'চালচিত্র এখন' এর সাফল্যের জন্য প্রথমেই অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আপনি যে ছবিটা থিয়েটার এবং ওটিটি-তে একসঙ্গে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন, এখন এই সাফল্যের পরে সেটা ঠিক বলে মনে হচ্ছে? শুধু থিয়েটারে মুক্তি পেলে শো সংখ্যা আরও বাড়ত না কি? হয়তো বাড়ত। কিন্তু এতে আক্ষেপের কিছু নেই। আমি এটুকু জানতাম যে, আমার সিনেমার যাঁরা দর্শক, তাঁরা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে গিয়েছেন। বেশিরভাগই কলকাতায় এখন থাকেন না। ফলে সকলের কাছে পৌঁছে যাওয়ার একটা তাগিদ ছিল। তবে কলকাতার সিনেমাহলগুলো থেকেও যা প্রতিক্রিয়া আসছে, তাতে আমি ভীষণ খুশি।
কিছু বছর আগে অনীক দত্তর 'অপরাজিত' নিয়ে কিন্তু কলকাতায় হইচই পড়ে গিয়েছিল। 'ফিল্ম উইদিন আ ফিল্ম' ফর্ম্যাটে 'পথের পাঁচালী'র মেকিং মানুষের পছন্দ হয়েছিল। আপনি তাতেও ভরসা পাননি? এটা ঠিক ভরসা পাওয়া বা না পাওয়ার বিষয় নয়। সিদ্ধান্তের বিষয়। আমি এবং নীল যখন ঠিক করলাম, ছবিটা নিজেরাই প্রযোজনা করব, তখনই সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলেছিলাম। আপনি বলতে পারেন, ‘অপরাজিত'র কথা। কিন্তু পাশাপাশি এটাও মানতে হবে, মৃণাল সেন বা তাঁর ছবি বাঙালি সমাজে সত্যজিৎ ও ‘পথের পাঁচালী'র মতো সেলিব্রেটেড নয়। আর এটা পুরোটাই ‘চালচিত্র'র সময়ে গড়ে ওঠা আমার এবং মৃণাল সেনের সম্পর্ক নিয়ে। ফলে আমি ভাবিনি অতটা।
এখন তো আপনার ভাবনাটা ভুল প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। কেমন লাগছে? দেখুন, মানুষ ছবিটা দেখবেন জানতাম। কল্যাণী থেকে শুরু করে ক্যালগেরি, অস্ট্রেলিয়া, দিল্লি, নয়ডা, বেঙ্গালুরু... প্রত্যেকটি জায়গা থেকে ফোন পাচ্ছি এখনও। কিন্তু যেটা আমাকে অভিভূত করেছে, তা হল মানুষের প্রতিক্রিয়াগুলো। প্রত্যেকে যে সিনেমাটিকে নিয়ে এত বড় বড় লেখা লিখবেন, এটা আমি ভাবতে পারিনি। এত সময় খরচ করছেন তাঁরা ছবিটার পিছনে! আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হল, মৃণাল সেনকে নিয়ে মানুষের এতটা ইন্টারেস্ট! এই ৭১ বছর বয়সে এসে মনে হয়, মৃণালদার অভিমানটা একটু হলেও ভাঙতে পেরেছি।
This story is from the 27 May, 2024 edition of ANANDALOK.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the 27 May, 2024 edition of ANANDALOK.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
Era...টেলর সুইফটের
১২ বছর বয়সে লেখেন প্রথম গান, ৩৪ বছরে এসে ঝুলিতে ১৪টি গ্র্যামি, ‘১৩' তাঁর লাকি নম্বর, গান বাঁধেন প্রাক্তনদের নিয়ে, গোপনে নাকি সেরেছেন বাগদান... এই মুহূর্তে পৃথিবীর জনপ্রিয়তম পপস্টার টেলর সুইফট। কী তাঁর সাফল্যের মন্ত্র? কেন এত চৰ্চায় তিনি? লিখছেন অংশুমিত্রা দত্ত ও সাগরিকা চক্রবর্ত্তী
