সম্পর্কে কম্প্যাটিবিলিটি

শুধু মনের মিল থাকলেই কি সুখী দাম্পত্য বা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলা যায়? কতটা জরুরি ফিজ়িক্যাল কম্প্যাটিবিলিটি? কম্প্যাটিবিলিটি প্রসঙ্গে জানাচ্ছেন মনোবিশ্লেষক এবং অধ্যাপক ড. নীলাঞ্জনা সান্যাল। লিখছেন পৃথা বসু।

যেকোনও সম্পর্ক উদযাপনের অন্যতম প্রধান উপাদান কম্প্যাটিবিলিটি। প্রেম বা বিবাহের সম্পর্কের ক্ষেত্রে তা আরও প্রয়োজনীয়। একটি সম্পর্কে যখন একে অন্যের মূল্যবোধকে সম্মান করেন, তখনই সেই সম্পর্ক সফল হয়ে ওঠে।

কম্প্যাটিবিলিটি কী? সম্পর্কে দুজন মানুষ ব্যক্তিত্বের দিক থেকে খুব আলাদা হতেই পারেন। কিন্তু তাদের দুজনের মধ্যে মানসিক সুরের যে মিল, তাকেই বলে কম্প্যাটিবিলিটি। যদি কম্প্যাটিবিলিটি না থাকে, তাহলে একটা মানুষের কখনওই অন্য মানুষের উপস্থিতি ভাল লাগবে না। দুজনের মন আদান-প্রদান করার জন্য কতগুলো ভিত্তির প্রয়োজন হয়। এই ভিত্তিগুলো হল ভাল লাগার টুকরো। যেগুলো জুড়ে জুড়েই তৈরি হয় সম্পর্কের ইমারত।

ঘটনা ১: রিনিমা এবং অর্চিষ্মান প্রেম করছে বেশ কয়েকদিন। অর্চির পরিবার বলতে তার মামা আর মামি। ছোটবেলাতেই সে তার বাবা-মাকে হারিয়েছে। উল্টোদিকে রিনিমার জমজমাট জয়েন্ট ফ্যামিলি। অর্চি দুর্দান্ত চাকরি করে, নিপাট ভদ্র, রিনিকে ভালওবাসে। বহুদিনের বন্ধু ওরা। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। তাদের যেদিন থেকে সম্পর্ক হয়েছে, সেদিন থেকে যা কিছু মায়ের মুখ। অমৃতা লোশনটি ব্যবহার করা বন্ধ করার পর থেকে কিন্তু আর কোনও সসমস্যাই হয় নি। এখন তাদের সুখী দাম্পত্য।