k ক্ষিণ কলকাতায় ওর প্রিয় সান্ধ্য ক্লাবে ঢুকেই মেজাজটা বেশ খারাপ হয়ে গেল অতনুর। জানলার ধারের প্রিয় সিটটা আজ খালি নেই। খুব সাজগোজ করা দুই আধুনিকার দখলে জায়গাটা। ‘এদিকে চলে এসো ব্রাদার।'
ডাক শুনে মুখ ফেরাল অতনু। দেখল কোণের দিকের একটা সোফার ওপর বেশ আরাম করে বসে আছেন বিখ্যাত লেখক প্রাঞ্জল সেন। সামনের টেবিলে পানীয়ের গ্লাস আর স্ন্যাকসের প্লেট রাখা ভদ্রলোক ওকে দেখেই বললেন,
‘আজ কোথাও জায়গা খালি নেই ভাই। ওদিকের হলটায় একটা জন্মদিনের পার্টি হচ্ছে। তাই সবাই এদিকটাতেই বসেছে। তুমি আমার টেবিলেই বসে পড়ো। জানোই তো, একটা টেবিল সারা বছর রিজার্ভ থাকে আমার জন্য। কাজেই, জয়েন উইথ মি! অবশ্য বুড়োর সঙ্গে আড্ডা দিতে যদি আপত্তি না থাকে।' 'আরে আপত্তি কীসের, আপনার সঙ্গে আড্ডা দিতে পারা তো সৌভাগ্য আমার।'
মনে মনে হাসল অতনু। প্রাঞ্জল সেন পরিচিত মুখ। এখানে ওঁকে আগেও অনেকবার দেখেছে, যদিও এক টেবিলে বসেনি কোনওদিন। রেডিও জকি হিসেবে অতনুর আজকাল বেশ নামডাক হয়েছে। লোকে দেখলে চেনে। অবশ্য প্রাঞ্জল সেন বিখ্যাত লেখক। সে অর্থে ওকে পাত্তা দেবার কথা নয়। কিন্তু আজই ওদের বেসরকারি বেতার চ্যানেলে ভদ্রলোকের একটা গল্পের নাট্যরূপ পরিবেশিত হয়েছে। তাই হয়তো এই টেবিল শেয়ারের আহ্বান। কিন্তু একজন প্রবীণ মানুষের সান্নিধ্যে এমন রঙিন সন্ধ্যাটা কাটাতে হবে। যাক, কী আর করা যাবে। বসার জায়গা তো পাওয়া গেল!
অতনু একবার চারপাশটা দেখল। গোটা হলঘরের তুলনায় এই কোণাটায় আলো যেন একটু কম। তবে তাতেই একটা মোহময় পরিবেশ তৈরি হয়। ভদ্রলোক এবার বেয়ারাকে ডেকে তার জন্য পানীয় অর্ডার দিয়ে বললেন। “বলো অতনু। খবর কী? অনেকদিন পর তোমায় দেখছি।' মনে হচ্ছে ভদ্রলোক বেশ খোশ মেজাজেই আছেন।
বোধহয় রেডিওর নাটকের দৌলতে। এমনিতে বাজারে বদমেজাজি বলে দুর্নাম আছে ওঁর। সামনের সোফাটায় বসতে বসতে অতনু বলল, 'শুধু শুধু আপনাকে বিরক্ত করলাম। আসলে আপনার মতো রোজ তো এই ক্লাবে আসা হয় না। আজ এসে দেখি এত ভিড়। ভাবছিলাম ফিরে যাব, নেহাত আপনি ডাকলেন...!' কথাটা শেষ করল না অতনু। ভদ্রলোক বললেন, 'আরে তাতে কী হয়েছে। রোজ তো একাই বসি, আজ না হয় তোমার সঙ্গই পেলাম। তোমার মতো নামী রেডিও জকি-র সঙ্গ পাওয়া তো ভাগ্যের ব্যাপার।' অতনু হেসে বলল, 'কেমন শুনলেন আজ আপনার নাটক?'
