অতুলনীয় জেনেভা

ইতিহাস তার স্বাক্ষর রেখেছে জেনেভার গায়ে। প্রকৃতি উপুড় করেছে নানা রঙের প্যালেট। ঘুরে, দেখে মুগ্ধ হলেন ছন্দা বিশ্বাস।

ফ্রান্স সফর শেষে বেরিয়ে পড়লাম সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশ্যে। অ্যানেসি থেকে ট্রেনে চেপে জেনেভায় উপস্থিত হলাম। বহুদিনের ইচ্ছা, একবার ওয়র্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন অর্থাৎ ‘হু’র বিল্ডিংটিকে স্বচক্ষে দেখার। জেনেভা শহরটি সত্যি অপূর্ব। পথের দুই ধারে নয়নাভিরাম অট্টালিকার সারি। বিশ্বের ইতিহাসে তারা বিশিষ্ট তকমাধারী। শহর ঘুরতে ঘুরতে সকলের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি। রোমাঞ্চ অনুভব করছি।

সুইজারল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর হল জেনেভা জুরিখের পরেই এর অবস্থান। স্টেশনে নেমে একটা সুদৃশ্য বাসে চেপে বসলাম। রোন নদী এবং জেনেভা লেকের সংযোগস্থলে গড়ে উঠেছে জেনেভা শহরটি। জাতিসঙ্ঘের সদর দফতর গড়ে উঠেছিল এখানে। রেড ক্রসের সদর দফতরও এখানে। এখানেই সাক্ষরিত হয়েছিল জেনেভা কনভেনশন। ১৯৪৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী প্রতিক্রিয়া এবং তার ফলাফল সমন্বিত সন্ধিপত্র। চলতে চলতে দেখে নিলাম ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন বা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা এবং বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা।

তারপরএলাম জেনেভার বৃহত্তম মসজিদের সামনে। সৌদি আরবের বাদশা খালিদ বিন আবদুলাজ়িজ় এবং সুইস কনফেডারেশনের সভাপতি উইল রিটসচার্ড এটির উদ্বোধন করেন। একসঙ্গে দেড় হাজার লোক এখানে উপাসনা করতে পারেন।