• মাটির ঘরের দাওয়াটা বহুদিন ভালো করে নিকোনো হয়নি, যত্রতত্র পাখির বিষ্ঠা শুকিয়ে, মেঝে ফেটে একেবারে হতশ্রী দশা। পাকা ঘরগুলোর অবস্থাও তথৈবচ! উঠোনের সর্বত্র শুকনো ঘাস-পাতা, গাছের মরা ডাল! ছায়াঘেরা নিঃঝুম কলতলার প্রবীণ চাতালে কালচে শ্যাওলার পুরু চাদর। একসময় এই দত্তবাড়ির আনচেকানাচেই লক্ষ্মীশ্রী বিরাজ করত। এখন একদেখায় মনে হবে ‘ভূতের বাড়ি!” সকাল-সকাল স্নান সেরে তুলসী গাছে জল দিচ্ছিলেন সত্তরোর্ধ সমীরণ দত্ত। পরনে জীর্ণ ভিজে গামছা। ঊর্ধ্বাঙ্গ নিরাবরণ। রান্নাঘরের পাশের সরু অংশটা থেকে উঁকি মেরে একবার ঠোঁট টিপে হাসল ফুলি। তারপর নিজের অমায়িক গলাখানা হাঁকিয়ে বলে উঠল, ‘ও দাদু, এইবেলা ভিজে গামছা ছেড়ে লুঙিখান জইড়ে নাও গো; সর্দি লেগে গেলি কে দেকবে তখুন? তুমি ভুগলে পরে হ্যাপা তো এই ফুলির নাকি?”
সমীরণের মন্ত্রপাঠে বিঘ্ন ঘটল। যদিও পুজোআচ্চার নিয়মকানুন তিনি প্রায় কিছুই জানেন না; তবে দ্বিতীয় শৈশবে পদার্পণ করে ধর্মকর্মে ভালোই মন মজেছে তাঁর। বয়স্কা গৃহিণীর মতো আঁশ-নিরামিষ, ছোঁয়াছুঁয়ির বাতিকও দেখা দিয়েছে। রুক্ষকণ্ঠে ঝাঁঝিয়ে ওঠেন সমীরণ। ‘অলক্ষ্মী কি আর গায়ে লেখা থাকে রে, স্বভাবেই সব প্রমাণ! দেখছে পুজো করছি, কোথায় এসে শাঁখে দুটো ফুঁ দেবে, তা না, শাঁখচুন্নির মতন গলা বের করে দাদু...দাদু... দাদু! আমার জ্বরসর্দি হলে কাউকে দেখতে হবে না শুনে রাখ। মরে পড়ে থাকব এইখানে। পচে দুর্গন্ধ বেরলে ভাগাড়ে ফেলে আসবি, বুঝলি! কাউকে আমার মুখাগ্নি করতে হবে না। এই আজ বলে দিলুম।'
Denne historien er fra November 2024-utgaven av Sukhi Grihakon.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra November 2024-utgaven av Sukhi Grihakon.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।