RG KAR রাজনীতি আমি এবং বুম্বা
আত্মজীবনী লিখলেও, বর্তমান প্রেক্ষাপট এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আরজি কর-এ এখন যা ঘটছে, তা যে কোনও বাঙালির মনে প্রভাব ফেলতে বাধ্য। তাই আনন্দলোক-এর জন্য লেখা আত্মজীবনীতে বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় কেন্দ্রে আনলেন আরজি কর-কে, সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারও। এবার চতুর্থ পর্ব
অভিনেতৃ সংঘ বনাম শিল্পী সংসদ
কীভাবে তৈরি হল এই দুই সংগঠন? কী নিয়েই বা ঝামেলা লাগল উত্তমকুমার এবং সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়-এর? রাজনীতির প্রভাব ছিল কতটা? নাকি পুরোটাই ছিল রাজনীতি? লিখছেন সায়ক বসু
হরর-কমেডিতে সিদ্ধিলাভ : শ্রদ্ধা কপূর ও রাজকুমার রাও
একজন ফিল্ম স্কুলের শিক্ষা নিয়ে, অন্যজন ইন্ডাস্ট্রির পরিমণ্ডলে বসবাস করে অভিনেতা হয়েছেন। রাজকুমার রাও এবং শ্রদ্ধা কপূর চেষ্টা করছেন কাজ নিয়ে সন্তুষ্টিতে না থাকতে। কমেডি, নিজের উন্নতি, বক্সঅফিস সাফল্য নিয়ে অংশুমিত্রা দত্তর মুখোমুখি এই দুই অভিনেতা।
গ্রিলড চিকেন : শাহরুখ খান
বলিউডের ‘বাদশা' বলে আখ্যা দেওয়া হয় তাঁকে। বয়স অর্ধশতক পেরিয়েছে ঠিকই, কিন্তু নয়ের দশক হোক কিংবা এখন, দর্শকদের হিট ছবি উপহার দিতে শাহরুখ খানের জুড়ি মেলা ভার! দিল্লির ছেলে হলেও, এখন তাঁর স্থায়ী ঠিকানা মুম্বইয়ের ‘মন্নত’। আর তাঁর প্রিয় খাবার একেবারে প্রায় তেল-বিহীন গ্রিলড চিকেন।
লাইট, ক্যামেরা,অ্যাকশন!
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সমাজের সব স্তরের মানুষের মতোই পথে নামলেন বাংলার চিত্রতারকা এবং সঙ্গীতশিল্পীরাও। কিন্তু এত দেরি হল কেন? কীসের অপেক্ষায় ছিলেন তাঁরা? প্রশ্ন তুললেন আসিফ সালাম
স্কুলের একমাত্র ছেলে ছিলাম যে কত্থক শিখত, ঘুঙুর পরে নাচত:পুলকিত সম্রাট
নিজের খেয়ালে থাকেন, সেটে সকলের সঙ্গে মজা করেন, নিজেকেও খুব সিরিয়াসলি নেন না পুলকিত সম্রাট। অপেক্ষা, সাফল্য, বিয়ে, কিছুই কি পাল্টায়নি তাঁকে? প্রশ্ন করলেন অংশুমিত্ৰা দত্ত। উত্তরে উঠে এল তাঁর অ্যান্ড্রোজিনাস সত্তা।
পুরনো পাপ, মরিতে মরিতেও মরে না
টেস্ট গসিপ নিয়ে আনন্দলোকে হাজির সোশ্যালাইট মিস আঙুরলতা
লেডিজ় ভার্সেস রণজয়
রণজয় বিষ্ণুর নামে অভিযোগ আনলেন সোহিনী সরকার থেকে সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। তদন্তে আসিফ সালাম
গর্বের নাম মনু
প্রথম ভারতীয় হিসেবে অলিম্পিক্সে জোড়া পদক জেতার নজির গড়লেন তিনি। দেশে ফিরে আসার পর বহু ব্যস্ততার মাঝে শুটার মনু ভাকের খুলে দিলেন মনের দরজা। সাক্ষী আসিফ সালাম