ত্বকের যত্নে ময়শ্চারাইজ়ার

সামনেই শীতকাল। তাই এবারের বিষয় আবারও চিরচেনা ময়শ্চারাইজ়ার। তার প্রয়োগপদ্ধতি ও গুণাগুণ নিয়ে রইল আলোচনা।

ত্বক পরিচর্যায় ময়শ্চরাইজ়ার কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে আবার এই প্রসঙ্গের অবতারণা কেন? তার কারণ, এই প্রতিবেদন আসলে একটি সম্পূর্ণ গাইড। কোন ত্বকের জন্য কোন ময়শ্চরাইজ়ার, কী তার গুণাগুণ, ঘরোয়া ময়শ্চরাইজ়ারই বা কোনগুলো, ইত্যাদি নানাবিধ বিষয় নিয়ে রইল বিস্তারিত আলোচনা।

প্রকার ময়শ্চরাইজিং লোশন, জেল, প্যাক, নাইট ক্রিম, ডে ক্রিমময়শ্চরাইজ়ার এ রকম নানা ধরনের হতে পারে। তবে কোন ত্বকে কোনটি উপযুক্ত, তা নির্ভর করে বয়স, ত্বকের প্রকৃতি এবং জব প্রোফাইলের উপর। ময়শ্চরাইজার বাছার সময়ে তাতে ইউরিয়া, লিপিড, সেরামাইডস, হায়ালুরনিক অ্যাসিড, গ্লিসারিন প্রভৃতি জরুরি উপাদানগুলি আছে কি না, দেখে নেবেন। ময়শ্চরাইজ়ার সাধারণত তিন ধরনের হয়। একটি ভাল ময়শ্চরাইজ়ারে এই তিনটিরই গুণাবলি থাকে।

হিউমেকন্ট্যান্ট: এটি ত্বকের এপিডার্মিস স্তরকে হাইড্রেট করে। ভ্যাসলিন একটি ভাল হিউমেকট্যান্টের উদাহরণ।

ইমোলিয়েন্টস: এটি ত্বককে মসৃণ এবং নরম করে তোলে। ডাইমেথিকোন, শিয়া বাটার, কোকো বাটার এবং হোহোবা তেলের মতো উপাদানে সমৃদ্ধ এই ইমোলিয়েন্টস ত্বকের হাইড্রেশনে খুবই উপকারী। অক্লুসিভস: এটি ত্বকে একটি প্রতিরক্ষামূলক আস্তরণ তৈরি করে।

গুণাগুণ ত্বক হাইড্রেটেড রাখতে: অনেক সময় দেখা যায় সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ত্বক অত্যন্ত শুষ্ক হয়ে গিয়েছে। ত্বকের ট্রান্স এপিডার্মাল স্তর থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যাওয়ার ফলে এমন হয়। একে বলে ট্রান্স এপিডার্মাল ওয়াটার লস। ময়শ্চরাইজ়ার তা রোধ করে এবং ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখে। গ্লিসারিন, হায়ালুরনিক অ্যাসিডের মতো হিউমেকট্যান্ট উপাদানগুলি ত্বকে জল ধরে রাখতে সহায়তা করে। সেরামাইড ও বিভিন্ন উদ্ভিজ্জ তেলের মতো ইমোলিয়েন্টগুলি ত্বকের কোষগুলির মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্বকে নিয়ন্ত্রণ করে। ইভাপোরেশনের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়। এর ফলে ত্বক কোমল ও মসৃণ হয়, বলিরেখার মতো সমস্যা দূর হয়।