অতিরিক্ত সুন্দরী বলে সিরিয়াস সিনেমাতে আমাকে নেওয়া হত না : দিয়া মির্জা

অনস্ক্রিন এবং অফস্ক্রিন, দুই জায়গাতেই তিনি একইরকম। ভীষণ রিয়েল, ভীষণ সেনসিটিভ। নতুন ছবি ‘ভিড়’-এর প্রচারে, মুম্বইতে টি-সিরিজের অফিসে বসে সাক্ষাৎকার দিলেন দিয়া মির্জা। সামনে আসিফ সালাম

আপনার নতুন ছবি ‘ভিড়’ সেইদিনগুলোর কথা বলে যখন আমরা অতিমারির কারণে সকলেই গৃহবন্দি ছিলাম। বাস্তবজীবনে আপনার জন্য সেই দিনগুলো কতটা কঠিন ছিল? হ্যাঁ, ‘ভিড়’ এমন একটি ছবি, যা আপনাকে সেই লোকগুলোর কথা মনে করাবে। তাঁরা অতিমারির সময়ে আমাদের সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছেন। কিন্তু অন্য সময় আমরা তাঁদের কথা মনেই রাখি না। ব্যক্তিগতভাবে এই অতিমারির সময়ে আমার জীবনে দুটো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। কোভিডের প্রথম ফেজ়ে আমার বিয়ে হয়। লকডাউন না হলে আমার হয়তো আমার স্বামীর সঙ্গে আলাপই হত না কারণ ও এমন একটা প্রফেশনের সঙ্গে যুক্ত, যেখানে ওর ফ্রি-টাইম বলে কিছু নেই। আর কোভিডের সেকেন্ড ফেজ়ে আমি মা হয়েছি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে অতিমারির সময়টা আমার খুব ভাল কেটেছে। অনেকেই দেখি সোশ্যাল মিডিয়াতে এমনভাবে মন্তব্য করেন যে মনে হয় সেলেব্রিটিরা যে কোনও পরিস্থিতিতেই সুখে থাকেন। হ্যাঁ, আমি এটা অস্বীকার করছি না যে আমরা সাধারণ মানুষের চেয়ে হয়তো একটু বেশি প্রিভিলেজড, কিন্তু সমস্যা আমাদেরও হয়। আমার সন্তান প্রসবের সময় আমি এমন একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম, যেখানে এমআরআই মেশিন ছিল না। আর সেই সময় সেই মেশিন আনানোও সম্ভব ছিল না। আমার বেশ কিছু শারীরিক জটিলতার কারণে মাত্র ছ'মাসের মাথায় আমার সন্তানের ডেলিভারি হয়। তারপর প্রায় তিনমাস ওকে আইসিইউ-তে রাখতে হয়েছিল। আমি সপ্তাহে শুধু একবার করে ওকে দেখতে যেতে পারতাম। এটাও কিন্তু একটা ক্রাইসিস এবং আমি সেলেব্রিটি হলেও সেই ক্রাইসিস ফেস করতে হয়েছিল।