চোখ খুলতেই আশ্চর্য পাখিটাকে দেখতে পেল রতন। এ রকম সে আগে কখনও দেখেনি। ভোরের প্রথম আলো পড়ছে পাখির ছোট্ট শরীরের উপর। কেমন নীলচে আভায় ভরে যাচ্ছে ওর সাদা পালক।
খানিক ক্ষণ তাকিয়ে আবার চোখ বন্ধ করল রতন। এখনও বেশ ক্লান্ত লাগছে। মাথা বেশ ভার। তবে কাল রাতের অসহ্য যন্ত্রণাটা নেই।
আবার চোখ খুলল রতন। জানলায় পাখিটা আর নেই। হয়তো উড়ে চলে গেছে। এই আশ্বিনের গোড়ায় অল্প অল্প শীত পড়তে শুরু করেছে। গায়ের চাদরটা ভাল করে জড়িয়ে নিল সে। তার পর চোখ বন্ধ করল।
॥২॥ “এখন কেমন লাগছে, রতন? মাথা ব্যথা কমেছে?” কপালে হাত ছোঁয়াল মা। চোখ খুলল রতন। মাকে বিছানার পাশে দেখে ভারী ভাল লাগল । সে আস্তে আস্তে বলল, “হ্যাঁ, অনেকটা।”
মা শুনে হাসল। বলল, “কাল ডাক্তারবাবু এসেছিলেন। বললেন, খুব শিগগির তুই ভাল হয়ে যাবি।”
রতন মায়ের কাছে সরে এসে বলল, “আমি স্কুল কবে যাব, মা?” “এই তো আর ক'দিন পরেই পুজোর ছুটি। তার পর স্কুল খুললেই যেতে পারবি।”
“বাবা কি অফিসে চলে গেছে মা?” “হ্যাঁ, তুই ঘুমোচ্ছিলি। তাই আর ডাকেনি।”
খোলা জানলা দিয়ে ঠান্ডা হাওয়া ঢুকছে। বড় করে একটা নিঃশ্বাস নিল রতন। তার পর মাকে জিজ্ঞেস করল, “কাল রাতে বৃষ্টি হয়েছে, মা?”
“হ্যাঁ। রাতে নয়, ভোরের দিকে। ভিজে মাটির গন্ধ পাচ্ছিস?” জিজ্ঞেস করল মা।
রতন একটু হেসে মাথা নাড়ল । ক্লান্ত লাগছিল রতনের। সে মায়ের হাতটা কপালে চেপে ধরল। মা মাথায় হাত বুলিয়ে বলল, “তুই শুয়ে থাক। আমি দুধ গরম করে আনছি। খেলে শক্তি পাবি।”
মায়ের দিকে তাকাল রতন। তার পর আবার চোখ বন্ধ করল।
আবার বৃষ্টি হয়েছিল! কিন্তু কই, বৃষ্টির শব্দ শোনেনি তো! তা হলে হয়তো মনের ভুল। এ রকম ভুল তো কতই হয়। তবে এখন হইচইয়ের শব্দ স্পষ্ট। বিছানা থেকে ওঠার শক্তি নেই রতনের। সে ভাল করে শোনার জন্য কান পাতে।
ওই তো ইন্দ্রজিৎকাকুর গলা শোনা যাচ্ছে। বেশ জোরে জোরে কথা বলছেন কাক তার বাবাকে লক্ষ্য করে।
“আচ্ছা সত্যদা, আপনাকে কবে থেকে বলছি বাগানের গাছগুলো কেটে ফেলুন। আর তা যদি না পারেন, তা হলে পরিষ্কার করুন। এ ভাবে তো গাছ রাখা যাবে না।”
রতনের বাবা বলল, “কী বলছ ইন্দ্ৰ! এগুলো কবেকার গাছ। রীতিমতো ফলন্ত। তুমি এগুলো কেটে ফেলতে বলছ! পরিষ্কার করতে বলছ, নিশ্চয়ই করব। কিন্তু একট সময় তো দেবে।”
This story is from the 20 Aug, 2024 edition of ANANDAMELA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the 20 Aug, 2024 edition of ANANDAMELA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
মায়াবী মরু
মরুভূমির বালির গভীরে কত যে রহস্য! বিশ্বের প্রথম মাকড়সার ভাস্কর্য থেকে প্রাচীনতম ধারালো অস্ত্র! লিখেছেন সুদেষ্ণা ঘোষ
টাকার গাছ
সে প্রথমে ভাবল, মাকে ডেকে দেখাবে। কিন্তু মা বড্ড সরল। কথা চেপে রাখতে পারে না। বাবা অনেক গোপন কথা মাকে বলতে বারণ করার পরেও মা মনের ভুলে সবাইকে বলে দিয়েছে। তাই এই খবরটা মাকে না বলাই শ্রেয়।
ঠোঙ্গা
প্রায় জমে যাওয়া ঠান্ডায়, ভিজে যাওয়া জামার তলায় হাপরের মতো ওঠা-নামা করছিল বুক। অনেকের জীবন এখানেই শেষ হয়েছে। আমরা ভাগ্যবান ছিলাম।
এক শালিক
বিল্টু বুঝে গেছে, শালুক খুব সাধারণ শালিক নয়৷ সে মাথা নাড়িয়ে বলল, “শালুক, তোমার যখন এত জ্ঞান, তখন আমাকে একটা বুদ্ধি দাও। যাতে বিকেলের এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাই । তিন মাস বাদে, বাৎসরিক অতুলকৃষ্ণ স্মৃতি চ্যালেঞ্জ শিল্ডের ফুটবল ফাইনাল খেলা। ব্যাঁটরা বয়েজ স্কুলের সঙ্গে আমাদের চন্দনপুর বয়েজ স্কুলের খেলা।”
তাইল্যান্ডের তাকলাগানো দ্বীপ
দ্বীপ নয়, দ্বীপপুঞ্জ। ফুকেট ও ক্রাবির মনোরম, নির্জন সব দ্বীপ ঘুরে এসে লিখেছেন রামেশ্বর দত্ত
এক বল তিন ছক্কা
গোবিন্দবাবু যে ঘরে খুন হয়েছেন, ঘনশ্যাম সেখানে তাদের নিয়ে গেল। বিছানার চাদরে তখনও চাপ চাপ জমাট বাধা রক্ত। কর্নেল বলল, “গোবিন্দবাবুর দেহ যখন পাওয়া যায়নি, তখন তিনি খুন না-ও হতে পারেন।” সত্যরঞ্জন বলল, “কিন্তু বিছানায় যে জমাট বাধা রক্ত!”
ছায়াগ্রামে পুষ্পবৃষ্টি
আমাদের ভাগ্য ভাল, ব্রজবাবু আজও পাগল হননি। যদিও রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে উনি... যাক সে সব কথা।”
আশ্চর্য লাঠি
মস্তানদের পিটিয়ে সিধে করে পচা বাজারে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। সে আমাদের গর্ব। আমরা তাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেব।”
সাধনবাবুর সাধের বাস
মা বেঁচে থাকতে অনেক সাহায্য করেছেন। তখন ঘন ঘন আসতেন। এখন উৎসব-অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করলে আসেন। মালতীজেঠি এলে সুষুনি শাক নিয়ে আসতেন।
সায়েন্স সঙ্গী
বিশ্ব জুড়ে বিজ্ঞানের নানা শাখায় নিরন্তর ঘটে চলেছে নানা ঘটনা। তারই কিছু খবর রইল এই পাতায়।