66 বৌ, বৌ রে। অ পুন্নো, অ বৌ। এলি নাকি রে? কিছু বলিস নে কেন, অ বৌ।” পুনম সাড়া দেয় না। সবে কাজ থেকে ফিরেছে সে। হাত-পা ধোয়া হয়নি ভাল করে, কিন্তু ওইটুকু আওয়াজ পেয়েই ডাকাডাকি শুরু করেছে বুড়ি। এমনিতে তো চোখে দেখে না, কানেও শোনে না, কিন্তু পুনম একটা ঘাসের আগা ছিঁড়লেও ভানমতী ঠিক যেন শুনতে পায়। “অ বৌ, চারটে বেজে গেল তো, চা দিবি নে? সেই কখন থেকে তোর অপেক্ষায় আছি রে পুন্নো। বড় শীত লাগে যে।
দে না বৌ এক গেলাস চা। একটু আদা, এলাচ আর গুড় দিয়ে...” ঘরের ভিতর থেকে আবারও শাশুড়ির ঘ্যানঘ্যান ভেসে আসে। এ বার আর চুপ করে থাকতে পারে না পুনম। রীতিমতো ঝাঁঝিয়ে ওঠে।
“সারাদিন গেলা ছাড়া আর কিছু নেই তোমার? ঘরের ভিতরে পা-টুকু রাখিনি এখনও, গলায় জল অবধি দেওয়া হয়নি। ছেলেমেয়ে দু'টো এখনও বাড়ি পর্যন্ত ফেরেনি ইসকুল থেকে, সে দিকে চিন্তা নেই, খালি এটা খাই, আর ওটা খাই। তিনকাল গিয়ে এককালে ঠেকেছে বুড়ির তবু সোয়াদ-জ্ঞান টনটনে। হুকুম কত! আদা চাই, গুড় চাই, এলাচ চাই। বলি মরণ হয় না গো তোমার?”
“বলতে পারলি বৌ? এমন করে বলতে পারলি? নেহাত আজ আমার রতন নেই, তাই এমন হেনস্থা। সে থাকলে কি আর নিত্যি নিত্যি দুটো দানাপানির জন্য তোর মুখনাড়া খেতে হত?” ভানমতী অভ্যস্ত কান্নার সুর তোলে কাঁপা গলায় ।
“ইইহ রতন। রত্নই পেটে ধরেছিলে বটে একখানা। গিয়েছে, হাড় জুড়িয়েছে। থাকতে তো কাজের মধ্যে ছিল শুধু বৌ-বাচ্চা পেটানো আর মদ গেলা। মুখপোড়া নিজে তো সেই মদেই পেট পচিয়ে মরল, এই হ্যাংলা বুড়িকে ফেলে গেল আমার ঘাড়ে। না রাখল টাকাপয়সা, না একটু জমি, না গোয়ালে একটা মোষ। আর দুটো দিন বাঁচলে মাথার উপরের এই ছাদটুকুও মদের জন্য বেচে দিত তোমার পেয়ারের রতন, বুঝেছ?”
Denne historien er fra August 15, 2024-utgaven av SANANDA.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra August 15, 2024-utgaven av SANANDA.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
স্কিবিডি টয়লেট: গেমিংয়ের নতুন ট্রেন্ড
জেন আলফা মেতে রয়েছে • এক নতুন 'বিজার' গেমে। নাম, ‘স্কিবিডি টয়লেট'। নেপথ্যের সম্ভাব্য কারণ কী? বিশদে জানাচ্ছেন পেরেন্টিং কনসালট্যান্ট পায়েল ঘোষ।
চ্যালেঞ্জ ছিল অবাঙালিদের বাঙালি খাবার খাওয়ানো, সেটা আমি পেরেছি
রাত আড়াইটের ফ্লাইট ধরে ভোর পাঁচটায় কলকাতায় এসে নেমেছেন এক ইভেন্টে যোগ দিতে, আবার সাড়ে ছ'টার ফ্লাইট ধরে ফিরে যাবেন মুম্বই। তারই ফাঁকে স্পেশ্যালিটি রেস্তরাঁর অধিকর্তা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি পারমিতা সাহা
শব্দ, আলোয় দূরে থাক পোষ্য
দীপাবলির ‘আনন্দ’ থেকে দূরে রাখুন পোষ্যেদের। জানাচ্ছেন বিশিষ্ট সার্জন ও পশু বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায়।
দূষণ বনাম জীবন!
বেঁচে থাকতে অপরিহার্য পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়ার অধিকারটুকু। বায়ুদূষণের নিরিখে কোথায় দাঁড়িয়ে আমরা? জানাচ্ছেন অধ্যাপক অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায় ও পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী। লিখছেন অনিকেত গুহ ও মধুরিমা সিংহ রায়।
বায়ুদূষণ ও শ্বাসজনিত সমস্যা
বায়ুদূষণ আমাদের শ্বাসযন্ত্রে কী প্রভাব ফেলছে? বিশদে জানাচ্ছেন কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট ডা. সুস্মিতা রায়চৌধুরী ও অ্যালার্জিস্ট ডা. কল্লোল পাল। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায় ও পৃথা বসু।
সবুজ দীপাবলি: আদৌ সম্ভব?
দীপাবলিকে দূষণমুক্ত করার জন্য কী করা যেতে পারে? সবুজ বাজি এই লক্ষ্যে কতটা সফল? বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
স্লিপ ডিভোর্স:সম্পর্ক ও বিজ্ঞান
নিদ্রা-বিচ্ছেদ! বাংলা তর্জমা করলে খানিক এমনই দাঁড়ায় শব্দবন্ধটি। স্লিপ সাইকোলজির গহীনে কি লুকিয়ে ‘সুস্থ’ দাম্পত্যের সমীকরণ? সন্ধান করলেন অনিকেত গুহ।
বন্ধুদের অনুরোধে শুরু, আর পিছন ফিরে তাকাইনি
নানা ইভেন্টে, রেস্তরাঁয় বা বিয়েবাড়িতে সুদৃশ্য টেবল ডেকরেশন করেন অ্যামি কোঠারি। টেবল স্টাইলিস্ট হিসেবে ১০ বছরের কেরিয়ার। তাঁর জার্নির কথা শুনলেন মধুরিমা সিংহ রায়।
সতর্ক হোন মরসুমি জ্বরে...
শীত ও আর্দ্রতার মিশেলে, ভরা হেমন্তেও ঘরে ঘরে ‘সিজনাল ফিভার'। কী করবেন, কী নয়, জানালেন অধ্যাপক ও চিকিৎসক ডা.অরুণাংশু তালুকদার এবং বিশিষ্ট জেনারেল ফিজিশিয়ন ডা. সুবীর মণ্ডল। লিখছেন অনিকেতগুহ।
স্বাদ-এ শেফ
কাবাব, পাই বা সুইস রোল— চেনা পদে অচেনা স্বাদের টুইস্ট থাকলে মুখে তো হাসি ফুটবেই! কলকাতার রেস্তরাঁয় পাওয়া যাবে তেমনই স্বাদের সম্ভার। চারটি এক্সক্লুসিভ পদ সাজিয়ে দিলেন কাফে কোর্টইয়ার্ড-এর কর্ণধার সুদর্শনা দত্ত চাকলাদার।