ব্রেস্ট ক্যানসার নিরাময় ও সচেতনতা

ব্রেস্ট ক্যানসার মানেই ভয়ের নয়। এর উপসর্গ, চিকিৎসা ও সচেতনতা নিয়ে সবিস্তার আলোচনা করলেন ব্রেস্ট অঙ্কোলজিস্ট ডা. নেহা চৌধুরি৷ লিখছেন দেবলীনা অধিকারী।

‘ক্যা -নসার’। শব্দটি আজও মানুষকে আতঙ্কিত করার জন্য যথেষ্ট। অথচ বর্তমানে অন্যান্য চেনা রোগের মতোই কর্কটও সুস্থ শরীরে হানা দিচ্ছে অতর্কিতে। তবে যেভাবে এই রোগকে ‘মৃত্যু ফাঁদ’ আখ্যা দেওয়া হয়, আজকের আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের যুগে এই রোগ অতটাও সাংঘাতিক নয়। মহিলাদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। ১০০ জন মহিলার মধ্যে প্রায় ৮ থেকে ১০ জনের জীবনের কোনও না কোনও সময় এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদিও এতে মৃত্যু হার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অন্যান্য ক্যানসারের তুলনায় কিছুটা কম। বিশেষ করে প্রথম দিকে ধরা পড়লে সুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই রোগ সম্পর্কে অহেতুক ভীত না হয়ে দরকার সচেতনতার।

কেন সচেতনতা জরুরি ক্যানসার আক্রান্ত কোনও ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠবেন কিনা, তা নির্ভর করছে রোগটা কোন পর্যায়ে ধরা পড়ছে, তার উপর। যদি ব্রেস্ট ক্যানসার একেবারে প্রথম দিকে ধরা পড়ে তা হলে সুস্থতার হার প্রায় ৯০ শতাংশ। অর্থাৎ অন্যান্য ক্যানসারের তুলনায় ব্রেস্ট ক্যানসারে সুস্থ হয়ে ওঠার হার অনেকটাই বেশি। কিন্তু যদি দেরিতে ধরা পড়ে, তা হলে সুস্থতার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। ব্রেস্ট ক্যানসার স্টেজ থ্রি বা ফোরে যদি পৌঁছে যায় এবং তার পর চিকিৎসা শুরু হয়, সে ক্ষেত্রে মাত্র ২০ থেকে ৪০ শতাংশ সুস্থতার সম্ভাবনা থাকে। অর্থাৎ ‘আর্লি ডিটেকশন ও আলি ট্রিটমেন্ট' এই রোগকে হারানোর মূল মন্ত্র। তার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন সচেতনতা।