বিশ্বাসে মিলায় সম্পর্ক,

কথায় বলে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর। কিন্তু সম্পর্কে তর্ক হোক, সমস্যা নেই। বিশ্বাস যেন অটুট থাকে। আর তার প্রথম শর্ত হল পারস্পরিক শ্রদ্ধা। এই দুটিই সম্পর্কের বুননের মূল সুতো। বিস্তারিত জানাচ্ছেন ফ্যামিলি থেরাপিস্ট অনন্যা সেনগুপ্ত। লিখছেন পৃথা বসু।

সম্পর্ক একটা গাছের মতো। সঠিক যত্ন-আত্তি না পেলে নুইয়ে পড়ে অচিরেই। আর তার শিকড় গড়ে ওঠে পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার আশ্রয়ে। কাজেই তাতে যদি ঘাটতি থেকে যায়, গোটা গাছই ভুগবে অসুখে। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ছাড়া যেমন মানুষ বাঁচতে পারে না, তেমন সম্পর্ক ছাড়াও মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকা কার্যত অসম্ভব। কিছু সম্পর্ক নির্ধারণ করে দেয় নিয়তি বা প্রকৃতি, আর কিছু সম্পর্ক নির্মাণ করি আমরা নিজে। যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রেই সকলের আগে যেটা মাথায় রাখতে হবে, সেটা হল নিজের মূল্যবোধকে সম্মান করা। সেখানে অনটন তৈরি হলে বাকিদের থেকে সম্মান পাওয়ার পরিসরটাও ক্রমশ সংকীর্ণ হয়ে আসে। আর যেহেতু এই সম্মানের পথ ধরেই আসে বিশ্বাস, আস্থা, ভরসা, তাই তাতেও খামতি থেকে যায়।

প্রাথমিক ধারণা শ্রদ্ধা বা বিশ্বাস কোনওটাই আকাশ থেকে পড়া বস্তু নয়। এগুলো এক একটা উপলব্ধি, যা অর্জন করে নিতে হয়। আর এর জন্য আমাদের নিজস্ব নৈতিকতা, মানসিকতাকে প্রত্যেক মুহূর্তে শান দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। যেহেতু এই দু'টোর কোনওটাই একমুখী নয়, তাই বয়স দিয়ে সেটিকে বিচার করা নিতান্তই অর্থহীন। একে অন্যকে সিদ্ধান্ত নিতে কতটা সাহায্য করছে, একে অপরের কথা কতটা ধৈর্য নিয়ে শুনছে, কতটা গোপনীয়তা বজায় রাখছে, অন্য মানুষটির সামনে কতটা নিজস্বতা মেলে ধরতে পারছে ইত্যাদি নানা বিষয়ের উপর তা নির্ভর করে।