ছবি চলা বা না চলা পরের ব্যাপার। কিন্তু আলোচনার মধ্যে থাকতে হবে : দেব

একটি আড়াই মিনিটের সিকোয়েন্সের জন্যই খরচ করছেন ৮০ লক্ষ টাকারও বেশি! কোনওরকম ‘কিপটেমি’ না করে ‘বাঘা যতীন’-এর গল্প সারা দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরতে চান দেব। তাঁর সঙ্গে আড্ডায় কৌশিক পাল

পুজোর সময় ‘বাঘা যতীন'-এর মতো একটা দেশাত্মবোধক ছবি নিয়ে আসার পিছনে মূল ভাবনাটা কী? ১৫ অগস্ট নয়, ২৬ জানুয়ারি নয়... পুজোর সময় কেন? একটা কথা বলুন, দেশ যদি স্বাধীন না হত, তাহলে কি আমরা পুজোটাকে এভাবে উপভোগ করতে পারতাম? তাই যাঁদের জন্য আমরা এখন এভাবে পুজোটাকে উপভোগ করতে পারি, এই পুজোতে আমি তাঁদের জীবন সেলিব্রেট করতে চাই। যাঁরা স্বাধীন ভরতের স্বপ্ন দেখেছিলেন, কিন্তু স্বাধীন ভারত দেখে যেতে পারেননি, আমি স্বাধীন ভারতের প্রত্যেকটি নাগরিককে এই উৎসবের মরসুমে সেই গল্পটা বলতে চাই। স্বাধীনতার যুদ্ধে বাঙালি বিপ্লবীদের অবদানের কথা সারা ভারতের মানুষকে জোর গলায় বলতে চাই...

সেই ভাবনা থেকেই কি এই ছবিটিকে হিন্দি ভাষাতেও রিলিজ করার ভাবনা? একদমই তাই। আমার ছোটবেলাটা যেহেতু মুম্বইতে কেটেছে... আমি দেখেছি ওখানে শিবাজি মহারাজকে নিয়ে ছবি, ঝাঁসি কী রানির গল্প নিয়ে ছবি কী গর্বের সঙ্গেই না রিলিজ় করা হত! কিন্তু বাঙালির অবদান ভারতবর্ষের লোক সত্যিই সেভাবে জানে না! বাংলার বিপ্লবীদের কথা যদি হয়, তাহলে ভারতের মানুষ একজনকেই চেনেন, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। তাঁর বাইরে আর কতজনের কথা তাঁরা জানেন! অরবিন্দ ঘোষ, বারিন ঘোষ, হেমচন্দ্র, ক্ষুদিরাম বসু, উল্লাসকর দত্ত, রাসবিহারী বসু... যাঁরা প্রত্যেকেই এক-একটা বাঘ! বাংলার বাইরে এঁদের কথা কতজন জানেন বা মানেন! ইন ফ্যাক্ট, আমাদের কথাও যদি বলি, অনেকেই গুলিয়ে ফেলেন যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ও যতীন দাসকে একই মানুষ ভেবে!

তবে আপনার এই ‘হিন্দি’ ভাষায় ছবি মুক্তি নিয়ে নিন্দুকেরা কিন্তু বলছেন, আপনি জিতের দেখানো পথে (এর আগে জিতের 'চেঙ্গিজ' হিন্দিতেও মুক্তি পেয়েছিল) পা ফেলেছেন....