সারাদিন রোদ ছায়ার খেলা। ওপর দিকে সবুজ ছাতা ধরা বাঁশে টাঙানো লতা দোলে। নীচে লুটিয়ে আসতে চায়। রেলিং বরাবর টবে নানা ফুলের গাছ। কোনওটাতে ফুল আছে। কোনওটায় কেবল অপেক্ষা। বাতাস আসে সামনের গাছগাছালি ভরা খোলা জমি থেকে। মাঝখানে রাস্তাটা। এখানকার সব প্লট ভরে গিয়েছে, বাড়ি উঠেছে। কিন্তু এই সামনের জমিটা এখনও খালি। তানির কাজ সারাদিন বারান্দায় দাঁড়ানো আর চেয়ে থাকা। দোতলার বারান্দা। বেশ বড়। তিনকোনা। সেকালের মতো লাল মেঝে। শেষ যে মেঝে তানি দেখেছে তার রাঙাদাদুর চেতলার বাড়িতে। বাড়িওয়ালার বারণ আছে, গ্রিল লাগানো যাবে না। টবের গাছে জল দিতে হবে যাতে গাছগুলো মরে না যায়। তানির নতুন বর বিদুর বলে, এটা তো চুক্তির অংশ নয়? ওদের গাছে আমরা জল দেব কেন? কিন্তু এতে তানির খুব আনন্দ। গাছের সে কিছু বোঝে না। এগুলো ওকে লাগাতে হয়নি। কেবল বাঁচিয়ে রাখা। এই তো? জল কোনওদিন কম কোনওদিন বেশি হয়ে যায়। তবে কোনও গাছ ওদের আসার পর মারা যায়নি। নানা ফুল আর সবুজের দেওয়াল যেন। তার গায়ে রেলিং। রেলিংয়ে কোমর ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে মনে হয়, শরীরের উপরের দিকটা বাতাসে উড়ে যাচ্ছে।
ইজ দিস সেফ? কে জানে, কেন বাবা ইংরেজিতে জানতে চেয়েছিল। তানিরা মুভ করার আগে ফ্ল্যাটটা দেখতে আসে। তানির ভিতু বাবা। পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কের সিনিয়র ক্লার্ক। রিটায়ারমেন্টের আর তিন বছর আছে। রোজ ভয় পায় ব্যাঙ্ক ডাকাতির। গেটের কাছে ভারী বন্দুক নিয়ে দাঁড়ায় যে সিকিওরিটি স্টাফ, তার সঙ্গে অকারণে ভুলভাল বাংলা বলে ভাব জমায়। ভাইটা কলেজে পড়ে। বিএসসি ফাইনাল ইয়ার। মা চলে গিয়েছে তানি তখন কলেজে আর ভাই স্কুলে। হাসপাতালে যাওয়ার আগে পর্যন্ত মা খুব দাপুটে ছিল। খুব ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, কর্মঠ। বাড়িতে কোথায় কী আছে বাবা তার কিছুই জানত না। মা যাওয়ার পর থেকেই বাবার আত্মবিশ্বাস কমে গেছে। হাঁটাচলার মধ্যেও একটা এলোমেলো ভাব এসেছে।
Denne historien er fra December 2023-utgaven av Sukhi Grihakon.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra December 2023-utgaven av Sukhi Grihakon.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।