‘নীল নীল আকাশের কাছে আজ যাওয়া চাই স্বপ্নের রঙে আজ মনে রং মাখা চাই, সাড়া দাও...' মাসটা ছিল আগস্ট। এক আত্মীয়ার বাড়ি গিয়েছিলাম সপরিবার ছুটি কাটাতে। হাওড়া থেকে রাতের তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস ধরে
ভোররাতে পৌঁছে গেলাম নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। চারপাশে তখন ঘন অন্ধকার। কাকপক্ষীও বোধহয় নিশ্চিন্তে তাদের বাসায় তন্দ্রাচ্ছন্ন। আত্মীয়ার বাড়িতে ফ্রেশ হয়ে বসে গল্প করছি, কোনও পরিকল্পনা নেই কোথাও যাওয়ার। তবু মন যেন মানছে না। সে চায় স্বপ্নের রঙে নিজেকে রাঙাতে। হঠাৎ ঠিক করলাম দিন তিনেকের জন্য লাভা, লোলেগাঁও আর ডেলোর পাহাড়ি পথে বেরিয়ে পড়লে কেমন হয়? যেমন ভাবা তেমন কাজ। আমার আত্মীয়ার পতিদেবতাই একটি গাড়ির ব্যবস্থা করে দিলেন। গাড়ির চালক শ্যামলদা, ভীষণ খোলামেলা, হাসিখুশি স্বভাবের প্রাণোচ্ছল যুবক। আমাদের তিন দিনের পথপ্রদর্শক তিনি।
নিউ জলপাইগুড়িতে পৌঁছনোর পরদিনই প্রাতরাশ সেরে আমরা লাভার পথ ধরলাম। শিলিগুড়ি থেকে লাভা যাওয়া যায় দু’ভাবে। জলপাইগুড়ি জেলার দামদিম বা মালবাজার থেকে গরুবাথান হয়ে লাভা পৌঁছানো যায়, এই পথের দূরত্ব মোটামুটিভাবে ১১৪ কিলোমিটার। আর দ্বিতীয় উপায় হল
শিলিগুড়ি জলট্যাঙ্কি মোড় থেকে গাড়ি ভাড়া করে বা শেয়ার গাড়িতে কালিম্পং এবং সেখান থেকে লাভা। এই পথের দূরত্ব কমবেশি ৯৯ কিলোমিটার।
আমরা প্রথম পথটাই অনুসরণ করলাম। পাহাড়ি পাকদণ্ডি পথ, চারিদিকে জানা-অজানা বিভিন্ন পাহাড়ি গাছের সারি। সমতলভূমি ছেড়ে যত পাহাড়ের দিকে এগচ্ছি, ততই বদলাচ্ছে সবুজের চরিত্র। চিরহরিৎ বৃক্ষের সংখ্যা ক্রমহ্রাসমান আর সরলবর্গীয় বৃক্ষের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। পাহাড়ি পথের পাশে গভীর খাদ, থমকে থাকা জীবন। মাঝে মাঝে সুন্দরী তিস্তার উঁকিঝুঁকি। দেখতে দেখতে আমরা লাভায় এসে পৌঁছলাম। লাভা প্রকৃতপক্ষে ৭,২০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ছোট্ট এক পাহাড়ি জনপদ। এটি কালিম্পং জেলায় অবস্থিত। শোনা যায়, এখানে শীতকালে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নেমে আসে, আবার গ্রীষ্মকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছে যায়!
