এশিয়ান গেমসে ভারতের সাফল্য

এবারের এশিয়ান গেমসে ভারতের পারফরম্যান্স এক কথায় চমকপ্রদ। কোন মন্ত্রে এত সফল খেলোয়াড়রা? অলিম্পিকসের জন্যই বা কতটা আশাবাদী হওয়া যেতে পারে? কী বলছেন বাংলার খেলোয়াড়রা? শুনলেন মধুরিমা সিংহ রায়।

রাত জেগে ক্রিকেট বিশ্বকাপ দেখা দেশ এখন অলিম্পিকস বা এশিয়ান গেমসও দেখছে! প্রচারের স্বত্ব যে সংস্থাটির হাতে ছিল, টুর্নামেন্ট শুরুর আগের হিসেব অনুযায়ী প্রায় ১০০ মিলিয়ন দর্শকের কাছে পৌঁছনোর আশা করেছিলেন তাঁরা। সংখ্যাটা যে আগেরবারের তুলনায় অনেকটাই বেশি, তা আর আলাদা করে বলে দিতে হয় না। এর সঙ্গে রয়েছে বিপুল পরিমাণ বিজ্ঞাপনের অর্থ, টিভি ও ডিজিট্যাল রাইটস বিক্রির অর্থ। ক্রিকেট-পাগল দেশে অলিম্পিকস স্পোর্টসের গুরুত্ব যে দিনে-দিনে ক্রমবর্ধমান, তার একটি বড় কারণ হল অ্যাথলিটদের সাফল্য। আসলে, প্রচার, অর্থ, সাফল্য এ সবকিছুই তো হাত ধরাধরি করে চলে। একটা সময়ে যে খেলাগুলির ক্ষেত্রে পরিকাঠামোর অভাবের কথা বলা হত, সেখানেই এখন তৈরি হচ্ছে ট্যালেন্ট পুল। উঠে আসছে তরুণ খেলোয়াড়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। সরকারি ও বেসরকারি সহায়তায় গড়ে উঠছে একাধিক অ্যাকাডেমি, ট্রেনিংও দিচ্ছেন দেশের সেরা সব প্রতিভারা। তাই, নন-ক্রিকেটিং স্পোর্টসেও সাফল্য আসছে। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ তো বটেই, কমনওয়েলথ গেমস বা এশিয়াডেও তাই সাফল্যের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। এবারের এশিয়ান গেমসের কথাই ধরুন। এশীয় দেশগুলো এমনিতেই বেশ কিছু অলিম্পিকস স্পোর্টসে প্রায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। মানে, চিন, জাপান বা কোরিয়ার কথা বলছি। চিনের মাটিতে শক্তিশালী এশীয় দেশগুলোর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে এই এশিয়ান গেমস। অন্যতম বড় তাৎপর্য বোধহয় এটাই। আরও একটি বিষয় হল, বড় মঞ্চে বড় সাফল্যকে আরও বড় টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি হিসেবে দেখা হয়। সেদিক থেকে দেখতে গেলে, অলিম্পিকসের ক্যালকুলেশনও ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন অ্যাথলিটরা। তার আগে আরও বেশ কিছু টুর্নামেন্ট বাকি। সময়ও আছে খানিকটা। তাই, বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী অলিম্পিকসে আগের তুলনায় বেশি মেডেলের আশায়।