ভয় আর অসহায়তার অন্ধকারে যাঁদের জীবন ভেসে গিয়েছে, আলোর জীবনে পা রাখার জন্য তাঁদের কখনও কখনও একটু আগুনের দরকার পড়ে। স্মিতা ভারতীর মতো মানুষেরা ওই অত্যাবশ্যক অগ্নিশিখার মতো। মাত্র ১৯ বছর বয়সে তাঁর বিয়ে হয়। পরবর্তী ১২ বছর গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হয়ে অত্যাচার, অপমানে ভয়ঙ্কর এক সময় কাটে। একদিন সিদ্ধান্ত নেন, ঘুরে দাঁড়াবেন। হাতে স্রেফ একটা সুটকেস আর দুই সন্তানকে নিয়ে সেই ভুল সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। আজ তাঁর বয়স ষাট পেরিয়েছে, এখন তাঁকে সুলেখিকা ও সমাজকর্মী হিসেবে চিনেন অসংখ্য মানুষ। স্মিতা হয়ে উঠেছেন বহু নির্যাতিতা মহিলা, অনাথ পথশিশুর ভরসা। বিগত তিরিশ বছর ধরে লেখালেখি, থিয়েটারের সঙ্গে বিভিন্ন ওয়ার্কশপ, ক্যাম্পেন, পারফরম্যান্সের মাধ্যমে স্মিতা কাজ চালিয়ে গিয়েছেন গার্হস্থ্য হিংসা, যৌন হেনস্থার শিকার মহিলাদের সঙ্গে। “তখন আমি সাহিত্যের ছাত্রী, অনুবাদ সাহিত্য নিয়ে কাজ করছিলাম। তখনই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় গার্হস্থ্য হিংসার শিকার মহিলাদের কথা মাথায় রেখে একটা নাটক লিখে দেওয়ার জন্য। সে সময় প্রতিনিধিত্বের রাজনীতি নিয়ে আমার নিজের মধ্যেও অনেক দ্বিধা তৈরি হচ্ছিল। একজন মানুষের ব্যক্তিগত দুঃখ যন্ত্রণার কথা কেন অন্যের বিনোদনের বস্তু হবে— এই নিয়ে আমার নিজের মধ্যেই অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল। তার কিছু দিন আগে আমি নিজেই এমন একটা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছি। তাই সিদ্ধান্ত নিই, গার্হস্থ্য হিংসার শিকার মহিলাদের ব্যাপারে নাটক না লিখে, যদি তাদের সঙ্গে যৌথ ভাবে একটা কিছু লেখা যায়! তাঁদেরও তো নিজস্ব স্বর রয়েছে। তাঁদের কী কী সহ্য করতে হয়েছে, কী ভাবে তাঁরা থার্ড ডিগ্রি ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স থেকে বেরিয়ে এসেছেন, এখন তাঁরা কী করছেন, তাঁদের জীবনে কী কী পরিবর্তন এসেছে— সেগুলো তাঁদের কাচ থেকেই জানা উচিত। এক বছর পরে একটি নাটক লিখি, দিল্লির একটি কালচারাল সেন্টারে তা মঞ্চস্থ হয়। ওই পাঁচ জন মহিলা সে দিন তাঁদের নিজস্ব অভিজ্ঞতাগুলোই দর্শকের সামনে তুলে ধরেছিলেন। নিজেদের গল্পকে 'রিক্লেম' করছিলেন তাঁরা। এই পারফরম্যান্স কিন্তু তাঁদের অসহায়তার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়নি। বরং তাঁদের প্রতিবাদ, প্রতিরোধের কথাই সামনে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। ওঁদের কথা শুনতে শুনতে আমার জীবনের ভাঙা টুকরোগুলোও যেন জোড়া লাগছিল আবার।”
Denne historien er fra October 30, 2024-utgaven av SANANDA.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra October 30, 2024-utgaven av SANANDA.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
স্কিবিডি টয়লেট: গেমিংয়ের নতুন ট্রেন্ড
জেন আলফা মেতে রয়েছে • এক নতুন 'বিজার' গেমে। নাম, ‘স্কিবিডি টয়লেট'। নেপথ্যের সম্ভাব্য কারণ কী? বিশদে জানাচ্ছেন পেরেন্টিং কনসালট্যান্ট পায়েল ঘোষ।
চ্যালেঞ্জ ছিল অবাঙালিদের বাঙালি খাবার খাওয়ানো, সেটা আমি পেরেছি
রাত আড়াইটের ফ্লাইট ধরে ভোর পাঁচটায় কলকাতায় এসে নেমেছেন এক ইভেন্টে যোগ দিতে, আবার সাড়ে ছ'টার ফ্লাইট ধরে ফিরে যাবেন মুম্বই। তারই ফাঁকে স্পেশ্যালিটি রেস্তরাঁর অধিকর্তা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি পারমিতা সাহা
শব্দ, আলোয় দূরে থাক পোষ্য
দীপাবলির ‘আনন্দ’ থেকে দূরে রাখুন পোষ্যেদের। জানাচ্ছেন বিশিষ্ট সার্জন ও পশু বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায়।
দূষণ বনাম জীবন!
