হারমোনিয়ামের সুরের সঙ্গে তাঁর অসাধারণ সংলাপ | পাঠ বহু দূর থেকে ভেসে আসছিল। এই কণ্ঠ এ তল্লাটে সকলের চেনা। তাই সুভাষচন্দ্র পুরকাইতের বাড়ি খুঁজে পেতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি। সুভাষবাবুদের পরিচয়, ওঁরা দুই পুরুষ ধরে পুতুলনাচের দল চালিয়ে আসছেন। দলের নাম সরস্বতী অপেরা। বেহালা ঠাকুরপুকুর থেকে বাখরাহাট রোড ধরে রায়পুর যাওয়ার পথে পড়ে রসপুঞ্জ গ্রাম। আর এই গ্রামেরই চড়কতলায় ঐতিহ্যমণ্ডিত এই লোকসংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরে আছে হতদরিদ্র পরিবারটি। বলতে গেলে এই অভিজ্ঞতা খুব বেশি দিনের নয়। খবরটা
পেয়ে কৌতূহলবশতই ওখানে যাওয়া। সুভাষ পুরকাইত পরিবারের প্রবীণ সদস্য। বউ, ছেলে, নাতিনাতনি নিয়ে দশ-বারোজনের সংসার। অশীতিপর এই বৃদ্ধের কাছে জানলাম, প্রায় সত্তরআশি বছর আগে পুতুলনাচের দল গড়েছিলেন তার বাবা দয়াল পুরকাইত ও জ্যাঠামশাই প্রিয়নাথ পুরকাইত। সে সময় এটাই ছিল তাঁদের পেশা এবং নেশা। কারণ তখনকার দিনে ওটাই ছিল মানুষের শ্রেষ্ঠ বিনোদন। ফলে ডাক আসত নানা জায়গা থেকে। কলকাতা শহরের বিত্তবান, গাঁ গঞ্জের জমিদার তাঁদের রাস, দোল, পূজাপার্বণে এহেন পুতুলনাচের দলকে পালা করার জন্য বায়না করত। পালা চলত রাতভর। পারিশ্রমিক ছাড়াও মিলত খাওয়াদাওয়া, ফেরার সময় বাড়তি বকশিশ। কখনও বা কোনও মেলাপ্রাঙ্গণে বসত পুতুলনাচের আসর, মানুষ জমিয়ে উপভোগ করত। সেই সুখের দিন আর নেই। সময়ের তালে তাল মিলিয়ে
সবকিছুই আজ বদলে গিয়েছে। আজকের আধুনিক বিনোদনের দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছে প্রাচীন পুতুলনাচ। তবু সুভাষবাবুরা এতদিন এই ঐতিহ্যকে বাঁচানোর চেষ্টা করে চলছিলেন। কিন্তু আর বোধহয় তা সম্ভব নয়। কারণ যত দিন যাচ্ছে, ততই উৎসব-অনুষ্ঠানে ডাক পাওয়াটা ক্রমশ কমে আসছে। তাই বেশিরভাগ সময় মাঠে চাষাবাদ কিংবা দিনমজুরি করে পেট চালাতে হয় শিল্পীদের। এমন চিত্রই গ্রামবাংলার সর্বত্র। পেশার তাগিদে নয়, খানিক মনের নেশা হয়েই এখনও কোথাও কোথাও টিকে আছে পুতুলনাচ।
Denne historien er fra July 2023-utgaven av Sukhi Grihakon.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra July 2023-utgaven av Sukhi Grihakon.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
‘উত্তমকুমার দুঃখে কেঁদে ফেলেছিলেন’
মহানায়ক ছিলেন তাঁর বিয়ের বরকর্তা। তাছাড়াও বিভিন্ন ছবিতে নায়ক নায়িকার ভূমিকাতেও দেখা গিয়েছে তাঁদের। তাই তিনি খুবই কাছ থেকে দেখেছেন উত্তমকুমারকে। মজা করতেন, খেপাতেন তবু মহানায়ক কখনও রুষ্ট হননি তাঁর আচরণে। উত্তমকুমারকে নিয়ে নানা ব্যক্তিগত ঘটনার কথা জানালেন মাধবী মুখোপাধ্যায়।
‘প্রতিভাকে ঘষেমেজে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতেন উত্তমদা’
মহানায়কের সঙ্গে তাঁর অভিনীত বহু ছবি দর্শকমনে প্রবল দাগ কেটেছে। সমালোচকরা বলেন, তাঁর মতো অভিনেত্রী সে যুগে আর কেউ ছিল না। স্বয়ং উত্তমকুমারও তাঁকে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বলে স্বীকার করতেন। মহানায়কের প্রসঙ্গ উঠলেই আজও নস্টালজিক হয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খোলেন উত্তমকুমারের প্রিয় ‘সাবু’ ওরফে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়।
