আমি প্রতারিত হয়েছি, কিন্তু আবার মাথা তুলে দাঁড়িয়েছি:ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত

মুক্তি পাচ্ছে ‘দত্তা’। দশবছর আগে এই ছবির পরিচালক তথা তাঁর প্রচারসচিবকে দেওয়া কথা অনুসারে, ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনাও করলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন আসিফ সালাম

দশবছর আগে ব্যক্তিগত প্রচারসচিবকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখলেন তা হলে? না রাখার তো কিছু নেই। নির্মলদা (চক্রবর্তী) প্রায় বছর দশেক আগে আমাকে জানিয়েছিলেন উনি একটি ছবি পরিচালনা করতে চান এবং আমি যদি সেখানে অভিনয় করি। আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে নির্মলদার মধ্যে ছবি পরিচালনার প্রতিভা রয়েছে। আর আমার কাছের মানুষদের আমি খুব ভালবাসি, সম্মান করি। ওঁদের কোনও কথা দিলে আমি সেটা রাখার চেষ্টা করি।

শুধু তো অভিনয়ই নয়, ‘দত্তা' ছবিটি আপনি প্রযোজনাও করেছেন। কারণ আমার বিশ্বাস, এই ছবিটি দর্শকের মনে দাগ কাটবে। নির্মলদা প্রচুর রিসার্চ করে ছবিটি অনেক যত্ন সহকারে তৈরি করেছেন। তা ছাড়া পরিচালক হিসেবে নির্মলদার একটা নান্দনিক বোধ আছে। আর আমি মনে করি, পরিশ্রমের সুফল নির্মলদা পাবেনই। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের এই অসামান্য সাহিত্য আমার নিজেরও খুব প্রিয়। তবে ছবিটি করতে অনেক বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়। এই ছবির কাস্টে বাংলাদেশি অভিনেতা ফিরদৌস ছিল। ও অনেকটা শুটিং করার পর, কিছু রাজনৈতিক কারণে ওকে বাদ দিতে হয়। তাই ওর শটগুলো আবার রি-শুট করতে হয়। তারপর কোভিডের জন্য আমাদের অনেকটা সময় নষ্ট হয়। বলতে পারেন এই ছবিটির পিছনে প্রায় চারবছর চলে গিয়েছে। অবশেষে যে ‘দত্তা’ দিনের আলো দেখছে এটাই আমাদের কাছে একটা প্রাপ্তি।

শরৎচন্দ্র ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে আর কার লেখা আপনার ভাল লাগে? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টপাধ্যায়, মপাসাঁ এবং উইলিয়াম শেক্সপিয়র।

আপনি নিজেও তো লেখালেখি করছিলেন, সেটা নিয়ে বই প্রকাশ করারও ইচ্ছে ছিল। তার কী হল? ইচ্ছে এখনও আছে এবং কাজ চলছে। আসলে এত ব্যস্ততার মধ্যে লেখার সময় বের করাটা খুব কঠিন তবে লেখা চলছে। আরও কিছু লিখব। সময়মতো সব জানতে পারবেন।

এই যে বাংলা সাহিত্যের ভাণ্ডার তাক লাগিয়ে দেয়, অথচ বাংলা সাহিত্য নিয়ে এত কম ছবি হয় কেন? দক্ষিণী ছবির কাবর্ন কপি তৈরি না করে বাংলা সাহিত্য থেকে তো কত ভাল স্ক্রিপ্ট হতে পারে। আপনি যে সময়ের কথা বলছেন সেটা আমরা অতিক্রম করে এসেছি। এখন বাংলা সাহিত্য নিয়ে যথেষ্ট ছবি হচ্ছে। তবে এটা ঠিক যে বাংলা সাহিত্যকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের। আমাদের আরও বেশি করে বাংলা সাহিত্যের সুব্যবহার করতে হবে।