বেঁচে থাকতে অপরিহার্য পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়ার অধিকারটুকু। বায়ুদূষণের নিরিখে কোথায় দাঁড়িয়ে আমরা? জানাচ্ছেন অধ্যাপক অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায় ও পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী। লিখছেন অনিকেত গুহ ও মধুরিমা সিংহ রায়।
বায়ুদূষণ ও শ্বাসজনিত সমস্যা
বায়ুদূষণ আমাদের শ্বাসযন্ত্রে কী প্রভাব ফেলছে? বিশদে জানাচ্ছেন কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট ডা. সুস্মিতা রায়চৌধুরী ও অ্যালার্জিস্ট ডা. কল্লোল পাল। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায় ও পৃথা বসু।
সবুজ দীপাবলি: আদৌ সম্ভব?
দীপাবলিকে দূষণমুক্ত করার জন্য কী করা যেতে পারে? সবুজ বাজি এই লক্ষ্যে কতটা সফল? বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
স্লিপ ডিভোর্স:সম্পর্ক ও বিজ্ঞান
নিদ্রা-বিচ্ছেদ! বাংলা তর্জমা করলে খানিক এমনই দাঁড়ায় শব্দবন্ধটি। স্লিপ সাইকোলজির গহীনে কি লুকিয়ে ‘সুস্থ’ দাম্পত্যের সমীকরণ? সন্ধান করলেন অনিকেত গুহ।
বন্ধুদের অনুরোধে শুরু, আর পিছন ফিরে তাকাইনি
নানা ইভেন্টে, রেস্তরাঁয় বা বিয়েবাড়িতে সুদৃশ্য টেবল ডেকরেশন করেন অ্যামি কোঠারি। টেবল স্টাইলিস্ট হিসেবে ১০ বছরের কেরিয়ার। তাঁর জার্নির কথা শুনলেন মধুরিমা সিংহ রায়।
সতর্ক হোন মরসুমি জ্বরে...
শীত ও আর্দ্রতার মিশেলে, ভরা হেমন্তেও ঘরে ঘরে ‘সিজনাল ফিভার'। কী করবেন, কী নয়, জানালেন অধ্যাপক ও চিকিৎসক ডা.অরুণাংশু তালুকদার এবং বিশিষ্ট জেনারেল ফিজিশিয়ন ডা. সুবীর মণ্ডল। লিখছেন অনিকেতগুহ।
স্বাদ-এ শেফ
কাবাব, পাই বা সুইস রোল— চেনা পদে অচেনা স্বাদের টুইস্ট থাকলে মুখে তো হাসি ফুটবেই! কলকাতার রেস্তরাঁয় পাওয়া যাবে তেমনই স্বাদের সম্ভার। চারটি এক্সক্লুসিভ পদ সাজিয়ে দিলেন কাফে কোর্টইয়ার্ড-এর কর্ণধার সুদর্শনা দত্ত চাকলাদার।