অশোকবাবু স্কটি কিনেছেন। নির্ভয়ে নয়, ভয়ে ভয়ে। গড়পড়তা বাঙালি পুরুষের মতো অশোক সমাদ্দারও স্ত্রীকে যথাসম্ভব ভয় পান। বাইরে মারাদোনা, বাড়িতে চারাপোনা! অশোকবাবুর আধুনিক স্ত্রী ঝিলিক বহু চেষ্টা করেও পতিদেবতাকে পিৎজা, বার্গারে অভ্যস্ত করে তুলতে পারেননি। হাতজোড় করে নমস্কারের
বদলে সেকেলে অশোকবাবু আজও নতুন মানুষের সঙ্গে আলাপ হলে ‘হাই' বলতে পারেন না। দেখেশুনে পিত্তি জ্বলে যায় ঝিলিকের। ‘মল’- এ একবার গিয়েই ফল আর সব্জির দাম শুনে মাথা ঘুরে গিয়েছে সমাদ্দারের। এদিকে বাজারের চায়ের দোকানে বেঞ্চিতে বসে ভাঁড়ে চা খান তাঁর হাজব্যান্ড— অ্যাপার্টমেন্টের সানিয়ার কাছে জানতে পেরে ঝিলিক তিন দিন ধরে অশোকবাবুর সঙ্গে কথা বলাই বন্ধ করে দিয়েছেন।
এই সুযোগে একটা স্কুটি কিনে ফেলেছেন অশোক। বন্ধুর গ্যারেজের গাড়ির পাশে চুপচাপ স্কুটিটা রেখে ঘরে ঢুকতেই স্ত্রীর উষ্ণ অভ্যর্থনা, ‘এসো ডিয়ার! চা খাবে না কফি?' 'চ-চ-চাই দাও এক কাপ।' মিসেসের অস্বাভাবিক ব্যবহারে ঘাবড়ে গিয়ে তোতলাতে শুরু করেছেন সমাদ্দারমশাই। ‘স্ট্যামার করছো কেন! এনি প্রবলেম? 'না না, গলাটা শুকিয়ে গেছে।' ‘গলা তো শুকাবেই! ডিসকাউন্টে কিছু কিনতে গেলে বকতে বকতে ...।' দৌড়ে বাথরুমে ঢুকে পড়লেন অশোকবাবু। অ্যাপার্টমেন্ট জুড়ে ব্লকে ব্লকে গুপ্তচর! স্কুটি চালিয়ে এসে ঢুকছেন দেখেই নিশ্চয় কেউ রিপোর্ট করে দিয়েছে। “চা যে জল হয়ে গেল! এবার বেরিয়ে আসুন স্যর!' বাথরুমের দরজা নক করছেন ঝিলিক। সোফায় বসে চায়ের কাপে প্রথম চুমুকটা দিয়ে ‘আহ' বলে উঠলেন সমাদ্দার। ‘কত পড়ল?” 'মা-মা-মানে...?' “আমি স্কুটিটার কথা জানতে চাইছি।” 'নব্বই।' ‘মিডল ক্লাস সেন্টিমেন্ট। কোথায় ফিউ ল্যাকস দিয়ে একটা ফোর হুইলার পারচেজ করবে! তা না, স্যর বাড়ি ফিরলেন স্কুটি কিনে! বোগাস !” বিশুদ্ধ বাংলা ছেড়ে আবার বাংরেজিতে ফিরেছেন ঝিলিক।
‘না, মানে দরকার হলে তুমিও চালাতে পারবে, ' – বলেই সমাদ্দার বুঝে গেলেন বাজে একটা ফাউল করে ফেলেছেন!
“হোয়াট ? আমি স্কুটি চালাব? এরপর বলবে, সাইকেল চালাও!' গলা দিয়ে আগুন ঝরছে সমাদ্দার গিন্নির। ‘না, মানে..., অনেকেই তো চালাচ্ছে আজকাল
‘হরিবল!' মাথা টনটন করছে ঝিলিকের। বাথরুমে ঢুকে শাওয়ার খুলে দিলেন।
ব্রাঞ্চে ঢুকতেই সমাদ্দারকে ডেকে পাঠালেন ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মিসেস গোস্বামী। ‘ইয়েস ম্যাডাম।’
Denne historien er fra October 2024-utgaven av Sukhi Grihakon.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra October 2024-utgaven av Sukhi Grihakon.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।