শিল্পীর সৃষ্টির আড়ালে

সারা দেশে সমাদৃত হচ্ছে অরুণ যোগীরাজের ভাস্কর্য শিল্প। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল অযোধ্যায় প্রতিষ্ঠিত 'রামলালা’র বিগ্রহ। অরুণের শুরুর জীবন থেকে সাফল্যের কথা, খুঁজে দেখলেন সাগরিকা চক্রবর্ত্তী

“যোধ্যায় প্রতিষ্ঠিত রামলালার মূর্তিকে ঘিরে গোটা বিশ্বের ভক্তদের সমাগম ইতিমধ্যেই নজর কাড়ছে। 5 মন্দির নির্মাণসহ ভগবান শ্রীরামের মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা..... সবকিছুই এখন চর্চার বিষয়। পদ্মফুলের উপর বসে রয়েছেন বালক শ্রীরাম। উজ্জ্বল তাঁর দৃষ্টি, স্মিত তাঁর হাসি। তাঁকে দেখলেই নতজানু হয়ে প্রণাম জানাচ্ছেন ভক্তরা। তবে এই রামলালার মূর্তি তৈরির নেপথ্যের কারিগর, যাঁর কাজকে কুর্নিশ জানাচ্ছে গোটা দেশ, তিনি হলেন অরুণ যোগীরাজ। তাঁর হাতের ছোঁয়াতেই রামলালার মূর্তির অবয়ব তৈরি হয়েছে। ফলে যে মন্দির এবং মূর্তি নিয়ে দেশের শাসকদল এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের এত উত্তেজনা, তার কৃতিত্বে অরুণ যোগীরাজের দাবিও কম নয়। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত তাঁর সৃষ্টির প্রশংসা করেছেন বারবার। চলুন, পরিচয় করা যাক এই শিল্পীর সঙ্গে।

ভাস্কর্যের হাতেখড়ি ১৯৮৩ সালে কর্ণাটকের মাইসুরুতে জন্ম অরুণ যোগীরাজের। ভাস্কর্য পরিবারে জন্ম হওয়ায়, ছোট থেকেই ছবি আঁকা কিংবা মূর্তি গড়ায় বেশ পারদর্শী ছিলেন তিনি। তাঁর বাবাও ছিলেন একজন দক্ষ ভাস্কর। অরুণবাবু জানিয়েছেন, বাবাই তাঁর প্রথম শিক্ষাগুরু। ছোটবেলা থেকেই তাঁর আঁকা ও তাঁর তৈরি মুর্তির প্রশংসা করতেন সকলে। অরুণের পিতামহের তৈরি ভাস্কর্য সমাদৃত হয়েছে মাইসুরুর রাজার বাসভবনেও। তাঁদের পাঁচ প্রজন্ম এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। তবে অরুণ পড়াশোনাতেও ছিলেন ভীষণ ভাল। এমবিএ শেষ করে, একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। কিন্তু বেশিদিন ভুলে থাকতে পারেননি ছোটবেলার ভালবাসাকে। ২০০৮ সালে পরিবারের বাকিদের মতো তিনিও মূর্তি নির্মাণ করা শুরু করেন। রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠিত হওয়ায়, তিনি এখন জনপ্রিয়তার চরম শিখরে পৌঁছেছেন ঠিকই, তবে অতীতেও এমন বেশ কিছু ভাস্কর্যের জন্য প্রশংসিত হয়েছিলে ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ।