প্রা চার ঘণ্টা দশ মিনিটের বিমানযাত্রার পর কুয়ালা লামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দুই নম্বর টার্মিনালে নামলাম। ঘড়ির সময় ভারতীয় সময়ের থেকে আড়াই ঘণ্টা এগিয়ে। ইমিগ্রেশন পর্ব শেষ করে বিমানবন্দরেই মোবাইল ফোনের ঝকঝকে দোকানে এসে দাঁড়াই।
ভারতীয় সিম অচল হয়ে গিয়েছে কিন্তু দেশের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখলেই নয়। অতএব মালয়েশিয়ান মুদ্রা পঁচিশ রিঙ্গিত অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে চারশো টাকার বিনিময়ে স্থানীয় সিম লাগানো হল। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে উবের বা ওলা অ্যাপ ক্যাব চলে না। চিনা প্রযুক্তির প্রভাবে প্রায় সর্বত্র এখানে গ্র্যাব
ও ইনড্রাইভার চলে। গ্র্যাব ডাউনলোড করে নিলাম অগত্যা। ইনড্রাইভার কলকাতায় চলে এসেছে। সেটাই জিপিএস-এর দৌলতে মালয়েশিয়ার নেটওয়ার্ক মাধ্যম ধরে নেয়। বিমানবন্দর থেকে কুয়ালা লামপুর শহরের দূরত্ব প্রায় আশি কিলোমিটার। গ্র্যাব বুক করে হোটেলের উদ্দেশে চলেছি। ফোরওয়ে
লেনের গতিবেগ নির্দিষ্ট করা আছে। সেই গতি বজায় রেখেই হোটেলে পৌঁছে যাই। মালয়েশিয়ার সমস্ত হোটেলে চেক ইন টাইম বিকেল তিনটে আর চেক আউট, দুপুর বারোটা। কিন্তু আমরা যে সকাল সকাল এসে গিয়েছি। অগ্রিম বুকিং করা ছিল। তাই টাকা মিটিয়ে জিনিসপত্র লাগেজ রুমে রেখে স্থানীয় রেস্তরাঁয় ঢুকে পড়ি। ঠান্ডা বাতানুকূল পরিবেশে মালয়েশিয়ান রক মিউজিক বাজছে। ভুরভুর রুম ফ্রেশনারের সুগন্ধ। স্কার্ট পরা মালয়েশিয়ান মেয়ে এসে সহাস্যে মেনু কার্ড দিয়ে গেল। চিকেন স্যান্ডুইচ, বয়েলড সি ফিশ, ফ্রুট জুস অর্ডার দিয়ে দিলাম। সঙ্গে গরম কফি। রেস্তরাঁয় অধিকাংশই বিদেশি। কোনও ভারতীয় চোখে পড়ল না। বেরিয়ে এসে ক্যাব ধরে চলে গেলাম সি অ্যাকোরিয়াম দেখতে। যাত্রাপথে নজরে পড়ল। আকাশছোঁয়া বাড়ি, ঝাঁ চকচকে রাস্তা, বিদেশি গাড়ি, মনোরেল। অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তির দিক থেকে মালয়েশিয়া আজ এশিয়ার ধনী ও উন্নত দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। ইলেকট্রনিক, অটোমোবাইল, পেট্রকেমিক্যাল যন্ত্রাংশ, গার্মেন্ট শিল্প, পাম অয়েল ও রবার তৈরিতে পৃথিবীর অনেক দেশকে টেক্কা দেয় এই দেশ। অফুরন্ত খনিজ তেলের ভাণ্ডার আবিষ্কৃত হওয়ায় এই দেশের অর্থনীতি খুব উন্নত। কোনও কোনও শপিং মলের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত প্রায় দেড় দুই কিলোমিটার লম্বা। সেইরকমই একখানা শপিং মলে সি অ্যাকোরিয়ামের অবস্থান।
Denne historien er fra February 2023-utgaven av Sukhi Grihakon.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra February 2023-utgaven av Sukhi Grihakon.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।