Denne historien er fra December 2022-utgaven av Sukhi Grihakon.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra December 2022-utgaven av Sukhi Grihakon.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
‘উত্তমকুমার দুঃখে কেঁদে ফেলেছিলেন’
মহানায়ক ছিলেন তাঁর বিয়ের বরকর্তা। তাছাড়াও বিভিন্ন ছবিতে নায়ক নায়িকার ভূমিকাতেও দেখা গিয়েছে তাঁদের। তাই তিনি খুবই কাছ থেকে দেখেছেন উত্তমকুমারকে। মজা করতেন, খেপাতেন তবু মহানায়ক কখনও রুষ্ট হননি তাঁর আচরণে। উত্তমকুমারকে নিয়ে নানা ব্যক্তিগত ঘটনার কথা জানালেন মাধবী মুখোপাধ্যায়।
‘প্রতিভাকে ঘষেমেজে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতেন উত্তমদা’
মহানায়কের সঙ্গে তাঁর অভিনীত বহু ছবি দর্শকমনে প্রবল দাগ কেটেছে। সমালোচকরা বলেন, তাঁর মতো অভিনেত্রী সে যুগে আর কেউ ছিল না। স্বয়ং উত্তমকুমারও তাঁকে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বলে স্বীকার করতেন। মহানায়কের প্রসঙ্গ উঠলেই আজও নস্টালজিক হয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খোলেন উত্তমকুমারের প্রিয় ‘সাবু’ ওরফে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়।
আমার উত্তমদা
মহানায়ক তাঁকে ভীষণ স্নেহ করতেন। ভাইয়ের মতো দেখতেন। শাসন ও করতেন অভিভাবকের মতোই। প্রথম সাক্ষাতে তবু উত্তমকুমারের সঙ্গে কথা বলার সাহস হয়নি তাঁর। পরবর্তীতে একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে মহানায়কের স্নেহচ্ছায়ায় এসে সমৃদ্ধ হয়েছেন। মহানায়কের জন্মমাসে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানালেন মিঠুন চক্রবর্তী।
‘একজন বড় মনের মানুষ '
উত্তমকুমারকে ঘিরে তাঁর স্মৃতির অন্ত নেই। মহানায়কের স্নেহ না পেলে নাকি নিজের ফিল্মি কেরিয়ারই গড়ে তোলা হতো না তাঁর। এছাড়া উত্তমকুমারকে নিয়ে পারিবারিক বিভিন্ন গল্পও রয়েছে তাঁর সংগ্রহে। সেইসব কথাই জানালেন বিশ্বজিৎ।
‘গানটা ভীষণ ভালো বুঝতেন '
উত্তমকুমারের নিজের গাওয়া গান পরে রেকর্ড করার সুযোগ পান তিনি। তাঁর পছন্দের সারিতে ‘হিরো' হিসেবে উত্তম-ই সেরা। রেকর্ডিং স্টুডিওয় তাঁর গান শুনে খুব খুশি হয়েছিলেন মহানায়ক। ‘ধন্যি মেয়ে'-র গানের মাঝে সংলাপ কীভাবে বলবেন, তাও হাতেকলমে তাঁকে শিখিয়ে দিয়েছিলেন উত্তম। প্রিয় নায়কের জন্মদিনে স্মৃতিতর্পণে গায়িকা আরতি মুখোপাধ্যায়।
বাংলা ছবির সর্বকালের শ্রেষ্ঠ রোমান্টিক নায়ক
উত্তমকুমারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল সন্তানতুল্য। মেকআপ রুমের আলাপ-আলোচনা থেকে ব্যক্তিগত স্তরে কথাবার্তা সবই হতো তাঁর সঙ্গে। আজও প্রেমের নায়ক বললে ‘উত্তমকাকু’-তেই ভোট পড়ে তাঁর। মহানায়কের স্মৃতিতে অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘দাদার ওই বউঠান ডাকটা আজও আমার কানে বাজে’
উত্তমকুমারের সঙ্গে ছবি করতে গিয়ে তাঁর নতুন নামকরণ হয়েছিল ‘বউঠান’। কাজের সূত্রে খুবই কাছ থেকে দেখেছেন মহানায়ককে। প্রতিভাময়, মানবদরদি, হাসিমুখের মানুষটি আজ যে আর নেই, বিশ্বাস হয় না তাঁর। স্মৃতিচারণায় লিলি চক্রবর্তী।
মহানায়ক আজও কেন অনন্য?
উত্তমকুমার এবং সুচিত্রা সেন। পরদার এই জুটিকে নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই আজও। তাঁদের সম্পর্কটা কীভাবে দেখতেন সুপ্রিয়া দেবী? মহানায়কের অন্য সব নায়িকা যেমন শর্মিলা ঠাকুর, তনুজা, অপর্ণা সেনই বা কী বলেন উত্তমকুমারকে নিয়ে? লিখেছেন সুমন গুপ্ত।
‘যত দিন যাচ্ছে বুঝতে পারছি, কী হারালাম
মহানায়ক ছিলেন তাঁদের শ্বশুরমশাই। পারিবারিক বৃত্তের বাইরে ‘বাবি’কে নিয়ে খুব কম কথা বলেন তাঁরা, অর্থাৎ উত্তমকুমারের দুই পুত্রবধূ সুমনা চ্যাটার্জি এবং মহুয়া চ্যাটার্জি। ভবানীপুরের বাড়ির একতলার ঘরে বসে এক ফুরিয়ে আসা বিকেলে স্মৃতির ঝাঁপি মেলে ধরলেন দুই পুত্রবধূ। যে বাড়ির দেওয়াল, ছাদ, কড়িবরগা আজও উত্তমময়।
'জ্যাজান ছিলেন বটগাছের মতো'
মহানায়ক তাঁদের জ্যাঠামশাই। শ্রদ্ধার, আবদারের, ভালোবাসার ‘জ্যাজান’। চ্যাটার্জি পরিবারের বটবৃক্ষ উত্তমকুমারকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন তাঁর দুই ভাইঝি— বরুণকুমারের কন্যা মৌসুমী দত্ত এবং তরুণকুমারের কন্যা মনামী বন্দ্যোপাধ্যায়।