Denne historien er fra May 2024-utgaven av Sukhi Grihakon.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra May 2024-utgaven av Sukhi Grihakon.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
‘উত্তমকুমার দুঃখে কেঁদে ফেলেছিলেন’
মহানায়ক ছিলেন তাঁর বিয়ের বরকর্তা। তাছাড়াও বিভিন্ন ছবিতে নায়ক নায়িকার ভূমিকাতেও দেখা গিয়েছে তাঁদের। তাই তিনি খুবই কাছ থেকে দেখেছেন উত্তমকুমারকে। মজা করতেন, খেপাতেন তবু মহানায়ক কখনও রুষ্ট হননি তাঁর আচরণে। উত্তমকুমারকে নিয়ে নানা ব্যক্তিগত ঘটনার কথা জানালেন মাধবী মুখোপাধ্যায়।
‘প্রতিভাকে ঘষেমেজে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতেন উত্তমদা’
মহানায়কের সঙ্গে তাঁর অভিনীত বহু ছবি দর্শকমনে প্রবল দাগ কেটেছে। সমালোচকরা বলেন, তাঁর মতো অভিনেত্রী সে যুগে আর কেউ ছিল না। স্বয়ং উত্তমকুমারও তাঁকে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বলে স্বীকার করতেন। মহানায়কের প্রসঙ্গ উঠলেই আজও নস্টালজিক হয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খোলেন উত্তমকুমারের প্রিয় ‘সাবু’ ওরফে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়।
আমার উত্তমদা
মহানায়ক তাঁকে ভীষণ স্নেহ করতেন। ভাইয়ের মতো দেখতেন। শাসন ও করতেন অভিভাবকের মতোই। প্রথম সাক্ষাতে তবু উত্তমকুমারের সঙ্গে কথা বলার সাহস হয়নি তাঁর। পরবর্তীতে একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে মহানায়কের স্নেহচ্ছায়ায় এসে সমৃদ্ধ হয়েছেন। মহানায়কের জন্মমাসে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানালেন মিঠুন চক্রবর্তী।
‘একজন বড় মনের মানুষ '
উত্তমকুমারকে ঘিরে তাঁর স্মৃতির অন্ত নেই। মহানায়কের স্নেহ না পেলে নাকি নিজের ফিল্মি কেরিয়ারই গড়ে তোলা হতো না তাঁর। এছাড়া উত্তমকুমারকে নিয়ে পারিবারিক বিভিন্ন গল্পও রয়েছে তাঁর সংগ্রহে। সেইসব কথাই জানালেন বিশ্বজিৎ।
‘গানটা ভীষণ ভালো বুঝতেন '
উত্তমকুমারের নিজের গাওয়া গান পরে রেকর্ড করার সুযোগ পান তিনি। তাঁর পছন্দের সারিতে ‘হিরো' হিসেবে উত্তম-ই সেরা। রেকর্ডিং স্টুডিওয় তাঁর গান শুনে খুব খুশি হয়েছিলেন মহানায়ক। ‘ধন্যি মেয়ে'-র গানের মাঝে সংলাপ কীভাবে বলবেন, তাও হাতেকলমে তাঁকে শিখিয়ে দিয়েছিলেন উত্তম। প্রিয় নায়কের জন্মদিনে স্মৃতিতর্পণে গায়িকা আরতি মুখোপাধ্যায়।
বাংলা ছবির সর্বকালের শ্রেষ্ঠ রোমান্টিক নায়ক
উত্তমকুমারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল সন্তানতুল্য। মেকআপ রুমের আলাপ-আলোচনা থেকে ব্যক্তিগত স্তরে কথাবার্তা সবই হতো তাঁর সঙ্গে। আজও প্রেমের নায়ক বললে ‘উত্তমকাকু’-তেই ভোট পড়ে তাঁর। মহানায়কের স্মৃতিতে অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘দাদার ওই বউঠান ডাকটা আজও আমার কানে বাজে’
উত্তমকুমারের সঙ্গে ছবি করতে গিয়ে তাঁর নতুন নামকরণ হয়েছিল ‘বউঠান’। কাজের সূত্রে খুবই কাছ থেকে দেখেছেন মহানায়ককে। প্রতিভাময়, মানবদরদি, হাসিমুখের মানুষটি আজ যে আর নেই, বিশ্বাস হয় না তাঁর। স্মৃতিচারণায় লিলি চক্রবর্তী।
মহানায়ক আজও কেন অনন্য?
উত্তমকুমার এবং সুচিত্রা সেন। পরদার এই জুটিকে নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই আজও। তাঁদের সম্পর্কটা কীভাবে দেখতেন সুপ্রিয়া দেবী? মহানায়কের অন্য সব নায়িকা যেমন শর্মিলা ঠাকুর, তনুজা, অপর্ণা সেনই বা কী বলেন উত্তমকুমারকে নিয়ে? লিখেছেন সুমন গুপ্ত।
‘যত দিন যাচ্ছে বুঝতে পারছি, কী হারালাম
মহানায়ক ছিলেন তাঁদের শ্বশুরমশাই। পারিবারিক বৃত্তের বাইরে ‘বাবি’কে নিয়ে খুব কম কথা বলেন তাঁরা, অর্থাৎ উত্তমকুমারের দুই পুত্রবধূ সুমনা চ্যাটার্জি এবং মহুয়া চ্যাটার্জি। ভবানীপুরের বাড়ির একতলার ঘরে বসে এক ফুরিয়ে আসা বিকেলে স্মৃতির ঝাঁপি মেলে ধরলেন দুই পুত্রবধূ। যে বাড়ির দেওয়াল, ছাদ, কড়িবরগা আজও উত্তমময়।
'জ্যাজান ছিলেন বটগাছের মতো'
মহানায়ক তাঁদের জ্যাঠামশাই। শ্রদ্ধার, আবদারের, ভালোবাসার ‘জ্যাজান’। চ্যাটার্জি পরিবারের বটবৃক্ষ উত্তমকুমারকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন তাঁর দুই ভাইঝি— বরুণকুমারের কন্যা মৌসুমী দত্ত এবং তরুণকুমারের কন্যা মনামী বন্দ্যোপাধ্যায়।