মুছে দাও স্লেট

আন্তর্জালের সুবাদে বেশ কিছু নতুন শব্দ এসেছে গণজীবনে, অনেক শব্দ অর্থ পরিবর্তন করে নববেশে হাজির হয়েছে। সংযোজিত হয়েছে নব্য আন্তর্জালিক সংস্কৃতি। এসেছে প্রকাশ্যে মতদানের, অথবা বলা ভাল, মন্তব্যের জন্য বিনি খরচের বটতলা। পুরনো দিনকালের বিবরণে যেমন পাওয়া যায়, কতিপয় গ্রামবাসী জটলা করে হুঁকো টানছে, কূটকচাল করছে, কার বাড়ির বৌয়ের ঘোমটার আড়াল থেকে নাক দেখা গেছে, কার মেয়ে বিবাহযুগ্যি অথচ বাপমায়ের কোনও আক্কেল দেখা যাচ্ছে না, নিচুজাতের সঙ্গে কে ছোঁয়াছুঁয়ি করে ফেলেছে, এমন কত প্রসঙ্গ, যা গ্রামের জীবনে আজও কোথাও কোথাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এই সমস্ত অলজ্জতা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা বা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশের খসড়াও সেখানেই তৈরি হয়ে যেত, এখনও যায় যেখানে খাপ পঞ্চায়েত বসে। সেগুলি যে অত্যন্ত যুক্তিনিষ্ঠ ও সঠিক তথ্যনির্ভর, তেমনও নয়, অনেক ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তিগত রেষারেষির প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার কারণেও ঘোঁট পাকিয়ে একের বিরুদ্ধে বহুকে প্ররোচিত করা হয়, যার একটি জোটবদ্ধ বিধান ছিল ধোপানাপিত বন্ধ, অর্থাৎ একঘরে করা। গ্রাম অথবা, সংশ্লিষ্ট সমাজ একটি পরিবারের সঙ্গে বাক্যালাপ, যাবতীয় লেনদেন, সম্বন্ধ ত্যাগ করে, এমনকি, সেই একঘরে পরিবারে কারও মৃত্যু হলে তাকে শ্মশানে নিয়ে যাবার জন্যও কেউ এগিয়ে আসে না। ধর্ম ও সামাজিক বিধি অনুযায়ী সামাজিক দণ্ড ও প্রতিকার, দুই-ই ছিল ভিন্ন। যেমন, জনসমক্ষে ক্ষমাপ্রার্থনা, নাকে খত দেওয়া, প্রায়শ্চিত্ত করা, অর্থদণ্ড প্রদান, চাবুকের ঘা, জনতার দ্বারা প্রস্তরখণ্ড নিক্ষেপ, কোথাও নারীদের ধর্ষণ করা বা নগ্ন করে জনসমক্ষে হাঁটতে বাধ্য করা।
Dit verhaal komt uit de March 17, 2025 editie van Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Al abonnee ? Inloggen
Dit verhaal komt uit de March 17, 2025 editie van Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Al abonnee? Inloggen

পুলকেশীর রত্নভান্ডার
সবাই এসে ঘিরে ধরল ওকে। ছোটকাকা কলার ধরে তুলে আরও কয়েকটা কিল ঘুষি বসিয়ে দিল। মার খেতে খেতে পুলু দেখল ইভাকে। মেয়েটার চোখে খুনে চাহনি। ওকে কি সবাই মেরে ফেলবে!
পাশের বাড়ির মেয়ে
আমায় নাকি তাদের গাঁয়ের রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের কেষ্ট ঠাকুরের মতো দেখতে। কোনও রসিক নাগর তাকে বাড়ি থেকে ভাগিয়ে এনেছিল। ক'দিন ফুর্তি-ফার্তা করে দালালের হাতে বিক্রি করে কেটে পড়েছে।

প্রত্যাবর্তন
সে মাছ নিয়ে বাজারে বসা শুরু করে। কেননা সে লক্ষ করেছিল বাজারে বেশ কিছু মাছওয়ালা সকালে লুঙ্গি-গেঞ্জি পরে মাছ বেচলেও, বিকেলে গলায় বগলে পাউডার মেখে হেভি ড্রেস দিয়ে বাইকে চেপে ঘোরে।

হারানোর পরের খোঁজ
আত্মীয়স্বজনের কাছে মা হেরে যেতে যেতেও জিতে গেছে, মা তো এখনও সবাইকে বলে, ‘আমার মিতুন ওই পাষণ্ড ছেলেটার কাছ থেকে এক পয়সা নেয়নি। এই জন্য আমরা খেয়ে না-খেয়ে মেয়েকে পড়িয়েছি।'

ছবির নিসর্গ
কত্তামা চোখে আগুন ঢেলে বললেন, “যা তো এখান থেকে। শুধু ছুকছুক করবে।” বড়বৌকে বললেন, “দরজাটা বন্ধ কর তো মা। এই সব আর নিজের কাছে রাখব না। কার্শিয়াং থেকে এসে সব লকারে দিয়ে দেব।”

আলো থরথর, গৃহ প্রতিপক্ষ
সে এদিকেই আসেনি। মাঝে মধ্যে রাতে দরজা খুলে আলো জ্বালিয়ে দাঁড়িয়ে থেকেছে। বা সকালের আলোয় দেখেছে। দূর থেকে অবলোকন, না-গিয়ে। আজ মুখোমুখি হচ্ছে সে, মাতৃযোনিসদৃশ এক গহ্বরের।

মাত্রা ছাড়ানো দুর্নীতির পরিণতি
সীমাবদ্ধ দলীয় ভাবনার উপরে উঠে ভাবার সময় এসেছে। না হলে এ-রাজ্যে শিক্ষার মানের উপর আস্থা থাকবে না।

নদীর ছায়া
চেহারায় অদ্ভুত এক আবেদন রয়েছে, পড়ন্ত যৌবনের এক শান্ত দিঘি মনে হচ্ছে ওকে, একবার ডুব দিলেই নিস্তরঙ্গ জল আলোড়নে অস্থির হয়ে যাবে। বিপাশার আকর্ষণ তাকে টেনে নিয়ে এসেছে এখানে।

পদাঘাতের আমরা-ওরা
দুর্নীতির কবলে শিক্ষা। শিক্ষকরা প্রহৃত, লাথি মারছে পুলিশ। কবি ব্যস্ত লাথির তুলনায়।

সিঁড়ি
মুন্নাজ্যাঠার বগলে বালিশ বিছানা। আর কাঁধে কাঠের বাক্স। দোতলার বারান্দা থেকে দেখেছিল মোহনা। তারপর অসহায় আক্রোশে কাঁদতে শুরু করেছিল। হারমোনিয়ামটা থেকে গিয়েছিল মোহনাদের ফ্ল্যাটে।