ধোঁয়ায় ওঠা চায়ের কাপে একটা তৃপ্তির চুমুক দিয়ে কাকু বললেন, “আহ!”
শনিবার সন্ধেবেলা বিটুদের বাড়িতে আমরা সকলেই আড্ডা দিতে জড়ো হয়েছি। কাকিমার হাতের গরম গরম চা-জলখাবারের জন্যই আমাদের আড্ডা বসে বিটুদের বাড়িতে। আজ এসে দেখলাম, উপস্থিত আছেন আমাদের কাকুও। কাকু, নীলোৎপল রায়। বিট্টুদের পাড়াতেই থাকেন। অকৃতদার মানুষ। খেলাধুলো থেকে গানবাজনা, সাহিত্য থেকে চলচ্চিত্রর জগৎ, সমস্ত বিষয়েই তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্য। অন্তত তিনি তেমনটাই বলেন। সারা পৃথিবী চষে বেড়িয়েছেন। পৃথিবীর সমস্ত বিখ্যাত মানুষের সঙ্গে ওঁর ওঠা-বসা। এ কথাও তাঁর মুখ থেকে শোনা। সারা জীবন জনপ্রিয় জুতোর কোম্পানিতে চাকরি করা মানুষটি যে কখন বিদেশ গেলেন, তা আমাদের জানা নেই। উনি মাঝে মাঝেই বিট্টুদের বাড়িতে আসেন আড্ডা দিতে। তাঁর আড্ডার সঙ্গী আমরাই, তাঁর সমবয়সিরা নন। বিশ্বের সমস্ত খবর তাঁর কাছে আছে। তাই আমরা কাকুকে আড়ালে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে মিলিয়ে ‘রায়টার' বলি।
আজ কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে, কাকুর গল্পের ঝাঁপি খোলার কোনও ইচ্ছেই নেই। কাকিমার বানানো তেলেভাজাগুলো শেষ করে এখন মন দিয়েছেন চায়ের পেয়ালায়। আয়েস করে চুমুক দিচ্ছেন তাতে। আমরা মানে, আমি, বিটু, ভোম্বল, পিন্টু, নিলয়। আমরা সবাই চাতক পাখির মতো তাঁর কথা শোনার অপেক্ষায় বসে আছি। কিন্তু কাকুর গল্প শোনানোর কোনও ইচ্ছেই নেই দেখে অনন্যোপায় হয়ে আমরা ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান নিয়েই নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করলাম। তবে একে বোধ হয় নিছক আলোচনা বলা যায় না। ঝগড়া বললে ভাল হয়। খেলা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে তা গড়াল ঘটি-বাঙাল, চিংড়ি-ইলিশে। ঘরের মধ্যে আমাদের হই-হট্টগোলের পারদ বেড়েই চলেছে। বাড়ির বাইরে থেকে কেউ শুনলে মনে করবে, বুঝি জোর ঝগড়া লেগে গিয়েছে। কিন্তু কাকুর সে দিকে ভ্রুক্ষেপ নেই।
ধীরেসুস্থে চায়ের কাপটা শেষ করে সেটা সেন্টার টেবিলে নামিয়ে রাখতে রাখতে বললেন, “তোরা আর আলোচনার বিষয় পেলি না? মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল? তাও যদি পেলে-ইউজ়্যাবিও-ডিস্টিফানোকে নিয়ে কথা বলতিস, মানা যেত। নিদেন পক্ষে মারাদোনা বা জোহান ক্রায়েফ কিংবা প্লাতিনি। মারাকান স্টেডিয়ামে যদি আমার সেই ম্যাচের কথাও বলতিস, তা নয়!”
কাকু কথা বলা শুরু করতেই আমাদের চিৎকার-চেঁচামেচি থেমে গিয়েছে। আমরা গল্পের আশায় তাকিয়ে রইলাম কাকুর দিকে। কিন্তু কাকু ওটা কী কথা বললেন?
This story is from the 5 Aug, 2024 edition of ANANDAMELA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the 5 Aug, 2024 edition of ANANDAMELA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
মায়াবী মরু
মরুভূমির বালির গভীরে কত যে রহস্য! বিশ্বের প্রথম মাকড়সার ভাস্কর্য থেকে প্রাচীনতম ধারালো অস্ত্র! লিখেছেন সুদেষ্ণা ঘোষ
টাকার গাছ
সে প্রথমে ভাবল, মাকে ডেকে দেখাবে। কিন্তু মা বড্ড সরল। কথা চেপে রাখতে পারে না। বাবা অনেক গোপন কথা মাকে বলতে বারণ করার পরেও মা মনের ভুলে সবাইকে বলে দিয়েছে। তাই এই খবরটা মাকে না বলাই শ্রেয়।
ঠোঙ্গা
প্রায় জমে যাওয়া ঠান্ডায়, ভিজে যাওয়া জামার তলায় হাপরের মতো ওঠা-নামা করছিল বুক। অনেকের জীবন এখানেই শেষ হয়েছে। আমরা ভাগ্যবান ছিলাম।
এক শালিক
বিল্টু বুঝে গেছে, শালুক খুব সাধারণ শালিক নয়৷ সে মাথা নাড়িয়ে বলল, “শালুক, তোমার যখন এত জ্ঞান, তখন আমাকে একটা বুদ্ধি দাও। যাতে বিকেলের এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাই । তিন মাস বাদে, বাৎসরিক অতুলকৃষ্ণ স্মৃতি চ্যালেঞ্জ শিল্ডের ফুটবল ফাইনাল খেলা। ব্যাঁটরা বয়েজ স্কুলের সঙ্গে আমাদের চন্দনপুর বয়েজ স্কুলের খেলা।”
তাইল্যান্ডের তাকলাগানো দ্বীপ
দ্বীপ নয়, দ্বীপপুঞ্জ। ফুকেট ও ক্রাবির মনোরম, নির্জন সব দ্বীপ ঘুরে এসে লিখেছেন রামেশ্বর দত্ত
এক বল তিন ছক্কা
গোবিন্দবাবু যে ঘরে খুন হয়েছেন, ঘনশ্যাম সেখানে তাদের নিয়ে গেল। বিছানার চাদরে তখনও চাপ চাপ জমাট বাধা রক্ত। কর্নেল বলল, “গোবিন্দবাবুর দেহ যখন পাওয়া যায়নি, তখন তিনি খুন না-ও হতে পারেন।” সত্যরঞ্জন বলল, “কিন্তু বিছানায় যে জমাট বাধা রক্ত!”
ছায়াগ্রামে পুষ্পবৃষ্টি
আমাদের ভাগ্য ভাল, ব্রজবাবু আজও পাগল হননি। যদিও রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে উনি... যাক সে সব কথা।”
আশ্চর্য লাঠি
মস্তানদের পিটিয়ে সিধে করে পচা বাজারে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। সে আমাদের গর্ব। আমরা তাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেব।”
সাধনবাবুর সাধের বাস
মা বেঁচে থাকতে অনেক সাহায্য করেছেন। তখন ঘন ঘন আসতেন। এখন উৎসব-অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করলে আসেন। মালতীজেঠি এলে সুষুনি শাক নিয়ে আসতেন।
সায়েন্স সঙ্গী
বিশ্ব জুড়ে বিজ্ঞানের নানা শাখায় নিরন্তর ঘটে চলেছে নানা ঘটনা। তারই কিছু খবর রইল এই পাতায়।