OTT গ্রাফ

মনস্তাত্ত্বিক ঘরানার বলে আখ্যা দেওয়া হলেও, এই সিরিজের কাহিনি নির্মাণে কোনওভাবে সাইকোলজি কাজ করে না।

মির্জাপুর ৩ 10 একঘেয়েমির গোলকধাঁধা

পরিচালনা: গুরমীত সিংহ, আনন্দ আইয়ার অভিনয়: পঙ্কজ ত্রিপাঠী, আলি ফজল, শ্বেতা ত্রিপাঠী, রসিকা দুগ্গল, বিজয় ভর্মা, অঞ্জুম শর্মা

সত্যি বলতে কী, এই সিরিজের তৃতীয় সিজ়ন নিয়ে যথেষ্ট উন্মাদনা ছিল। কী হল কালীন ভাইয়ার, মুন্না আদতে ফিরবে কি না, গুড্ডু বা গোলুর জীবনেই বা কী পরিবর্তন আসবে, সব প্রশ্ন ছিল মনের মধ্যে। কিন্তু আদতে তিন নম্বর সিজ়ন দেখার পর বোঝা গেল, নির্মাতাদের নিজেদের কাছেও প্রশ্নের উত্তরগুলো ঠিকমতো ছিল না। যেহেতু মুন্নার মৃত্যু প্রথম এপিসোডের প্রথম দৃশ্যেই ‘সত্যি’ হয়ে গেল এবং কালীন ভাইয়া চলে গেলেন কোমায়, তাই গল্পও যেন এক জায়গায় আটকে গেল। গুড্ডু এবং গোলু নিজেদের টক্করের প্রতিদ্বন্দ্বি পেল না। তাই শুধু এক শহর থেকে আর এক শহর ঘুরতেই থাকল তারা। শুধু আখ্যান এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে বলে অহেতুক, বাড়াবাড়ি রকমের খুন-জখম দিয়ে সিরিজ়টিকে ভরিয়ে দিলেন নির্মাতারা। এই খুন এতটাই অহেতুক এবং হিংসায় ভরা যে, গা গুলিয়ে উঠতে থাকে। কিন্তু আদত কার্যকারণ পাওয়া যায় না। ১০ এপিসোডের এই সিরিজ়ে ৯ নম্বর এপিসোড পর্যন্ত কিচ্ছু হয় না। একমাত্র টুইস্ট আসে ১০ নম্বরে। কিন্তু ততক্ষণে বড্ড দেরি হয়ে গিয়েছে। আশা করা যায়, ‘সিজ়ন ৪'-এ এই একঘেয়েমির পুনরাবৃত্তি করবেন না পরিচালকরা। কারণ গল্পটা তো বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে সেই এক জায়গা এসেই দাঁড়িয়ে গেল!

ব্রিজরটন ৩ অঙ্ক বড্ড সরল 5.5 10