‘আপনার ভাগ্যগণনা করতে চাই।' কথা ক'টি কানে আসতেই টেবিল থেকে মুখ তুলে তাকালেন ডাক্তার। চোখে পড়ল, গেরুয়া আলখাল্লা পরা পাগড়িধারী বিশালাকার এক পাঞ্জাবি সাধু!
ভাগ্যগণনার জন্য কেউ ডাক্তারের চেম্বারে আসে না। আসে নিজের রোগ সারানোর জন্য। ডাক্তার অবাক! কিন্তু পরক্ষণেই সামলে নিয়ে বললেন, ‘আপনার দক্ষিণা কত?' জ্যোতিষশাস্ত্রে ডাক্তারের নিজের আগ্রহও কম নয়। কলকাতা মেডিক্যালে পড়ার সময় বন্ধু শিবদাস বসুমল্লিকের সঙ্গে জ্যোতিষচর্চায় মেতে উঠেছিলেন এককালে। কোষ্ঠী ও হস্তবিচার আয়ত্ত করেছিলেন কিছুটা। সে সময় এমন নেশা হয়েছিল যে, সাংঘাতিক রোগগ্রস্ত যে সমস্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হতো, দু'বন্ধু তাদের ঠিকুজি সংগ্রহ করতেন। তারপর বিচার করে দেখতেন, কোনও ফাঁড়া আছে কি না। ঠিকুজিতে কিছু পাওয়া না গেলে, হস্তরেখা বিচারের চেষ্টা করতেন। সবসময় না
মিললেও, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মিলে যেত অনেক কিছু। কখনও কখনও ভিখারিদেরও হাত দেখতেন। কোনও কোনও ভিখারির ভাগ্যরেখা চমৎকার হওয়া সত্ত্বেও সে ভিক্ষা করেছে দেখে অবাক হয়েছেন! কারণ অনুসন্ধান করে বুঝেছিলেন, ওদের হাতের অন্য সব রেখা ঠিকঠাক থাকলেও রবিরেখা (Sun-line) নেই। এই সব তথ্যসূত্র, ঘটনা একটা খাতায় লিখেও রেখেছিলেন। কিন্তু সে খাতা ভেসে গিয়েছে জীবনস্রোতে। আজ হঠাৎ নিজের ভাগ্য গণনার সুযোগ আসায় সেসব স্মৃতি সিনেমার ফ্ল্যাশব্যাকের মতো চোখের সামনে ফুটে উঠেই মিলিয়ে গেল। কিছুটা কৌতুকবোধও করলেন। মুখের উপর না বলতে পারলেন না ডাক্তার। সাধু গম্ভীর গলায় বললেন, 'এক টাকা।’ কৌতূহলী ডাক্তার রাজি হলেন। ‘একটা ফুলের নাম বলুন?' জিজ্ঞাসা করলেন সাধু। উত্তর দিলেন ডাক্তার।
Denne historien er fra July 2024-utgaven av Sukhi Grihakon.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra July 2024-utgaven av Sukhi Grihakon.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।