নতুন জুটি পুরনো বন্ধুত্ব

‘বাবলি' ছবিতে প্রথমবার জুটি বাঁধলেন আবীর চট্টোপাধ্যায় ও শুভশ্রী। যদিও অনেকদিন ধরেই তাঁদের বন্ধুত্ব রয়েছে। এই জুটির সঙ্গে আড্ডায় আসিফ সালাম

'বাবলি' তো রোম্যান্টিক ছবি। বাস্তবে আপনারা কতটা রোম্যান্টিক? আবীর: একদমই না (হাসি) । মানে, অভিরূপ সেনের (ছবিতে তাঁর চরিত্রের নাম) সঙ্গে রোম্যান্টিকতায় আমার কোনও মিল নেই। শুভশ্রী: আমি কিন্তু খুব রোম্যান্টিক। প্রেমের ছবি দেখতেও ভালবাসি। অনেক দিন ধরে রোম্যান্টিক গল্পে কাজ করতে চাইছিলাম। ‘বাবলি'র চেয়ে ভাল আর কিছু হতেই পারে না।

জীবনের প্রথমদিকে রোম্যান্টিক কিছু করেছিলেন বলে মনে আছে? আবীর: আমি যেহেতু একেবারেই রোম্যান্টিক নই, তাই খুব একটা কিছু মনে নেই। যেরকম সকলের হয়ে থাকে, ওরকমই.....

আমি ক্লাস টেন অবধি বয়েজ স্কুলে পড়েছি। একটাও বান্ধবী ছিল না। তাই প্রথমবার বান্ধবীদের সংস্পর্শে এসে নতুন জগৎ খুলে গিয়েছিল! তবে রোম্যান্সের সংজ্ঞা এক একজনের কাছে এক একরকম। প্রথাগত ভাবে দেখলে, আমাকে রোম্যান্টিক মনে হবে না। শুভশ্রী: আমি কিন্তু রাজের (চক্রবর্তী) জন্য অনেক পাগলামি করেছি। তবে সেগুলো ভীষণ পার্সোনাল।

শুভশ্রীকে জিজ্ঞেস করব, আপনি যখন আনন্দলোক তারার খোঁজ-এ জিতে ইন্ডাস্ট্রিতে এলেন, তখন ওজন কমিয়ে ছিপছিপে হতে চেয়েছিলেন। এখন আবার 'বাবলি'র জন্য ওজন বাড়াতে হচ্ছে। আগের ও এখনকার শুভশ্রীর মানসিকতার কী পরিবর্তন এসেছে?

শুভশ্রী: তখন আমার ১৭ বছর বয়স। একদম বাচ্চা ছিলাম। তখন যেভাবে সিনেমা বানানো হত বা গল্প বলা হত, তার তুলনায় এখন পরিস্থিতি একদম আলাদা। এখন আমি ‘চ্যালেঞ্জ' বা ‘পরান যায় জ্বলিয়া রে'-র মতো নায়িকা হতে চাই না। তবে তার মানে এই নয় যে কমার্শিয়াল ছবি করতে চাই না। কিন্তু যে সময় ‘চ্যালেঞ্জ'-এর মতো ছবি হত আর এখনকার সময়ের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। তাই কমার্শিয়াল ছবি বানালেও এখনকার সময়ের কথা ভেবে বানাতে হবে। হলিউড, বলিউড থেকে টলিউড, সবাই এখন চরিত্র তৈরি করে। সেই চরিত্র নায়িকা হয়।

চরিত্রের প্রয়োজনে গ্ল্যামারাস নায়িকা হতে হলে হব। না হলে রোগা, মোটা, ন্যাড়া সব হতে রাজি!