞ্জ ধাতু) থেকেই এই কথার উৎপত্তি। সোজা বাংলায় বলতে গেলে মনে ও দেহে অনুরাগ উৎপাদন। দেহ ও মন পরস্পরের পরিপূরক, তাই বলা হয় রূপচর্চায় শুধু দেহের সৌন্দর্যবৃদ্ধি হয় না, পরোক্ষভাবে এ যেন মনেরও পুষ্টি ও সন্তুষ্টি সাধন করে। পুরাতাত্ত্বিক গবেষণায় এও প্রমাণিত যে, সৌন্দর্যচর্চায় গন্ধদ্রব্যের উৎপাদন ও প্রয়োগে ভারতই প্রথম পথপ্রদর্শক। সে যুগে তাই বনজ প্রসাধনীর ব্যবহার যেমন- লতাপাতা, ফুলের রেণু প্রভৃতি গায়ে মাখার প্রচলন ছিল। পাখিদের নানারকম পালক তারা বেশভূষায় লাগাত। প্রাচীন বাংলা সাহিত্যে এ রকম বর্ণনা প্রচুর পাওয়া যায়। অঙ্গরাগের মনোরঞ্জনী ব্যাখ্যা শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, কৃত্তিবাসী রামায়ণ, চৈতন্যচরিতামৃত, চৈতন্যমঙ্গল, কবিকঙ্কনের চণ্ডী, চণ্ডীদাসের শব্দাবলী প্রভৃতি গ্রন্থে সুন্দরভাবে বলা হয়েছে। কালিদাসের ‘শকুন্তলা’য় লেখা আছে, ‘কিমিব হি মধুরাণাং মণ্ডনং ন–আকৃতীনাম’ অর্থাৎ যাকে দেখতে সুন্দর, যে কোনও পোশাকই তার অলঙ্কার। ঋগ্বেদে পাই, পাঁচরকম প্রসাধন দ্রব্যের ব্যবহারের কথা। (১) দেহ পরিষ্কারক (২) ত্বকের বিকৃতিনাশক ও উজ্জ্বলতাবর্ধক (৩) দেহের বিকৃতি পরিপূরক (৪) সৌন্দর্য বৃদ্ধিকারক এবং (৫) দুর্গন্ধনাশক ও সুগন্ধবর্ধক। যেমন— পতি সন্দর্শনে গমনেচ্ছু কন্যার বেশ বিন্যাস। ‘কন্যা যেমন তার স্বামীর কাছে যাওয়ার সময়ে বেশবিন্যাস করে, আমি দেখছি এই ঘৃতধারা সেরূপ করছে। যেখানে সোমরস অভিযুক্ত নয় অর্থাৎ যেখানে যজ্ঞ হয় সেখানেই ঘৃত গমন করে’। (ঋক্ ৪র্থ মণ্ডল ৫৮ সূক্ত শ্লোক)। বৈদিক যুগের পর স্ত্রীলোকের পাঁচটি অঙ্গের রূপচর্চার সূত্রপাত হলে। সিঁথিতে সিন্দুরা, মস্তকে অর্ঘ্য, গালে তিলক রচনা, কেশরের বিলেপন এবং হাত ও পায়ের নখে মেহেদি পাতার রং লাগানো। অযোধ্যাকাণ্ডের ষাট সর্গে সীতার প্রাত্যহিক আলতা ব্যবহারের উদাহরণ আছে। রামায়ণের কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ডের তিরিশ সর্গে নারীর মুখমণ্ডলে চন্দনাদি অনুলোপন ও গোরচনায় অলঙ্কৃত করার কথা উল্লেখ আছে।
Denne historien er fra September 15, 2022-utgaven av SANANDA.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra September 15, 2022-utgaven av SANANDA.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
আমি জীবনকে ভালবাসি। জীবনের প্রত্যেকটা দিন ভালবাসি
সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন শিল্পী মল্লিকা সারাভাই। নৃত্য উপস্থাপনার মাধ্যমে দিলেন একাধিক জরুরি বার্তা। পারফরম্যান্সের পরে তাঁর মুখোমুখি মধুরিমা সিংহ রায়।
আইন
আপনাদের পাঠানো আইনি প্রশ্নের সদুত্তর দিচ্ছেন বিশিষ্ট আইনজীবী দ্যুতিমালা বাগচী।
সমাধান যখন আইভিএফ
আইভিএফ করালে জীবনধারায় কেমন পরিবর্তন আনা জরুরি? এ নিয়ে ভুল ধারণা কী কী? জানাচ্ছেন ইনফার্টিলিটি ও আইভিএফ স্পেশ্যালিস্ট ডা. সুজয় দাশগুপ্ত। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায়।
ঘরোয়া রূপটান
বাড়িতেই হতে পারে রূপটান। টিপস দিলেন রূপ বিশেষজ্ঞ শেহনাজ হুসেন।
কাঠচম্পা সাক্ষী
মনের গভীরে একটা দুঃখ চেপে বসে থাকে কমলার। বড় ছেলের বিয়ে হয়েছে। আর বাড়ির বৌ এক রাতও এ বাড়িতে থাকেনি। এক বার ‘মা’ বলেও ডাকেনি। ছোট ছেলের বিয়ে তো নিজেই দেখে দিলেন। তফাত তেমন কিছু হয়নি। শান্ত স্বভাবের। কম কথা বলে মেয়েটি। আসলে সমাজে পরিবর্তন এসেছে।
স্বাদ-এ শেফ ১
চিকেন বা মাছের যে কোনও পদ বহুল জনপ্রিয় বাঙালিদের মধ্যে। চিরায়ত সেই স্বাদকেই নতুন আঙ্গিকে ধরেছে ডাইনার ৪৯বি। বিভিন্ন রেসিপির মধ্যে থেকে চারটি এক্সক্লুসিভ পদ সাজিয়ে দিলেন কাফের কর্ণধার সপ্তক মান্না।
হার্টের চিকিৎসায় নতুন পদ্ধতি: ট্যাভি
বয়স্কদের ক্ষেত্রে অ্যাওটিক স্টেনোসিসের চিকিৎসায় ওপেন হার্ট সার্জারির বদলে জনপ্রিয় হচ্ছে নতুন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি—‘ট্যাভি’। বিশদে আলোচনা করলেন বিশিষ্ট কার্ডিয়োলজিস্ট ডা. শুভানন রায়। লিখছেন মধুরিমা সিংহ রায়।
প্রসঙ্গ পপ-আপ
কোনটা প্রদর্শনী, কোনটা পপআপ? পপ-আপ করতে গেলে কী মাথায় রাখা উচিত? বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জানলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
হাইএন্ড পপ-আপ সংস্কৃতি
দোকান, শপিং মল বা অনলাইন কেনাকাটাকে কয়েক গোলে পিছনে ফেলে দেবে লাইফস্টাইল পপ-আপের ক্রেজ। শহর জুড়ে বছরভর আয়োজিত হচ্ছে একাধিক হাইএন্ড পপ-আপ। যেখানে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় সম্ভ্রান্ত রুচিবোধ ও সাধবিলাসের স্বপ্ন। শহুরে এই নতুন ট্রেন্ডের খোঁজ করলেন অনিকেত গুহ
পপ-আপে সফল যাঁরা
নিজেদের ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই তাঁদের ধ্যান-জ্ঞান। পপআপ তাঁদের সেই সাফল্যের পথে অন্যতম জরুরি মাধ্যম। পপআপে সফল এমন ৮ জন নারীর গল্প শুনলেন উপমা মুখোপাধ্যায়।