সিনেগ্রাফ

হ্যাঁ, সেটাই স্বাভাবিক। ১০৬ মিনিটের মাঝারি দৈর্ঘ্যের ছবিটি যেন শেষ হতে চায় না।

চন্দু চ্যাম্পিয়ন কার্তিকের সেরা

পরিচালনা: কবীর খান অভিনয়ে: কার্তিক আরিয়ান, বিজয় রাজ, রাজপাল যাদব প্রমুখ

বর্তমানে বলিউডে বায়োপিকের রমরমা। ছবি হিট করানোর ফর্মুলা হিসেবে বলিউডের সবচেয়ে বড় বাজি হল লড়াই করে সফল হওয়ার প্রেরণামূলক গল্প। সেই তালিকায় আর এক সংযোজন ‘চন্দু চ্যাম্পিয়ন'। কবীর খান এর আগেও স্পোর্টস ড্রামা বানিয়েছিলেন, ‘৮৩'। বক্স অফিসে তা খুব ভাল ব্যবসা না করলেও প্রশংসিত হয়েছিল। এ বছর মুক্তি পাওয়া ‘ময়দান’ও উচ্চ প্রশংসিত, কিন্তু বক্স অফিসে ব্যর্থ। এবার এই ছবির মাধ্যমে দর্শক-সমালোচকদের প্রশংসা ও বক্স অফিস সাফল্য, দুই-ই আসে কি না, তা দেখার। এমনিতে কবীর সোশ্যাল আন্ডারডগদের গল্প বলতে পারদর্শী। ১৯৭২ সালে প্রথম ভারতীয় হিসেবে প্যারালিম্পিকসে সোনা জেতেন মুরলীকান্ত পেটকর। কিন্ত তাঁকে নিয়ে সে রকম খবর কই? বিস্মৃতির অতল খুঁড়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করা সেই নায়কের যাবতীয় প্রতিকূলতা কাটিয়ে জয়ের গল্প তুলে ধরেছেন পরিচালক। ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখতেন কুস্তিগীর হবেন। পরিবার, সমাজ, কোচ কেউ সমর্থন করেননি যাঁকে, তিনি আশার আলো খুঁজে পান ভারতীয় সেনায় যোগ দিয়ে। ১৯৬৫-র যুদ্ধে গুলি হজম করেও একফোঁটা দমেননি তিনি! অবশেষে প্যারালিম্পিকসের মঞ্চে সাঁতারে সোনা, প্রথম ভারতীয় হিসেবে। যুদ্ধজয়ের গল্প দেখতে দেখতে গায়ে কাঁটা দেয়। মনে হয়, আমরা নিজেদের জীবনের ছোট ছোট চাওয়া পাওয়া নিয়ে এত বিশ্লেষণ করি, কিন্তু এই মানুষটা এতবার হারতে হারতেও ঘুরে দাঁড়ানোর স্পিরিট পান কোত্থেকে? অভিনয়ে নিখুঁত কার্তিক আরিয়ান। শারীরিক ভাঙাগড়া তো আছেই, কিন্তু অমন হার না মানা স্পিরিট পর্দায় ফুটিয়ে তোলা চাট্টিখানি কথা নয়। বিজয় রাজ, রাজপাল যাদব, ভুবন অরোরাও ভাল। বিশেষ ভাবে বলতে হয়, কার্তিকের ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করা আরিয়ান খান সরোয়ার কথা। সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের সিনেমাটোগ্রাফির কথা আলাদাভাবে বলতে হয়। ছবিতে গানের ব্যবহার একটু দুর্বল লাগে।

অথৈ জ্বলন্ত এক টুকরো ভারত

পরিচালনা: অর্ণ মুখোপাধ্যায় অভিনয়: সোহিনী সরকার, অর্ণ মুখোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, অর্পণ ঘোষাল, মিমি দত্ত