বিশ্বনাথ বলল, 'চোখ খুলতেই দেখি আমার মাথার দু'পাশে বিকট একজোড়া পা। কিন্তু শরীরের বাকি অংশ অদৃশ্য। যেন কুয়াশায় মিলিয়ে গেছে। ছুটে গেল ঘুম। মহা বিপদ উপস্থিত। নার্ভ ব্রেক করলেই নিশ্চিত মৃত্যু। মরিয়া হয়ে গর্জে উঠলাম, “খুব সাবধান! তুমি যে-ই হও, আমাকে ছুঁলেই শেষ করে দেব।”
বিশ্বনাথ থামল। বিশ্বনাথ আমার বন্ধু। শিলিগুড়িতে থাকে। ধর্মকর্মে খুব মতি। মহাকালীর ভক্ত। মাস সাত হল আমার স্ত্রী রুক্মিণী পোস্টিং হয়ে এসেছে শিলিগুড়ির ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চে। আমি মাসের শেষে চলে আসি। দিন দুই বউ-বাচ্চার সঙ্গে কাটিয়ে ভোরে ট্রেন ধরে কলকাতায় ফিরে যাই। শিলিগুড়িতে যেদু'দিন থাকি, একদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত জমিয়ে আড্ডা মারি বিশ্বনাথের সঙ্গে। বিজনেসম্যান বিশ্বনাথের শিলিগুড়িতে বড় কাউন্টার। বিশাল দু'খানা রুম। একটায় সাজানো-গোছানো অফিস। এককোণে ছোট ওয়াশ রুম। ভেতরে পুরনো-নতুন কম্পিউটারের হরেক কিসিমের মালপত্রে ঠাসা গোডাউন ঘর। সবে ঠান্ডা পড়েছে। এসি বন্ধ করে জানলা খুলে রাখা আছে। আমার ছেলে গুডুস খেলাচ্ছলে বারবার ছুটে যাচ্ছে ঘরে। কিছু পরে ছুটে এসে কোলে ঝাঁপিয়ে গলা জড়িয়ে ধরছে আমার।
ছেলের কাণ্ড দেখে রুক্মিণী বকাবকি করছিল। তাও বসার দিকেই যাচ্ছে না। দিচ্ছে ছুট আবার। তার উৎপাতে গল্পের প্রথম অংশটা ভালো শুনতে পাইনি। শুধু শুনেছি ব্যবসার কাজে গ্যাংটকে গিয়ে বিশ্বনাথ উঠেছিল একটা হোটেলে। সারা দিন কাজ সেরে খেয়েদেয়ে শুতে গিয়েই ভূতের খপ্পরে পড়েছিল। ‘আবার প্রথম থেকে বল বিশ্বনাথ!' আমি বললাম, 'রুমটার বর্ণনা দে আগে। তার পর কী কী ঘটেছিল পর পর বল।' বিশ্বনাথ নতুন করে শুরু করল, “সিঙ্গেল বেড রুম। বিশাল খাট। একপাশে অ্যাটাচড ওয়াশ রুম। কম্বল টেনে শুয়ে টিভি দেখতে দেখতেই সারা দিনের ক্লান্তিতে চোখ জড়িয়ে এল ঘুমে। কতক্ষণ ঘুমিয়েছি জানি না, হঠাৎ দেওয়ালে ঠকাস ঠকাস শব্দে ঘুমটা ভেঙে গেল। ঝটকা দিয়ে চেতনায় ফিরে কানে এল ওয়াশ রুমের কল খুলে গেছে। টপ টপ করে জল পড়ছে।' গুডুস ছুটে বেরিয়ে আসছিল ভেতরের ঘর থেকে। বিশ্বনাথের কথা কানে যেতে ‘কই? কই?' করে ছুটল ওয়াশ রুমে। ওয়াশ রুমটা দেখে এসে বলল, 'কই? জল পড়ছে না তো বিসন কাকু!” বিশ্বনাথ হেসে বলল, 'এখানে নয় বাবু। গ্যাংটকে যে হোটেলে ছিলাম তার কথা বলছি।'
Denne historien er fra May 2024-utgaven av Sukhi Grihakon.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra May 2024-utgaven av Sukhi Grihakon.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।