আমার উত্তমদা
মহানায়ক তাঁকে ভীষণ স্নেহ করতেন। ভাইয়ের মতো দেখতেন। শাসন ও করতেন অভিভাবকের মতোই। প্রথম সাক্ষাতে তবু উত্তমকুমারের সঙ্গে কথা বলার সাহস হয়নি তাঁর। পরবর্তীতে একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে মহানায়কের স্নেহচ্ছায়ায় এসে সমৃদ্ধ হয়েছেন। মহানায়কের জন্মমাসে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানালেন মিঠুন চক্রবর্তী।
‘একজন বড় মনের মানুষ '
উত্তমকুমারকে ঘিরে তাঁর স্মৃতির অন্ত নেই। মহানায়কের স্নেহ না পেলে নাকি নিজের ফিল্মি কেরিয়ারই গড়ে তোলা হতো না তাঁর। এছাড়া উত্তমকুমারকে নিয়ে পারিবারিক বিভিন্ন গল্পও রয়েছে তাঁর সংগ্রহে। সেইসব কথাই জানালেন বিশ্বজিৎ।
‘গানটা ভীষণ ভালো বুঝতেন '
উত্তমকুমারের নিজের গাওয়া গান পরে রেকর্ড করার সুযোগ পান তিনি। তাঁর পছন্দের সারিতে ‘হিরো' হিসেবে উত্তম-ই সেরা। রেকর্ডিং স্টুডিওয় তাঁর গান শুনে খুব খুশি হয়েছিলেন মহানায়ক। ‘ধন্যি মেয়ে'-র গানের মাঝে সংলাপ কীভাবে বলবেন, তাও হাতেকলমে তাঁকে শিখিয়ে দিয়েছিলেন উত্তম। প্রিয় নায়কের জন্মদিনে স্মৃতিতর্পণে গায়িকা আরতি মুখোপাধ্যায়।
বাংলা ছবির সর্বকালের শ্রেষ্ঠ রোমান্টিক নায়ক
উত্তমকুমারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল সন্তানতুল্য। মেকআপ রুমের আলাপ-আলোচনা থেকে ব্যক্তিগত স্তরে কথাবার্তা সবই হতো তাঁর সঙ্গে। আজও প্রেমের নায়ক বললে ‘উত্তমকাকু’-তেই ভোট পড়ে তাঁর। মহানায়কের স্মৃতিতে অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘দাদার ওই বউঠান ডাকটা আজও আমার কানে বাজে’
উত্তমকুমারের সঙ্গে ছবি করতে গিয়ে তাঁর নতুন নামকরণ হয়েছিল ‘বউঠান’। কাজের সূত্রে খুবই কাছ থেকে দেখেছেন মহানায়ককে। প্রতিভাময়, মানবদরদি, হাসিমুখের মানুষটি আজ যে আর নেই, বিশ্বাস হয় না তাঁর। স্মৃতিচারণায় লিলি চক্রবর্তী।
মহানায়ক আজও কেন অনন্য?
উত্তমকুমার এবং সুচিত্রা সেন। পরদার এই জুটিকে নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই আজও। তাঁদের সম্পর্কটা কীভাবে দেখতেন সুপ্রিয়া দেবী? মহানায়কের অন্য সব নায়িকা যেমন শর্মিলা ঠাকুর, তনুজা, অপর্ণা সেনই বা কী বলেন উত্তমকুমারকে নিয়ে? লিখেছেন সুমন গুপ্ত।
‘যত দিন যাচ্ছে বুঝতে পারছি, কী হারালাম
মহানায়ক ছিলেন তাঁদের শ্বশুরমশাই। পারিবারিক বৃত্তের বাইরে ‘বাবি’কে নিয়ে খুব কম কথা বলেন তাঁরা, অর্থাৎ উত্তমকুমারের দুই পুত্রবধূ সুমনা চ্যাটার্জি এবং মহুয়া চ্যাটার্জি। ভবানীপুরের বাড়ির একতলার ঘরে বসে এক ফুরিয়ে আসা বিকেলে স্মৃতির ঝাঁপি মেলে ধরলেন দুই পুত্রবধূ। যে বাড়ির দেওয়াল, ছাদ, কড়িবরগা আজও উত্তমময়।
'জ্যাজান ছিলেন বটগাছের মতো'
মহানায়ক তাঁদের জ্যাঠামশাই। শ্রদ্ধার, আবদারের, ভালোবাসার ‘জ্যাজান’। চ্যাটার্জি পরিবারের বটবৃক্ষ উত্তমকুমারকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন তাঁর দুই ভাইঝি— বরুণকুমারের কন্যা মৌসুমী দত্ত এবং তরুণকুমারের কন্যা মনামী বন্দ্যোপাধ্যায়।